পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২০৪

ولاك وج বুঝিয়াছি, আমার মৃত্যু বা যমালয়ে স্থান নাই ; যদি তাহা না হইবে, তবে সিংহ যেরূপ সবলে সজল-নয়ন মৃগীকে লইয়া যায়, তাহার স্যায় যম আমাকে লইয় যাইতেছে না কেন ? নিশ্চয়ই আমার হৃদয় লৌহময়, যদি তাহা না হইবে, তাহা হইলে তোমার মুখে নিদারুণ কথা শুনিয়া ভূপতিত হইলেও তাহা বিদীর্ণ হয় নাই কেন ? এই দুঃখে যখন দেহপতন ঘটে নাই, তখন বুঝিলাম, মরণ অকাল-সঙ্ঘটনীয় নহে। হায়! আমি বুঝিলাম, পুত্রের উদ্দেশে আমি তপ, জপ, দান ও সংযমাদি যাহা করিয়াছি, আমার ভাগ্যে উষরক্ষিপ্ত বীজের স্যায় তৎসমুদায়ই নিষ্ফল। যদি অসময়ে মৃত্যু ঘটিতে পারিত, তাহা হইলে বিবৎসা গাভীর ন্যায় তোমাকে হারাইয়া যমালয়ে যাইতাম। অথবা চন্দ্রবদন তোমা ব্যতিরেকে আমার আমন জীবন ধারণের প্রয়োজন কি ? গাভী যেরূপ বংসের অনুগামিনী,তাহার স্যায় আমি তোমার সমভিব্যাহারে বনগামিনী হইব। রামজননী কৌশল্য রামকে সত্যপাশে আবদ্ধ দেখিয়া এবং উত্তরকালে সপত্নী-পরাভব-দুঃখ-পরম্পরা পৰ্য্যালোচনা করিয়া, শোকাচ্ছন্ন হইয়া এইরূপ বিলাপ ও পরিতাপ করিতে লাগিলেন। ৩২-৫৫ একবিংশ সগ অনন্তর দীন লক্ষণ বিলাপকারিণী রামজননী কৌশল্যাকে তৎকালোচিত বাক্যে কহিলেন,— জননি । রঘুবীর রামচন্দ্র স্ত্রী-কিঙ্কর পিতার কথামুসারে উপস্থিত রাজ্যাধিকার পরিত্যাগ করিয়া যে বনগামী হইবেন,ইহা আমার ইচ্ছা নহে। পিতার বুদ্ধি বিকৃতি ঘটিয়াছে ; তিনি বৃদ্ধ, বিষয়ী, কামাওঁ ও স্ত্রীবাধা ; মুতরাং স্ত্রীলোকের কথায় তিনি কি না বলিতে পারেন ? অামি রামচন্দ্রের এরূপ কোনও বাল্মীকি-রামায়ণ অপরাধ বা গুরুতর দোষ দেখিতে পাই না, যাহাতে র্তাহাকে রাজ্য-শ্ৰী বিসর্জন গিয়া বনগামী হইতে হয়। অন্য কথা দূরে থাকুক, অপরাধী শক্রয় মধ্যে পরোক্ষেও ইহার দোষোদঘাটন করিতে সাহসী হয়, এরূপ লোক আমার লক্ষ্য হয় না। বিশেষতঃ যিনি দেবপ্রতিম, সরলস্বভাব, শিক্ষিত ও রিপুবৎসল, অকারণে ধৰ্ম্মের মুখাপেক্ষী হইয়া কোন ব্যক্তি এরূপ গুণনিধি পুত্রকে পরিত্যাগ করে ? মহারাজের পুনবর্ণার বাল্যাবস্থা দাড়াইয়াছে, তিনি বিবেচনাশূন্ত হইয়াছেন। বিবেচনা করিয়া দেখুন, কোন পুত্র পূর্বতন নৃপতিগণের চরিত্র স্মরণ করিয়া তদীয় আদেশ শিরোধাৰ্য্য করিবে ? হে রাঘব ! আপনার বনবাস ংবাদ প্রচারিত না হইতে আপনি আমার সাহায্যে সমস্ত সামাজ্য করন্থ করুন। আমি কৃতাস্তের ন্যায় ধনুৰ্দ্ধারণ-পূর্বক আপনার পার্থে দণ্ডায়মান হইল, কোন ব্যক্তি আপনার অভিথেকে বাধা দিতে পরিবে ? যদি কেহ প্রতিকূলতাচরণ করে, তাহ হইলে তীক্ষ শরক্ষেপে আমি এই অযোধ্যাপুরী নিৰ্ম্মনুষ্য করিব । যে ব্যক্তি ভরতের পক্ষ বা তাহার হিতাকাঙ্ক্ষী, আমি তাহাদিগের সকলকে সংহার করিব। আপনি জানিবেন, মৃত্ন লোকেই পরাভূত হইয়া থাকে। যদিই বা পিতা কৈকেয়ীর পক্ষপাতী হইয়া, তাহার উৎসাহে আমাদের বিপক্ষতাচরণ করেন, তাহা হইলে তাহাকেও বন্ধন করিব অথবা বিনাশ করিব। যদি গুরুলোকে কাৰ্য্যাকাৰ্য্যজ্ঞানশূন্ত, গৰ্ব্বিত ও কুপথগামী হন, তাহ হইলে তাহাকে শাসন করা অসঙ্গত নহে। হে পুরুষোত্তম ! মহারাজ কোন যুক্তির আশ্রয় গ্রহণ করিয়া জ্যেষ্ঠত্ব হেতু আপনার প্রাপ্য রাজ্যাধিকার ১। মদীয় পূৰ্ব্বপুরুষ অসমগ্র প্রজাবধাদি দোষে নির্বাসিত হইয়াছিলেন, রামচন্ত্রে তজপ দোৰভাব নাই। ২। এই রামাবতার ত্রেতা ও আপরের সন্ধিকালে হুইয়াছিল, তখন কিঞ্চিদধিক একপাদ অধৰ্ম্ম প্রবেশ করায় তদনুসারেই লক্ষ্মণের এইরূপ উক্তি সম্ভব হইয়াছে ; এবং পরোপদেশ লাভ করিয়া কৈকেয়ীর ঐক্ষপ বুদ্ধি হইয়াছিল,এবং ভগবান রামচন্ত্রের হল গ্রহণ করিয়া বালিবধে প্রবৃদ্ধি झरेब्रक्किज, अरै क्ड डिलक नामक फ्रेंकोकोप्द्रब्र ।