পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যাকাও ভেদ করিয়া ফেলিল, সকলেই ‘হা রাম’ এই কথা বলিয়া রোদন করিতে লাগিলেন। তখন রাম ও লক্ষণ সজললোচনে মূচ্ছিত নৃপতিকে বাহু দ্বারা আলিঙ্গন করিয়া সীতার সহিত পৰ্য্যন্ধে স্থাপিত করিলেন । ৯-২০ ক্ষণকাল পরে নৃপতির চৈতন্যাবস্থা ঘটিলে, বাষ্প শোকাচ্ছন্ন রাজাকে রামচন্দ্র কৃতাঞ্জলি-পূর্বক বলিতে লাগিলেন,—মহারাজ ! আমি দণ্ডকারণ্যে প্রস্থিত হইয়াছি, আপনি আমাদের সকলেরই অধীশ্বর, আমি বিদায় প্রার্থনা করিতেছি, আপনি শুভদৃষ্টিতে আমার প্রতি একবার দৃষ্টিপাত করুন। আমি যদিও নানাবিধ হেতুবাদ প্রদর্শন-পূর্বক লক্ষণ ও সীতাকে আমার অনুগমন বিষয়ে নিরস্ত করিতে চেষ্টা পাইয়াছি, কিন্তু তাহাতেও ইহারা আমার অনুবৰ্ত্তী হইয়াছেন। আপনি ইহাদের গমনে অনুমতি প্রদান করুন । অনুমতি দিয়াছিলেন, তাহার ন্যায় আমাদের এই তিন জনকে বনে যাইতে অনুমতি দিউন । অকারণ শোকের অধীন হইবেন না। তখন মহীপাল বনবাসসমুদ্যত পুত্রকে আদেশাপেক্ষী দেখিয়া তাহার প্রতি দৃষ্টিপাত-পূর্বক কহিলেন;–হে রাঘব ! আমি কৈকেয়ীর বরপ্রসঙ্গে মুগ্ধ হইয়াছি ; অতএব আমাকে নিগ্রহপূর্বক তুমি এই অযোধ্যার সিংহাসনে রাজ হও । ধৰ্ম্মধুরন্ধর রামচন্দ্র পিতার এরূপ বাক্য শ্রবণ করিয়া কৃতাঞ্জলিপুটে বলিতে লাগিলেন,—২১-২৭ মহারাজ ! আপনি অতঃপর সহস্ৰ বৎসর পরমায়ু লাভ করিয়া পৃথিবী পালন করিতে থাকুন, আমি অরণ্যযাত্রা করি ; রাজ্যভোগে আমার স্পৃহা নাই। আমি চতুর্দশ বৎসর বনবাসী হইয়া, আপনার প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করিয়া, প্রত্যাগমন-পূর্বক পুনর্বার শ্রীচরণে প্রণাম করিব।” এই সময়ে কৈকেয়ী রাম প্রজাপতি যেরূপ আত্মজদিগকে তপস্যার্থ ১৬১ বাক্যের অনুমোদনের জন্য অন্তরালে অবস্থিতি করিয়া রাজাকে ইঙ্গিত করিতেছিলেন। নৃপতি তদর্শনে সজলনয়নে দীনবচনে রামকে কহিলেন,—২৮-৩০ হে তাত 1 পরলোক ও ইহলোকের মঙ্গলকামনায় তুমি নিরাপদে গমন কর, তোমার গমন-পথ ভয়শূন্য হউক। তুমি নিৰ্দ্ধারিত সময়ের পর নিরাপদে প্রত্যাগমন করিও । বৎস! তুমি সত্যসন্ধ ও ধৰ্ম্মবুদ্ধি, তোমাকে বনগমন হইতে নিবৃত্ত করা আমার সাধ্য নহে। অনুরোধ, অদ্য রজনী এখানে অতিবাহিত কর । তোমাকে এক দিন দেখিতে পাইলেও আমার সুখের সীমা থাকে না। তুমি অস্ত তোমার জননী ও আমাকে দেখা দিয়া, আমার সহিত ভক্ষ্যভোজ্য গ্রহণ-পূর্বক কল্য প্রভাতে অরণ্যযাত্রা করিও। হে বৎস! তুমি অতি দুষ্কর ধৰ্ম্মকাৰ্য্যসাধনে প্রবৃত্ত হইয়াছ ; বলিতে কি, আমার পরলোকহিতের জন্য বনবাস স্বীকার করিয়াছ। রাঘব ! আমি সত্যের নামে শপথ করিয়া বলিতেছি, ন, এরূপ কাৰ্য্য আমার অভিপ্রেত নহে। আমি ভস্মাচ্ছন্ন অগ্নিসদৃশ গুঢ়ীভিপ্রায়শালিনী কৈকেয়ী কর্তৃক স্বাধীনতা হইতে বিচলিত হইয়াছি। আমি এই কুলচরিত্রনাশিনী কৈকেয়ীর নিকট যে বঞ্চনা লাভ করিয়াছি, তুমি উহা হইতে নিস্তীর্ণ হইতে ইচ্ছা করিয়াছ। রাম । পুত্রদিগের মধ্যে তুমি সর্বজ্যেষ্ঠ ও সর্বাংশে শ্রেষ্ঠ ; তুমি যে পিতৃসত্যপালনার্থ যত্নবান হইবে, ইহা আশ্চর্য্যের কথা নহে। ৩১-৩৮ অনন্তর সামুজ রামচন্দ্র শোকাৰ্ত্ত নৃপতির এরূপ কাতরোক্তি শ্রবণ করিয়া, দীনভাবে পিতৃদেব দশরথকে কহিলেন,—পিতঃ, আমি অদ্য যেরূপ রাজভোগ পাইতে পারিব, কল্য তাহা কে দিবে ? এই AA BBB D DD DBB DDD DDSTBDD DDDB BB BB B BBBBBB BBBBB BBB BBDD SDDDDDDS Wojव्रंषझ DD DBBD DDD BBDDD DDDD DBBDD DBBS BBB BBDD DDBBS BB BD DD DDDD DDDS i DDBBD BBB BDD DDB BDDDDS DDD DDD DS BBS BBB BB BBB BBBS 3 *