পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

O অযোধ্যাকাণ্ড কৌশল্যাকে প্রতিজনক মধুর বাক্যে বলিতে লাগিলেন,—” পথশ্ৰম, বায়ুবেগ, ব্যস্ততা, অথবা আতপতাপ, কিছুতেই জানকীর সেই চন্দ্রকিরণশোভাময়ী বিমল প্রভা মান হয় নাই। অথবা, র্তাহার সেই পদ্মসদৃশ ও পূর্ণচন্দ্র-প্রতিভ স্বকুমার বদনমণ্ডলও মলিন হইয়া যায় নাই। র্তাহার চরণযুগল স্বভাবতঃ অলক্তক-রসের স্যায় রক্তবর্ণ ; সুতরাং অলক্তক-বিহীন হইয়াও অদ্যাপি উহাদের পদ্মকেশরের সদৃশ স্বকুমার প্রভার কিছুমাত্র হানি হয় নাই। তিনি রামের প্রতি অনুরাগবশতঃ আজিও অলঙ্কার ত্যাগ করেন নাই। তিনি পদবিন্যস্ত নূপুর-রবে হংসাদির ধ্বনি ঘৃণিত করিয়া, বিলাসভরে গমন করিয়া থাকেন। তিনি রামের বাহুবল আশ্রয় করিয়া, বনমধ্যে গজ বা সিংহ অথবা ব্যাঘ্ৰ দেখিয়াও কোন অংশেই কিছুমাত্র শঙ্কা করেন নাই। অতএব, আপনি র্তাহাদের জন্ত, নিজের জন্য ও রাজা দশরথের জন্য শোক করিবেন না। বলিতে কি, রামের এই অদ্ভুত চরিত চিরকালই লোকে প্রচারিত থাকিবে । র্তাহারা এখন বনবাসী ও বন্য ফলমূলাশী তপস্বী হইয়াছেন ; সুতরাং একেবারেই শোক ত্যাগ করিয়া, নিতান্ত প্রফুল্লচিত্তে পিতার পবিত্র আজ্ঞা পালন করিতেছেন। কৌশল্য পুত্ৰশোকে নিতান্ত কাতর হইয়াছিলেন ; সুমন্ত্র ঐরপে যুক্তিযুক্ত বাক্যে আশ্বাস প্রদান করিলেও তিনি শান্ত না হইয়া, হা প্রিয় পুত্ৰ ! ১। অযোধ্য হইতে নিৰ্গমনকালীন কৈকেয়ীর প্রতি সীতার *क्रष बांका ८कौनलाॉब्र मैठियन श्रेष्व भद्रन कब्रिग्नां श्मश्च बलिट्ठ জারভ করেন, পরে বিবেচনা করিয়া দেখিলেন, এই বাক্যে বৃদ্ধ রাজ ও বৃদ্ধ রাণীর প্রাণহানি ঘটিতে পারে ; সুতরাং উহা বলা অনুচিত। তাই বাক্যের মধ্যস্থলে উহ। গোপন করিয়৷ অন্তভাবে বলিয়াছিলেন, কবি এই সীতার পকৰ উক্তি পরে প্রকাশ করিয়াছেন, স্বমন্ত্র বিদায়কালীন তাহার छूठांविंडेॉब बउ खांब अवर ब्रांबभूथविज्ञैौक्रम कब्रिग्रl cकांन कष मा वणां, ७ईक्र- पर्ननां जांtछ। बूककांc७ गडेरें जांप्ङ्

  • णकांक्ष उब 'झग्निौ निश्खः कूजनचनः”

६करकन्नैौब श्रृंग्लांख्यिाब्र,जबtiा श्विजड चाब्रा ब्राम निरठ श्रण उब्राउब्र ब्रांबा निकै)क हईरव, cनई डांबई जवलक्ञ कब्रिग्नां नैौडांब्र भै छैखि “কচ্চিৎ সকাম কৈকেয়ী স্নখিত সা ভবিৰাতি । বন জুৰাতি রাজ্যেন পুৱার্ধে নীৰদপিণী।” ইত্যাদি २०१ হা রঘুনন্দন ! বলিয়া বারংবার ক্ৰন্দন করিতে লাগিলেন । ১২-২৩ একষষ্টিতম সর্গ গুণাভিরাম ধৰ্ম্মরত রামচন্দ্র বনগত হইলে কৌশল্য ব্যাকুল-হৃদয়ে রোদন করিতে করিতে স্বামী দশরথকে কহিলেন,—দয়ালু,দানশীল ও প্রিয়বাদী বলিয়া, তিন লোকেই আপনার বিপুল যশ বিস্তৃত হইয়া উঠিয়াছে। বিশেষতঃ আপনি নরবরশ্রেষ্ঠ, তবে আপনি কিরূপে, কোন প্রাণে বধুমাতা সীতার সহিত দুই পুত্রকে বনবাসী করিলেন ? আহা ! রামলক্ষণ পরম মুখে প্রতিপালিত হইয়াছেন ; কখন ক্লেশের লেশমাত্র জানেন না ; না জানি, কি করিয়া এই ক্লেশ সহ করিবেন! সীতার এই তরুণ বয়স ; বিশেষতঃ তিনি সৰ্ব্বদাই সুখভোগ করিবার যোগ্য পাত্রী। সেই কোমলাঙ্গী জনকনন্দিনী জানকীও না জানি কিরূপে শীতাতপ সহ্য করিবেন ! আহা ! আয়তলোচনা জানকী সৰ্ব্বদাই সুন্দর, রসনাতৃপ্তিকর ব্যঞ্জন সহিত উপাদেয় অন্ন ভক্ষণ করিয়াছেন। এখন তিনি কিরূপে অরণ্যের নীবার-ধান্তের অন্ন ভক্ষণ করিবেন ? আহা ! সেই কল্যাণী নিয়ত মনোহর গীতবাদ্য শ্রবণ করিয়াছেন ; এখন তিনি কিরূপে মাংসাশী সিংহ প্রভৃতি হিংস্ৰক পশুগণের দারুণ কঠোর শব্দ শ্রবণ করিবেন ? আহা ! এখন সেই মহাবল মহেন্দ্ৰধ্বজ তুল্য রাম সুবিশাল ভুজ উপধান করিয়া, কোথায় শয়ন করিতেছেন ? না জানি, আবার আমি কত দিনে রামের সেই পদ্মসদৃশ-আয়ত-লোচন, পদ্ম-সদৃশ-মনোহর বর্ণ এবং পদ্ম-সদৃশ সুগন্ধি নিশ্বাসযুক্ত, স্বকোমল কেশগুচ্ছ-বিরাজিত, পরম মুকুমার মুখমণ্ডল দেখিতে পাইক । আমার হৃদয় নিশ্চয়ই বজ্রসম, তাহাতে সন্দেহমাত্র নাই ; কেন না, রামকে না দেখিয়া, এখনও উহা সহস্রখণ্ডে বিদীর্ণ হইতেছে না। মহারাজ ! আপনি বুদ্ধগণের সহিত পরামর্শ