পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌ8br বাল্মীকি রামায়ণ কি কারণে তোমার অমুগামী হইতেছেন না ? তোমার আমার গুণের উল্লেখ করিও না। আমি তোমাকে অগ্রে অত্যুৎকৃষ্ট পুষ্পরথ বেগগামী অশ্ব- বিশেষ করিয়া বলিতেছি, ভরতের নিকটে আমার চতুষ্টয় সংযোজিত হইয়া কি জন্য ধাবিত হইতেছে গুণকীৰ্ত্তন করিলে তুমি অনুকূলভাবে তিষ্ঠিতে পারবে না ? হে বীর ! তোমার অগ্রে কৃষ্ণমেঘবর্ণ পর্বতা- না। মহারাজ তাহাকে যৌবরাজ্য প্রদান করিলেন, কৃতি সুদৰ্শন সুলক্ষণ হস্তীর গমন না হইবারই বা কারণ কি ? পরিচারকগণ সুবর্ণনিৰ্ম্মিত ভদ্রপীঠ স্বন্ধে লইয়া তোমার অগ্ৰে যাইতেছে না কেন ? যখন অভিষেকের জন্য সমস্তই সংগৃহীত, তখন তোমার মানমুখ হইবার কারণ কি ? কি নিমিত্ত পূর্ববৎ বিদ্যুদ্বিনিন্দিত হাস্যচ্ছটা লক্ষিত হইতেছে না ? ৯-১৮ সীতাপতি সাঁতার মুখে এইরূপ কাতরোক্তি শ্রবণ করিয়া কহিলেন, প্রাণাধিকে ! পূজ্যপাদ পিতৃদেব আমাকে বনবাসী করিয়াছেন। হে মহাকুলপ্রমুতে ! ধৰ্ম্মচারিণি ২ জানকি ! যে কারণে আমার ভাগ্যে এ হেন ঘটনা ঘটিয়াছে, বলিতেছি, শ্রবণ কর। সত্যপ্রতিজ্ঞ পিতৃদেব মহারাজ পূর্বে দেবী কৈকেয়ীকে দুইটি বর দিতে অঙ্গীকৃত হইয়াছিলেন । মহারাজ আদ্য আমার অভিষেক জন্য সমস্ত দ্রব্য সংগ্ৰহ করিলেও ভাগ্যক্রমে কৈকেয়ী পিতাকে বরসম্বন্ধীয় পূর্ব-প্রতিশ্রুতি স্মরণ করাইয়া দেন। মহারাজ সত্যে বদ্ধ হওয়াতে দ্বিরুক্তি করিতে পারেন নাই। এক্ষণে সেই বরের প্রভাবে চতুর্দশ বৎসরের জন্য আমাকে বনবাসী হইবার আদেশ হইয়াছে। উপস্থিত যৌবরাজ্য ভরতের অধিকার। আমি এক্ষণে অরণ্যযাত্রা করিয়াছি, কেবল তোমার সহিত সাক্ষাৎ করিবার জন্য আমার এখানে আগমন । তোমাকে বলি,তুমি ভরতের সমক্ষে কদাচ অামার প্রশংসায় প্রবৃত্ত হইও না। আমি জানি, যাহারা ধনেশ্বর, তাহারা অষ্ঠের গুণকীৰ্ত্তন সহা করিতে পারে না । আমি এই জন্য তোমাকে নিষেধ করি, ভরতের সাক্ষাতে , ৰ’। অতিশয় অপ্রিয় শ্রবণে সীতার অভ্যন্ত মোৰ না হউক, এই fषट्कळमांश्ा गौङांब्र विदिश् ७iमैंत्राशं जप्त्वांक्षन ब्रिह्मांश्न-शशांकूजপ্রস্থতে ! ইত্যাদি। তিনি এক্ষণে নৃপতি, অতএব তাহাকে প্রীত রাখা তোমার কৰ্ত্তব্য। হে মনস্বিনি ! আমি পিতৃসত্যপালনার্থে অদ্যই অরণ্যযাত্রা করিব, তুমি এ জন্য চিন্তিত হইও না । ১৯-২৮ হে কল্যাণি ! আমি বনপ্রস্থিত হইলে, তুমি ব্ৰতোপবাসাবলম্বনে দিনপাত করিও । এখন হইতে প্রতিদিন প্রাতঃকালে শয্যা পরিত্যাগ করিয়া দেবপূজা-সমাধান্তে জনেশ্বর পিতৃদেবের চরণ-পূজা করিও। আমার জননী কৌশল্য অতিশয় প্রাচীন ; বিশেষতঃ, তিনি সন্তাপনিবন্ধন অতিশয় কৃশ হইয়াছেন ; অতএব ধৰ্ম্মের মর্য্যাদা রক্ষা করিয়া তাহার সেবা করা কৰ্ত্তব্য। আমার মাতৃগণ স্নেহাতিশয় নিবন্ধন অন্নপানাদি দ্বারা আমাকে লালনপালন করিয়াছেন, অতএব তাহদের বন্দনা করা তোমার কৰ্ত্তব্য । আমার প্রাণাপেক্ষ প্রিয়তর কুমার ভরত-শক্রকে তুমি ভ্রাতা বা পুত্রবৎ দেখিও । হে বৈদেহি! ভরত এই দেশ ও এই বংশের রাজা হইলেন ; অতএব তুমি কদাচ তাহার অপ্রিয় কামনা করিও না। জানিও, সৌজন্য যত্নাতিশয়ে সেবিত হইলে, নৃপগণ প্রসন্ন হইয়া থাকেন ; ইহার বিপৰ্য্যয় ঘটিলে কুপিত হন। ইহারা আপনাদের ঔরস পুত্রকে অহিত্যচারী দেখিলে, তৎক্ষণাৎ পরিত্যাগ করিয়া থাকেন সত্য, কিন্তু নিঃসম্বন্ধীয় ব্যক্তি সুযোগ্য হইলে তাহাকে সমাদর করিতে ক্রটি করেন না। জানকি ! আমি তোমাকে বলিতেছি, তুমি রাজা ভরতের আজ্ঞামুগামিনী হইয়া সত্যব্রত ধারণ-পূর্বক এইখানে বাস করিতে থাক । হে প্রিয়ে । আমি অরণ্যে গমন করিব। হে ভামিনি ! তুমি এই স্থানেই অবস্থিতি করিবে। এই স্থানে বাসকালীন কাহারও সম্বন্ধে