পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>b"o ব্ৰাহ্মণদিগকে পদব্রজে আগমন করিতে দেখিয়া, দয়াপরবশ হইয়া, রথবেগ অবলম্বন-পূর্বক তাহদিগকে অতিক্রম করিতে পারিলেন না। তখন দ্বিজগণ প্রার্থনাপূরণে সন্দিহান হইয়া, রামকে গমন করিতে দেখিয়া, সন্তপ্তমনে র্তাহাকে এই কথা কহিলেন,—১১-২০ রাজপুত্র । তুমি ব্রাহ্মণের প্রিয় বলিয়া, ব্রাহ্মণগণ তোমার অনুগামী হইতেছেন, অগ্নি তাহদের স্কন্ধাধিরূঢ় হইয়া তোমারই অনুবত্তী হইতেছেন। জলাপগমে মেঘের স্যায় শুভ্ৰ, বাজপেয়-যজ্ঞ লব্ধ ছত্র সকল তোমারই সঙ্গে চলিয়াছে। তোমার সঙ্গে ছত্র নাই, রৌদ্রের উত্তাপে কষ্ট হইলে, আমরা বাজপেয়যজ্ঞ-লব্ধ স্বীয় ছত্র দ্বারা তোমায় ছায়া সম্পাদন করিব। আমাদের যে বুদ্ধি সতত বেদমন্ত্রানুসারে চালিত হইয়া থাকে, হে বৎস! তাহা তোমার নিমিত্ত বনবাসার্থে নিয়োগ করিলাম। যে বেদ আমাদের পরম ধন, তাহা নিয়ত হৃদয়ে রহিয়াছে, যদি আমরা তোমার অনুগমন করি, তাহা হইলে, আমাদের সহধৰ্ম্মিণীগণ সতীধৰ্ম্মে রক্ষিত হইয়া, অনায়াসে গুহধৰ্ম্ম করিতে পরিবেন। বলিতে কি, যখন আমরা তোমার অনুবত্তী হইতে কৃতনিশ্চয় হইয়াছি, তখন অরণ্যগমনে আর সন্দেহ কি ? যদি তুমি আমাদের কথায় উপেক্ষা করিয়া ধৰ্ম্মের প্রতি লক্ষ্য না কর, তাহ। হইলে, তুমি কিরূপে ধৰ্ম্মপথে প্রস্থিত হইবে বল ? আমরা অধিক বলিতে চাহি না, আমরা হংসসদৃশ শুক্লকেশশোভিত শিরঃ ধুলিলুষ্ঠিত করিয়া প্রার্থনা করি, তুমি বনগামী হইও না। আরও দেখ, যে সকল ব্রাহ্মণ তোমার অনুবত্তী হইতেছেন, হঁহাদের অনেকেই বিস্তৃত যজ্ঞানুষ্ঠান করিয়াছেন, যদি তুমি বনগমনে নিবৃত্ত না হও, তাহা হইলে, ঐ বাজ্ঞিক ব্রাহ্মণদিগের যজ্ঞ সম্পন্ন হইবে না। আরও DDT AT TSMSMA TSMMSMSMSMMS २ । ईशंब्र छांबॉर्ष dई cष, ईश इईरण ॐ नकल यtखद्र १िइ cठांबी चाँबांदै जबूडैिड इरेष्व । বাল্মীকি-রামায়ণ o বিবেচনা করিয়া দেখ; সংসারের সকল প্রকার জীব তোমাকে অতিশয় ভক্তি করিয়া থাকে, তাহারা তোমার বনগমনে বাধা দিতেছে ; এক্ষণে তুমি নিবৃত্ত হইয় তাহদের প্রতি সস্নেহদৃষ্টি প্রদর্শন কর। চাহিয়া দেখ, অত্যুন্নত বৃক্ষশ্রেণীর মূলদেশ ভূগর্ভ-সন্নিবিষ্ট বলিয়, তাহাদের বেগ খৰ্ব্ব হইলেও, তাহারা তোমার অনুবত্তী হইতে অসমর্থ হইয়া, বায়ুবেগশব্দে যেন তোমার বনপ্রবেশ নিষেধ করিতেছে। দেখ দেখ, পক্ষিগণ বৃক্ষশাখায় উপবেশন করিয়া, আপনাদের অহারব্যাপারে নিশ্চেষ্ট হইয়া, সৰ্ব্বভূতে দয়াপরতন্ত্র তোমার বনগমন-নিবৃত্তি প্রার্থনা করিতেছে। ব্রাহ্মণগণ উচ্চৈঃস্বরে এইরূপ বলিতেছেন, এমন সময়ে রাম দেখিলেন, যেন তমসা-নদী তাহদের প্রতি কৃপাপ্রদান করিয়া তাহার বনগমনে নিষেধ করিতেছেন। এই সময় সুমন্ত্র পরিশ্রান্ত অশ্বদিগকে রথ হইতে উন্মোচন করিয়া দিলে, তাহারা ভূলুষ্ঠিত হইলে, তদনন্তর তিনি স্নানকাৰ্য্যাবসানে তাহদের আহারার্থে তৃণাদি প্রদান করিলেন । ২১-৩৩ ষট চত্বারিংশ সর্গ তদনন্তর রামচন্দ্র মনোহর তমসাতীরে উপবেশন করিয়া সীতার প্রতি দৃষ্টিপাত-পূর্বক লক্ষণকে কহিলেন,—ভাতঃ ! অদ্য বনবাসের এই প্রথম রাত্রি উপস্থিত ; অতএব তুমি অযোধ্যাপুরী স্মরণ করিয়া উৎকণ্ঠিত হইও না । বৎস! তুমি চাহিয়া দেখ, মৃগপক্ষিগণ আপনাপন আবাসে আগমন-পূর্বক এই শূন্ত কাননে কলরব করিতেছে ; বোধ হইতেছে যেন, আমাদের অবস্থা দেখিয়া তাহারা রোদনে প্রবৃত্ত হইতেছে। অন্ত পিতার রাজধানী অযোধ্যানগরীর স্ত্রীপুরুষ সকল ব্যক্তিই আমাদের জন্য শোক করিবে। পিতৃ, তুমি, আমি, শক্রয় ও ভরত আমাদের এই কয় জনের ব্যবহারে তাহারা সকলেই অতিশয় বশীভূত