পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

O অযোধ্যাকাও এই কথা শুনিতে পাইলেন যে, কামের বশীভূত রাজা দশরথকে ধিক ! হায় ! পাপীয়সী, নিষ্ঠ রহৃদয়, তীক্ষস্বভাবা, ত্যক্তমৰ্য্যাদা কৈকেয়ী আজ কি কঠোর কাৰ্য্য করিয়াছেন । তিনি ধৰ্ম্মসীমা অতিক্রম করিয়া, মহারাজের এরূপ গুণনিধান, দয়ানিধান, ধাৰ্ম্মিক, জিতেন্দ্রিয় পুত্রকে বনবাসী করিলেন । রাজা দশরথ সন্তানের প্রতি অতিশয় নিঃস্নেহ, যদি তাহা না হইবেন, তবে প্রজারঞ্জক প্রিয়পুত্র রামকে বনবাসী করিবেন কেন ? কোশলেশ্বর রাম গ্রাম্য প্রজাগণের এরূপ উক্তি শ্রবণ করিয়া, কোশল দেশের শেষ সীমায় উপনীত হইলেন। ১-৮ তদনন্তর পুণ্যসলিল বেদশ্ৰুতি-নামী নদী পর হইয়া, দক্ষিণাভিমুখে যাইতে লাগিলেন। তিনিকিয়ৎক্ষণের পর স্নিগ্ধসলিলবাহিনী সাগরগামিনী গোমতীকে প্রবাহিত হইতে দেখিলেন। ঐ নদীর তীরদেশে গো সকল সঞ্চরণ করিতেছিল । রামচন্দ্র শীঘ্ৰগামা অশ্বে গোমতী পার হইয়া ময়ূর-হংসরবশালিনী স্তন্দিকনাম্নী নদী উত্তীর্ণ হইলেন। পূর্বকালে মহাত্মা মনু ইক্ষাকুকে যে জনপদ-পরিবৃত প্রদেশ প্রদান করিয়াছিলেন, রামচন্দ্র সীতাকে তাহ দেখাইতে লাগিলেন। তদনন্তর শ্ৰীমান রামচন্দ্র বার বার সুমন্ত্রকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন,—আমি দেশে প্রত্যাগমন-পূর্বক পিতামাতার সহিত সম্মিলিত হইয়া, কবে আবার সরযু তটস্থিত কুস্থমিত কাননে মৃগয়া করিব ? যদিও মৃগয়া-ব্যাপার আমার নিতান্ত প্রীতিপ্রদ নহে, কিন্তু রাজর্ষিগণের অভিপ্রেত বলিয়া, ইহাকে নিষিদ্ধ বলিতে পারি না।” রামচন্দ্র স্বমন্ত্রের সহিত এইরূপ ও ১ । স্ত্রী, জুতি, স্বগয়া, মগু, কঠোর বাক্য প্রয়োগ, উগ্রদগুবিধান, जटर्षब जनवादशंब्र, *ई जांठ*ि cनाव ब्रांखांप्नब्र मचरक कौउिँउ शईग़ांप्राइ, इंशप्मब्र बख्थिनखिएँ cनांव । वृनंब्रां अनरण बल इऍब्रांपह, शंखांनि *त ৰাণ দ্বারা_স্বগয়ায় তা করিবে না, এবং মাংসপ্ৰাদ্ধাদির जड़ वृत्रंब्रां विहिङ, &थtजां★जबकांग्रैौ श्धि बाजांघि वर्ष कब्रां७ ब्रांजष%, ७ई नकल विप्दछनां कब्रिब्रांदे ब्रांभ में कथां श्ञञ्चरक বলিয়াছেন । 8 ՖԵաQ অন্তরূপ মধুরালাপ-পূর্বক গন্তব্য পথ অতিক্রম করিতে: atffitCa- I s-»v পঞ্চাশ সর্গ অনন্তর রাম গমনসময়ে বিশাল সুরম্য অযোধ্যার দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া কৃতাঞ্জলিপুটে কহিলেন, হে রাজধানি! তুমি রঘুবংশীয়দিগের চির-প্রতিপালিত। আমি তোমার নিকটে বিদায় প্রার্থনা করি, তুমি এবং তোমাতে যে সমস্ত দেবতা বাস করিয়া থাকেন, র্তাঙ্গারা সকলে আমার প্রতি কৃপা করুন। আমি বনবাস হইতে প্রত্যাগত ও পিতৃসত্য হইতে উন্মুক্ত হইয়া, পিতা-মাতার সহিত একত্র তোমায় দর্শন করিব। তদনন্তর কমললোচন রামচন্দ্র দক্ষিণ বাহু উত্তোলন-পূর্বক সজল নয়নে জনপদবাসীদিগকে বলিলেন,—হে জনপদবাসিগণ ! তোমরা আমার প্রতি যেরূপ সম্মান ও দয়া করিতে হয়, তাহার ক্রটি কর নাই ; অতএব এক্ষণে আর অধিকতর দুঃখভোগ করা কৰ্ত্তব্য নহে ; অতএব তোমরা প্রতিগমন কর, এবং আমরাও নিজ কাৰ্য্যসাধনে প্রস্তুত হই। তদনন্তর জনপদবাসিগণ রামকে প্রণাম করিয়া গৃহে প্রত্যাগমন করিতে লাগিল । মধ্যে মধ্যে র্তাহাকে দেখিবার জন্য এক একবার সজলনয়নে দাড়াইয়া বিলাপ করিতে লাগিল। ক্রমে রাম খিদ্যমান জনপদবাসিগণের দৃষ্টি অতিক্রম করিলেন। ক্ষণদামুখে দিবাকর যেরূপ অদৃশ্য হন, তিনি সেইরূপ অদৃশ্য হইলেন। তিনি যাইতে যাইতে দেখিলেন, তত্ৰত্য নানাস্থান ধন-ধান্তে পরিপূর্ণ, সেখানে বিস্তর লোকের বসতি, স্থানে স্থানে চৈত্য, দেবাধিষ্ঠানবৃক্ষ ও যুপসকল শোভাবিস্তার কুরিতেছে। তত্ৰত্য উদ্যান সকল আম্রকাননে পরিপূর্ণ, জলাশয়গুলি বিস্তৃত, নিৰ্ম্মল জলে সুশোভিত, লোকসকলতুষ্ট ও পরিপুষ্ট, স্থানে স্থানে গোকুলের অপূৰ্ব্ব শোভাবিস্তার। ঐ