পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যাকাও বিলম্ব হইল ? যাহা হউক, শীঘ্ৰ পানীয় বারি লইয়া আইস । তাত ! তুমি যে এতক্ষণ জলে খেলা করিতেছিলে, তোমার মাতা সে জন্য উৎকণ্ঠিত ও কাতরা হইয়াছেন। এক্ষণে কুটীরে প্রবেশ কর। যশোভাজন ! আমি বা তোমার মাতা যদি কিছু অপ্রিয় করিয়া থাকি, তুমি তাহা মনে করিও না। আমরা অগতি ও চক্ষুহীন ; তুমিই আমাদের গতি ও চক্ষু। আমাদের প্রাণ তোমাতেই আসক্ত ; অতএব তুমি কি জন্য কথা কহিতেছ না ? ১-১০ মুনি বৃদ্ধত্ব নিবন্ধন অপরিস্ফুট স্বলিত অথচ গদগদ ও অস্ফুট স্বরে এইরূপ কহিলে, আমি অত্যন্তই ভীত হইলাম এবং সবিশেষ যত্ব সহকারে তাৎকালিক ভাব গোপন করিয়া তাহাকে পুলবিয়োগরূপ বাসন ভয়ে বলিলাম, ভগবন । আমি ক্ষত্রিয় ; আমার নাম দশরথ । আমি আপনার পুত্র নহি। অধুনা সাধুজনবিগর্হিত স্বকৰ্ম্ম-জনিত এই দুঃখ প্রাপ্ত হইয়াছি । আমি পান-ভূমিতে জলপান জন্য সমাগত হস্তী বা অন্য কোন শিকারী জন্তু বধ করিবার মানসে, শরাসন হস্তে সরযুতীরে আসিয়াছিলাম । তথায় জলমধ্যে কুন্তপূরণশব্দ শুনিয়া, হস্তী বোধে তাহার উপর শরাঘাত করিলাম। অনন্তর সরযুর তীরে গমন করিয়া দেখিলাম, এক ঋষি মৃতপ্রায় হইয়া, ভূমিতে শয়ন করিয়া রহিয়াছেন। আমার শরে তাহার হৃদয় একেবারেই নিভিন্ন হইয়াছে । তিনি অনবরত পরিতাপ করিতেছেন ; তৎপরে আমি তাহার নিকটে যাইয়া, তাহারই কথামতে তৎক্ষণাৎ মৰ্ম্ম হইতে শর উদ্ধৃত করিলাম। শর উদ্ধৃত হইবামাত্র তিনি তখনই স্বর্গে প্রস্থান করিলেন । প্রস্থানসময়ে আপনাদের উদেশে কতই শোক ও বিলাপ করিতে লাগিলেন । আমি না জানিয়াই সহসা আপনার পুত্রের প্রাণহত্যা করিয়াছি ; তিনি স্বগে গমন করিয়াছেন। এক্ষণে ఫ్ఫిరి হউন । ১ মংকথিত এই দারুণ কথা শুনিয়া, ভগবান মুনি আমাকে শাপ প্রদান করিতে পারিলেন না। পরস্তু বাষ্পপূর্ণ-বদন ও শোকমূচ্ছিত হইয়া নিশ্বাস ত্যাগ করিতে করিতে মহাতেজ অঞ্জলিবদ্ধ আমাকে বলিলেন,—১১-২১ তুমি যে এই দুষ্কৰ্ম্ম করিয়াছ, যদি নিজেই আমাকে না বলিতে, তাহা হইলে তোমার মস্তক এখনই শত সহস্র খণ্ডে বিদীর্ণ হইয়া যাইত । হে রাজন। ক্ষত্ৰধৰ্ম্মাবলম্বী মহেন্দ্রও যদি সম্যক বানপ্রস্থধৰ্ম্মানুষ্ঠায়ী ব্যক্তিকে জ্ঞান- বধ করিতেন, তবে তাহাকেও স্থানচ্যুত হইতে হইত। আমার পুত্রের স্যায় ব্রহ্মবাদী তপোনিষ্ঠ ঋষির উপর জ্ঞান-পূর্বক শরত্যাগ করিলে ত্যাগকৰ্ত্তার মস্তক সপ্তধ বিদীর্ণ হইয়া যাইত। তুমি না জানিয়াই এই গহিত অনুষ্ঠান করিয়াছ, সেই জন্য এখনও বাচিয়া আছে ; অন্যথা তোমার কথা কি, সমগ্র রঘুবংশ নির্মুল হইত। যাহা হউক, রাজন! এখন তুমি আমাদিগকে তথায় লইয়া যাও । আমরা একবার বৎসকে শেষ দেখা দেখিতে ইচ্ছা করি । র্তাহার সহিত ইহ-জন্মে আমাদের তার কখনও দেখা হইবে না । আহা ! বৎস মৃত্যুর বশীভূত ও সংজ্ঞাহীন হইয়া, ভূমিতে শয়ন করিয়া আছেন, র্তাহার সর্বশরীর রক্তে ভাসিয়া গিয়াছে এবং বল্কল খসিয়া পড়িয়াছে। আমি পুত্ৰশোকাতুর ঋষিদম্পতীকে সেই স্থানে লইয়া গেলাম এবং তাহারা দেখিতে পান না বলিয়া, তাহাদিগকে অঙ্গ স্পর্শ করাইয়া দিলাম। র্তাহারা পুত্রের নিকটবৰ্ত্তী হইয়া, পুত্রকে স্পর্শ করিয়া, উভয়েই র্তাহার মৃত শরীরের উপর পতিত হইলেন । অনন্তর বৃদ্ধ ঋষি পুত্রকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন,—২২-২৯ বৎস ! তুমি আজি আমায় প্রণাম বা সম্ভাষণ s । ननंबरषत्र अडिथांब्र झ्नि, प,ि ॐांशंब्री चौकूङ इग्नन, उप्त বাহা কৰ্ত্তব্য হয়, তাহী করুন ; আমার প্রতি প্রসন্ন তিনি গুহাদের জীবনধারণের উপায় করিয়া দিবেন।