পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

O অযোধ্যাকাও একত্রিংশ সর্গ যে সময়ে রামের সহিত সীতার এইরূপ কথোপকখন হয়, লক্ষণ পূর্ব হইতে সেই স্থানে উপস্থিত থাকিয়া উভয়ের এই প্রকার কথাবার্তা শুনিতেছিলেন ; শ্রবণমাত্রে তাহার নয়ন হইতে অশ্ৰুজল নিপতিত হইতে লাগিল, তিনি অতিকন্টে শোকাবেগ সংবরণ করিলেন। তিনি সে সময়ে ভ্রাতার চরণযুগল দৃঢ়ৰূপে জড়াইয়া ধরিয়া অভিবাদন-পূর্বক যশস্বিনী জনকনন্দিনী ও মহাব্ৰত অগ্রজ রামচন্দ্রকে সম্বোধন করিয়া বলিতে লাগিলেন, যদি মুগগজাদি-সেবিত বনে গমন করাই আপনাদের সুনিশ্চিত হইয়া থাকে, তাহা হইলে ধনুৰ্দ্ধারণপূর্বক আমি আপনাদের অগ্রে গমন করিব। যেখানে পতঙ্গ ও মৃগযুথ মধুরস্বরে রব করিয়া থাকে, আপনি সেই সুরম্য প্রদেশে আমার সমভিব্যাহারে বিচরণ করিবেন। আমি আপনাকে ছাড়িয়া দেবলোক, ঐশ্বৰ্য্য বা অমরত্ব কোন বস্তুরই প্রাণী নহি । তখন মহাতেজ রামচন্দ্র বনগমনে সমুদ্যত, ধীরভাবাপন্ন, কৃতাঞ্জলিপুটে অবস্থিত লক্ষণকে বহুপ্রকার সাস্তুনাবাক্যে নিষেধ করিলে, লক্ষণ পুনর্বার বলিলেন, হে আৰ্য্য ! আপনি পূর্বে অভিষেক-ক্রিয়া-নিবৃত্তির সময়েই আমাকে বনগমনে অনুমতি দিয়াছেন, তবে এক্ষণে কেন পুনর্বার আমাকে বনগমনে নিবারণ করিতেছেন ? হে নিষ্পাপ । যে জন্য আপনি আমাকে বনগমনে নিষেধ করিতেছেন, উহা আমি জানিতে বাসনা করি। তখন মহাতেজ রাম সম্মুখে অবস্থিত অগ্রযায়ী, প্রার্থনা-পরায়ণ, কৃতাঞ্জলি লক্ষণকে বলি CR | ) ఇన్స్ ১। জাতৃবিচ্ছেদকাতর লক্ষ্মণ শরণাগতবৎসল রামকে স্বীয় दबर्णमनोबूबडिब्र छछ। चबू८ब्रोक्ष कब्रि८ठ ७ष्ठङ रुद्देब्रो७ °ोप्इ ठिनि चचेौङ्कङ इरान, ७३ उछ,नौठांब निका?७ डिनि थापना कब्रिग्राहिएणन ! ७एक्छ-नीठ ब्रांबद्दक बणिज्ञ शश्वप्नंब्र अभन जष्ट्रामांनब कब्राश्ट्ठ ইহাই মুখ্য উপায়, এই মনে করিয়া উহার সীতার নিকট | እ® ® বৎস! তুমি ধাৰ্ম্মিক, ধীর, সৎপথাবলম্বী ও আমার প্রাণভূল্য প্রিয় ; তুমি আমার বশ্ব ও সখা । হে সৌমিত্রে ! তুমি অন্ত যদি আমার সহিত বনগামী হও,তাহা হইলে যশস্বিনী জননী কৌশল্যা ও সুমিত্রার প্রতিপালন-ভার কে লইবে ? পৰ্জ্জস্য যেরূপ পৃথিবীর পক্ষপাতী হয়, তাহার স্যায় মহাতেজ মহীপতি কামকিঙ্কর হইয়া, কৈকেয়ীর প্রতি আসক্ত হইয়াছেন ; স্বতরাং জননীদের কামনা কিরূপে পূর্ণ হইবে ? কেকয়রাজনন্দিনী এই রাজ্য হস্তগত করিলে, দুঃখী সপত্নীগুণের সম্বন্ধে সাধু ব্যবহার করিবেন না। ভরতের রাজ্যপ্রাপ্তি ঘটিলে, তিনি জননীর বশবৰ্ত্তী হইয়া মাতা কৌশল্যা ও সুমিত্রাকে স্মরণ করিবেন না । হে অনুজ! তোমাকে এই জন্য বলি, তুমি স্বয়ং বা রাজার অনুকম্পায় যেরূপে হউক, এই স্থানে অবস্থিতি করিয়া, মাতৃদিগকে ভরণপোষণ কর। হে ধৰ্ম্মজ্ঞ । এরূপ কাৰ্য্য করিলে, আমার প্রতি তোমার অসীম ভক্তি প্রদর্শিত হইবে ; জানিও, গুরুলোকের সেবাশুশ্রীষা করিলে, তাহাতে সবিশেষ ধৰ্ম্মসঞ্চয় ঘটিয়া থাকে। হে বংস ! তুমি আমার জন্য আমার জননীর লালনপালন-ভার গ্রহণ কর । যদি আমরা তাহদের প্রতি দৃষ্টিপাত না করি এবং আমরা তাহাকে ত্যাগ করিয়া বনগমন করি, তাহ হইলে, র্তাহার অসুখের সীমা থাকিবে না। ১০-১৭ বাক্যকোবিদ রামচন্দ্র এইরূপ মধুর বাক্য কহিলে, লক্ষণ বিনীতভাবে তাহাকে বলিতে লাগিলেন,— আর্য্য ! ভরত আপনার প্রতাপে প্রকম্পিত হইয়া, প্রযতভাবে যে জননী কৌশল্য ও সুমিত্রীকে প্রতিপালন করিবেন, তাহাতে কোনও সন্দেহ নাই। যদি ভরত এই রাজ্য হস্তগত করিয়া মন্দপথে পরিচালিত হন, যদি গর্বের বশীভূত হইয়৷ দুরভিসন্ধিক্রমে মাতৃগণের রক্ষণাবেক্ষণ না করেন, তাহ হইলে আমি নীচাশয় সেই ক্ররের প্রাণ সংহার করিব ; অন্য কথা কি, ত্রিলোকমণ্ডল একত্রিত হইয়ার্তাহার পক্ষে