পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ువbు আমি অনেকবার ঐ পথে গমন করিয়াছি। উহা অতি কোমল, দাবদাহের সম্পর্ক উহাতে নাই এবং ঐ পথে যাইবার সময় মনে প্রীতি জন্মিয় থাকে। মহর্ষি এইরূপ পথের পরিচয় দিয়া নিবৃত্ত হইলেন। রামও তথাস্তু বলিয়া, তাহাকে বন্দনা করিয়া অমুগমনে নিবৃত্ত করিলেন । ১-১০ মুনি নিবৃত্ত হইলে পর রাম লক্ষণকে কহিলেন, —ভাই ! আমরা যথার্থ পুণ্য করিয়াছি ; যে হেতু, মহর্ষি আমাদিগকে অনুকম্পা করিতেছেন। মনস্বী পুরুষশ্রেষ্ঠ রাম ও লক্ষণ উভয়ে এইপ্রকার 'মন্ত্রণ করিয়া, সীতাকে আগে করিয়া তরঙ্গিণী যমুনার তীরে গমন করিলেন। তথায় অবিলম্বে উপনীত হইয়া, কিরূপে সত্বর নদী পার হইবেন,চিন্তা করিতে লাগিলেন। পরে কাষ্ঠ সকলের দ্বারা প্রকাণ্ড এক ভেলা প্রস্তুত করিলেন। তদনন্তর মহাবীর লক্ষণ বনজাত শুষ্ক বেণার মূল, বেঙ্গস ও জম্বুশাখা সকলে আচ্ছাদন ও আবরণ করত, সীতার জন্য সুখময় আসন নিৰ্ম্মাণ করিলেন। তখন দশরথাত্মজ রাম অচিন্ত্যরূপিণী লক্ষীর স্যায় প্রিয়তমা সীতাকে তথায় আরোহণ করাইলেন। তাহাতে তিনি ঈষৎ লজ্জিত হইলেন। অনন্তর রাম ভেলার পার্শ্বভাগে বৈদেহীর বসনভূষণ এবং খনিত্র ও পেটক এই সমুদায় দ্রব্য অতি সাবধানে রক্ষা করিলেন । এইরূপে অগ্রে সীতাকে আরোহণ করাইয়। পরে দশরথাত্মজ রাম ও লক্ষণ উভয়ে যত্ন-পূর্বক সেই ভেলা গহণ করিয়া, প্রতিভরে যমুনা পার হইতে লাগিলেন। নদীর মধ্যস্থলে আসিয়া, সীতা তাহার বন্দনা করিলেন, এবং কৃতাঞ্জলি হইয়া কহিলেন, দেবি । আমি তোমার পার হইতেছি । আমার স্বামী নির্বিবয়ে যেন তাহার ব্ৰতপালন করিতে পারেন এবং তিনি ইক্ষাকুপালিত অযোধ্যায় প্রত্যাগমন করিলে পর, আমি তোমাকে সহস্ৰ গো, শত স্বরাপুর্ণ কলস প্রদানপূর্বক পূজা बबिब् ।। ९४-९० so বাল্মীকি-রামায়ণ বরবর্ণিনী জনকনন্দিনী কৃতাঞ্জলি হইয়া এই ৷ প্রকার প্রার্থনা করিতে করিতে যমুনার দক্ষিণ তীরে আসিয়া উপনীত হইলেন। অনন্তর সকলে ভেল। করিয়া শীঘ্ৰগামিনী ও তরঙ্গময়ী সুৰ্য্যতনয়া যমুনা পার হইলেন । এই কালিন্দীতীরে নানাজাতীয় বৃক্ষ সকল উৎপন্ন হইয়া থাকে। র্তাহারা যমুনা পার হইয়া, ভেল পরিত্যাগ করিলেন। পরে যমুনার তীরবর্তী বন হইতে প্রস্থান করিয়া, তাহারা সুশীতল হরিদ্বর্ণ পর্ণশোভিত শুমি নামক বটবৃক্ষের সমীপস্থ হইলেন । জানকী তথায় গমন করিয়া, সেই বটবৃক্ষের অভিবাদন করিলেন এবং কহিলেন, হে বৃক্ষ ! তোমাকে নমস্কার করি । তোমার প্রসাদে আমার স্বামীর যেন ত্ৰত উদযাপন হয়। আমরা যেন কৌশল্যা ও যশস্বিনী সুমিত্রাকে পুনরায় দর্শন করিতে পারি। এইরূপে মনস্বিনী সীতা কৃতাঞ্জলিপুটে শুমবটবৃক্ষ প্রদক্ষিণ করিলেন । অনন্তর রাম পরম অনুকূলবৰ্ত্তিনী প্রিয়তমা সীতাকে স্যামবটের নিকট প্রার্থন করিতে দেখিয়া লক্ষণকে কহিলেন। ২১-২৬ হে ভ্রাতঃ ! তুমি সীতাকে লইয়া অগ্রে অগ্ৰে গমন কর। হে নরোত্তম! আমি আয়ুধ ধারণ-পূর্বক তোমার পশ্চাৎ পশ্চাৎ গমন করিব। এই জনকনন্দিনী সীতার চিত্তে যে যে দ্রব্যে আনন্দ উপস্থিত হয়,*ইনি যে যে পুষ্প ও ফল প্রার্থনা করেন, তুমি হঁহাকে সেই সেই ফল ও পুষ্প প্রদান করিবে। অনন্তর সীত৷ যাইতে যাইতে যে সমস্ত অভূতপূর্ব বৃক্ষ,গুল্ম ও পুষ্পসমম্বিতা লতা দেখিতে পাইলেন, তৎসমস্ত রামকে জিজ্ঞাসা করিতে লাগিলেন। লক্ষণও উপহার , বাক্যানুসারে কুস্বমস্তবকশোভিত বহুবিধ রমণীয় বৃক্ষশাখা আনয়ন করিলেন । তৎকালে জনকনন্দিনী সীতা বিচিত্রবালুকশোভিত এবং হংস ও সারসসমূহে অভিনাদিত, বিচিত্র জলশালিনী যমুন দর্শনে আনন্দ-. লাভ করিলেন । তৎপরে রাম ও লক্ষণ উভয় जांउम्र ७क cजग* शमन कब्रिग्रा, बशूनांडीब्रदर्से कन