পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

O অযোধ্যাকাও করেন, আমি একাকী তাহ নিবারণ করিব। জানিবেন, আমার বাহুযুগল শরীরের শোভা-সম্পাদনের জন্য স্থষ্ট হয় নাই, ভূষণের জন্য ধনুৰ্দ্ধারণ নহে। এই অসি কটিদেশে বান্ধিয়া রাখিবার জন্য ধারণ করা হয় নাই এবং এই শরে কাষ্ঠভার অবতারিত হয় না । তায্য কথা কি বলিল, যদি সুরপতি উপস্থিত ব্যাপারে শক্রতা করিতে সচেষ্ট হন, আমি বিদ্যুদবৎ তীক্ষুধার অসির সাহায্যে র্তাহাকেও খণ্ড খণ্ড করিয়া ফেলিব। আমার এই খড়গ হস্তীর শুণ্ড, অশ্বের উরু এবং পদাতির মস্তক সকল চূর্ণ করিয়া, রণভূমিকে নিতান্ত দৃদ্ধর্ষ করিয়া তুলিবে। অদ্য আমার অসি-প্রহারে বিপক্ষগণ শোণিতাক্ত-শরীরে প্রদীপ্ত বঙ্গি ও সবিদ্যুৎ মেঘের স্যায়,শোভিত হইয়া রণভূমিতে শয়ন করিয়া থাকিবে। আমি প্রতিজ্ঞা করিয়া বলিতেছি যে, গোধা-চৰ্ম্ম-বিনিৰ্ম্মিত অঙ্গুলিত্র ও দিব্য শরাসন ধারণ করিয়া দণ্ডায়মান হইলে, কোন বীরপুরুষ আমাকে পরাজয় করিতে পরিবে ? আমি বহুতর বাণনিক্ষেপে এক ব্যক্তিকে এবং একমাত্র শরাঘাতে অনেককে বিনষ্ট করিয়া, হস্তী, অশ্ব ও মনুষ্যের মৰ্ম্মস্থান নিরন্তর বিদ্ধ করিয়া ফেলিব। হে প্রভো ! অদ্য মহারাজের প্রভুত্ব বিনাশ এবং আপনার প্রভুশক্তি সংস্থাপনার্থে আমার বাহুশক্তি প্রদর্শিত হইবে। অধিক কি বলিব, আমার যে হস্ত চন্দনলেপন, কেয়ুরধারণ, অর্থবিতরণ ও সুহৃদগণের প্রতি সৌজন্ত-প্রদর্শনের পক্ষে প্রকৃত উপযুক্ত, অন্ত সেই হস্ত আপনার রাজ্যভিষেক-ব্যাঘাতকদিগের বিরুদ্ধে অনুরূপ কার্যসাধন করিবে । হে প্রভো ! আপনি অনুমতি করুন, কাহাকে ধন, প্রাণ ও সুহৃদগণ হইতে বঞ্চিত করিতে হইবে ? আমি আপনার কিঙ্কর, আমাকে বলুন, যেরূপে এই মেদিনী আপনার হস্তগামিনী হয়, আমি তদনুষ্ঠানে যত্নবান হই। রঘুকুল-বিবৰ্দ্ধন রামচন্দ্র লক্ষণের এইরূপ উক্তি শ্রবণ করিয়া, তাহাকে বারংবার S8O সান্তনা ও তদীয় অশ্রজল মার্জনা করিয়া কহিলেন, বৎস! আমি সম্যকপ্রকারে পিতৃসত্যপালনই সৎপথ : বলিয়া অবধারিত করিয়াছি ; অতএব তাহা হইতে আমি নিবৃত্ত হইব না। ২৯-৪১ βαυκαππαπ' চতুৰ্ব্বিংশ সর্গ কৌশল্য রামচন্দ্রকে পিতৃসত্য-পালনে কৃতনিশ্চয় দেখিয়া, বাষ্পরুদ্ধকণ্ঠে ধাৰ্ম্মিকপ্রলর রামকে কহিতে লাগিলেন,—যে রাম মহারাজ দশরথের ঔরসে আমার গর্ভে জন্মগ্রহণ করিয়াছেন, শৈশবকালাবধি দুঃখ কি পদার্থ, যিনি তাবগত নহেন, তিনি কি প্রকারে উদ্ধৃবৃত্তিতে’ দিনপাত করিবেন ? যাহার ভূত্য ও পরিচারকেরা উৎকৃষ্ট অন্নভোজন করে, সেই রামচন্দ্র বনে ফলমূলভোজনে কিরূপে দিনপাত করিবেন ? রাজার প্রিয়পুল গুণনিধি রাম নির্বাসিত হইতেছেন, এ কথা কে বিশ্বাস করিবে, এবং বিশ্বাস হইলেও এখন হইতে পুত্রমাত্রেই পিতাকে ভয়ের কারণ বলিয়া কাহার মনে না হইবে ? যখন হে রাম! তুমি লোকপ্রিয় হইয়াও বনবাসী হইলে, তখন সুখদুঃখের নিয়ামক দৈবই যে প্রধান, তাহ নিশ্চয়রূপে প্রতীয়মান হইতেছে। বৎস! গ্রীষ্মকালীন হুতাশন ষেরূপ বৃক্ষলতাদির দাহক, তক্রপ তোমার শোকানল আমার হৃদয় ভেদ করিয়া উপচীয়মান হইবে ; তোমার আদর্শনরূপ বায়ু উহাকে প্রজালিত করিয়া তুলিবে ; মনোদুঃখ উহার কাষ্ঠ, নেত্রজল আহুতি এবং চিন্তাসমুখিত বাষ্প ধূমরূপে প্রকাশিত হইবে। হে বৎস! ধেনু যেরূপ বংসের অমুগামিনী হইয়া থাকে, সেইরূপ আমিও তোমার সঙ্গ পরিত্যাগ ৩ । “জীবতো বাকাকরণাৎ প্ৰতাং ভূরিভোজনাৎ। গয়ায়াং পিণ্ডদানাচ্চ ত্রিভিঃ পুত্রস্ত পুত্ৰত৷ ৷ ” এই শাস্ত্রায়ুসারে পিতৃবাক্য পালন করা সৰ্ব্বতোভাবে কৰ্ত্তব্য । ১। ক্ষেত্রে পতিত ধান্ত-ববাদি, যাহা ক্ষেত্ৰৰামী কর্তৃক উপেক্ষিত, সেই সকল সংগ্রহ করার নাম উদ্ধৃত্তি, এই স্থানে ফল-মূলাদি গ্রহণকেই ढाका कब्रिब्रां ॐ अंक अदृग्नां★ कब्र इऍग्नां८ह ।