পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যাকাও করুক ; ধনেশ্বর বণিকৃগণ পণ্য-সমাভিব্যাহারে গমন করুক । যাহারা রামের আশ্রয়ে পালিত ও যে সকল মল্প বীৰ্য্য-পরীক্ষার জন্য রামের সহিত ক্রীড়া করিয়া থাকে, তাহাদিগকে প্রচুর অর্থ প্রদান করিয়া রামের সমভিব্যাহারী করিয়া দেও। সর্বোত্তম অস্ত্র-শস্ত্র ও শকট সকল সঙ্গে গমন করুক ; অধিক কি বলিব, অরণ্যপথবেত্তা ব্যাধ ও নগরের লোকমাত্রেই রামের অনুবত্তী হউক। ইহারা ধনে বাস করিয়া মুগাদি বধ, বস্ত্যমধু পান ও নদ-নদী সন্দর্শন করিয়া নগরবাস বিস্তৃত হইবে। আমার ধন-ধাস্তাদি যে কিছু কোষাগারে আছে, তৎসমভিব্যাহারে পরিচারকগণ বনগমন করুক। প্রাণাধিক রাম বনে গমন করিয়া পবিত্র স্থানে ঋষিদিগের সহিত সম্মিলিত হইয়া ভূরিদক্ষিণ যজ্ঞকাৰ্য্য সমাধা করত পরম মুখে বাস করিতে থাকুন। পুরীমধ্যে যে কিছু ভোগদ্রব্য আছে, সকলই রামের সঙ্গে পাঠাইয়া দেও ; অবশেষে ভরত আসিয়া অযোধ্যার রাজপাট গ্রহণ করিবেন । ১-৯ মহারাজ দশরথ এই কথা কহিলে, কৈকেয়ীর অন্তরে আতঙ্কের আবির্ভাব হইল, র্তাহার মুখ শুষ্ক ও স্বর রুদ্ধ হইয়া উঠিল। তিনি বিষণ্ণ ও সন্ত্রস্ত হইয়া নৃপতিকে কহিলেন, মহারাজ ! যদি এই পুরী হইতে সমস্ত ধনসম্পত্তি নিষ্কাশিত হয়, তাহা হইলে পীতসার সুরার স্যায় নিফল রাজত্বে ভরতের প্রয়োজন কি ?২ যখন নির্লজ্জ কৈকেয়ী এইরূপ নিষ্ঠর বাক্য বলিতে লাগিলেন, তখন মহারাজ দশরথ রোষ-কষায়িতলোচনে তাহাকে কহিলেন,—অনাৰ্য্যে ! তুই আমাকে ভারবহন কাৰ্য্যে নিযুক্ত করিয়াছিস, তাই কর; তবে আবার আমাকে মৰ্ম্মাহত করিতেছিস কেন ? তুই ত রামবনবাস প্রার্থনাকালে এ কথার ২। মূলে পত্তমও বলা হইয়াছে, মও শৰে দধির সারাংশও कूकाग्र, नक्नौउ ७रुङ श्रेष्ण cगरे बषिङ ब्रि छाड्ड ब्राप्बाब्र जांब्रजदा छजिब्रां 6नंटल निट्टनांब ब्रांज7 छब्रछ अंझ्नं कब्रिाब न । देहांदे कटकन्नैौब्र यजिषांब्र छां९°र्वा । ᎼᏬQ উল্লেখ করিস্ নাই ? দশরথের এই প্রকার সামর্ম বাক্য শ্রবণ করিয়া, কৈকেয়ী অতিশয় কুপিত হইলেন এবং তৎক্ষণাৎ রাজাকে সদপে এই কথা বলিলেন,— মহারাজ ! তোমার বংশে সগররাজ জ্যেষ্ঠপুত্র অসমঞ্জকে রাজ্য হইতে দূরীভূত করিয়াছিলেন, এক্ষণে তুমিও সেইরূপ রামকে রাজ্য হইতে দূরীভূত করিয়া বনবাসী কয়। কৈকেয়ী এই কথা কহিলে, রাজা দশরথ তাহাকে ধিক্কার প্রদান করিলেন। সভাস্থ জনগণ অবস্থা দেখিয়া শুনিয়া লজ্জায় ম্রিয়মাণ হইলেন। সে সময়ে কোপনস্বভাবা কৈকেয়ী রাজার ধিক্কার বা সাধারণের লজ্জিতভাব অণুমাত্র গণনা করিলেন না । ১০-১৭ এই সময়ে প্রধানরাজপুরুষ সিদ্ধার্থ নামে এক জন বৃদ্ধ সেখানে উপস্থিত ছিলেন, তিনি মহারাজের অতিশয় প্রিয়পাত্র । তিনি কৈকেয়ীকে বলিলেন,— দেবি ! অসমঞ্জ অতিশয় দুৰ্বত্ত ও লোকদ্রোহী ছিল। সেই দুৰ্ম্মতি থেলা করিতে করিতে অন্যান্য শিশুদিগকে ধরিয়া লইয়া, সরযুতে নিক্ষেপ-পূর্বক আমোদ করিত । তাহার কাও দেখিয়া প্রজালোক অতিশয় অসন্তুষ্ট হইল এবং রাজার নিকটে আসিয়া তাহার অত্যাচার-কাহিনী বিবৃত করিল। তাহার বলিল, মহারাজ ! আপনি অসমঞ্জকে, না আমাদিগকে রাজ্যে রাখিতে ইচছা করেন ? তখন নৃপতি তাহাদিগকে কহিলেন, তোমাদের এরূপ আতঙ্কের কারণ কি ? তাহারা কহিল, মহারাজ ! আপনার পুত্র অসমঞ্জ আমাদের শিশুদের সঙ্গে পথে খেলা করিতে করিতে তাহাদিগকে ধরিয়া সরযুজলে নিক্ষেপ-পূর্বক আমোদ করিয়া থাকে। তখন প্রজাবৎসল নরনাথ তাহদের প্রতি অত্যাচার জানিতে পারিয়া, তাহদের হিতের জন্য ঘোর অহিতকারী আপনার পুত্রকে পরিত্যাগ করিয়াছিলেন। রাজার আদেশে সেই পাপাশয় ভাৰ্য্যার সহিত সপরিচ্ছদে বানারোহণ-পূর্বক যাবজ্জীবনের জন্য নির্বাসিত