পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* >bー ষট্যষ্টিতম সর্গ রাজা দশরথকে শিখাহীন অগ্নির স্যায়, প্রভাহীন সুৰ্য্যের স্যায় স্বৰ্গস্থ দেখিয়া, কৌশল্যা শোককর্ষিত হইয়া, বাষ্প-পরিপূর্ণ-নয়নে রাজার মস্তক ক্রোড়ে ধারণ করিয়া, কৈকেয়ীকে বলিতে লাগিলেন,—হে নৃশংসে দুষ্টাচারিণি কৈকেয়ি! তুমি এক্ষণে পূর্ণমনোরথা হইলে, রাজাকে ত্যাগ করিয়া সুস্থচিত্তে নিষ্কণ্টকে রাজ্যভোগ কর । রাম আমাকে ত্যাগ করিয়া গিয়াছেন, ভৰ্ত্তাও স্বৰ্গস্থ হইলেন ; সুতরাং দুর্গমপথে সহায়ভূত পথিক-সঙ্গহীন পথিকের ন্যায় আমি আর জীবন ধারণ করিতে অভিলাষ করি না । তোমার তুল্য ধৰ্ম্ম-ত্যাগিনী নারী ব্যতীত কোন রমণী নিজের দেবতাস্বামীকে পরিত্যাগ করিয়া, জীবন-ধারণে অভিলাষ করে ? লুব্ধ ব্যক্তি কিম্পাক ভক্ষণ করিলে যে সকল দোষ ঘটে, সে তাহা বুঝিতে পারে না । হায় ! কুজার নিমিত্ত কৈকেয়া হইতে রঘুকুলের ধ্বংসসাধন হইল ! মহারাজ অনুচিত কার্য্যে নিযুক্ত হইয়া সীতার সহিত রামকে নির্বাসিত করিয়াছেন, রাজমি জনক এ কথা শুনিলে, আমার স্যায় পরিতাপান্বিত হইবেন। আমি যে অদ্য অনাথা ও বিধবা হইলাম, হায় ! সেই পদ্ম-পলাশলোচন ধাৰ্ম্মিক রাম ইহা জানিতে পারিলেন না ! হা! রামচন্দ্র জীবিত থাকিয়াও অদৃশ্য হইয়াছেন। হায়! চারুতপস্বিনী, দুঃখামুচিত বিদেহরাজ-দুহিতা সীতা দেবী বনে বিবিধ দুঃখলাভ করিয়া উদ্বিগ্না আছেন। ভীষণরবকারী মৃগপক্ষিগণের নিনাদ শ্রবণে ভীত হইয়া তাহাকে অবশ্যই রামের আশ্রয় _ SMSMSMS SLLLSTTMS S SMMMSTTS S ১ টাকাকারগণ বিপাক শব্দের নানাবিধ অর্ধ করিয়াছেন। কিম্পীক—নিম্ব। কতক বলেন, বিষবিশেষ, রামায়ণশিরোমণিকার বলেন, কিম্পাক ব্ৰাহ্মণাদির অভক্ষা পলাও লণ্ডনাদি, ইহার কোন অভিধান নাই, শব্দার্থ দ্বারা এই সকল অর্থ করা হয়, কিং কুৎসিতঃ পাঞ্চঃ পরিণামে। 'স্ত অর্থাৎ গুরপাকত্রব্যও বুঝাইতে পারে অথবা কিং কীর্শঃ পাকঃ পরিণামো যন্ত এই অর্থে পরিণামফল যাহার জানা নাই, এতাদৃশ ছুপাচ দ্রব্য ভক্ষণে যে দোষ আছে, তাৰ লোতী ব্যক্তি বিবেচনা না করিয়াই যেমন ভক্ষণ করে এবং পরিণামে পরিতপ্ত হয়, কৈকেয়ীর বর अह१७ उो६° । বাল্মীকি-রামায়ণ O গ্রহণ করিতে হইবে। সেই বৃদ্ধ এবং অল্পপুজ্ঞশালীং বিদেহরাজ সীতার বিষয় চিন্তা করত শোকসমাবিষ্ট হইয়া, নিশ্চয়ই প্রাণত্যাগ করিবেন। যাহা হউক, আমি অদ্যই পাতিব্ৰত্য-ধৰ্ম্ম রক্ষার্থ জীবন ত্যাগ করিব । স্বামীর এই শরীর আলিঙ্গন করিয়া হুতাশনে প্রবেশ করিব । ১-১২ কৌশল্য রাজা দশরথের মৃতদেহ আলিঙ্গন-পূর্বক দুঃখিত-মনে এইরূপ বিলাপ ও পরিতাপ করিতেছেন দেখিয়া, বহিরের ও অভ্যন্তরের সকল ব্যাপারে যাহারা নিযুক্ত, সেই সকল অমাত্যগণ স্ত্রী-পরিজন দ্বারা কৌশল্যাকে তথা হইতে অন্যত্র লইয়া গেলেন, এবং বশিষ্ঠ প্রভৃতি মন্ত্রিগণের আদেশানুসারে তৈলপূর্ণ কটাহে সেই মৃত রাজশরীর নিক্ষেপ করিলেন ও অনন্তর রাজকাৰ্য্য সকল সম্পাদন করিলেন । সৰ্ব্বজ্ঞ মন্ত্রিগণ পুত্র বিনা রাজা দশরথের প্রেতকার্ষ্য সমাধানে অভিলাষী হইলেন না, এ কারণে র্তহার মৃতদেহ ঐরূপ ভাবেই রাখিলেন। সচিবগণ তৈলপূর্ণ দ্রোণীতে রাজাকে শয়ন করাইলেন দেখিয়া, “হয় । ইহার মৃত্যু হইয়াছে!’ এই বলিয়া মহিষীরা বিলাপ করিতে লাগিলেন। অশ্র প্রস্রবণমুখী, শোকসমন্বিত, দীন রাজমহিলাগণ বাহু উত্তোলন-পূর্বক রোদন করত এইরূপ বিলাপ করিতে লাগিলেন,—মহারাজ ! নিয়ত প্রিয়বাদী, সত্যসন্ধ, রামবিহীন আমাদিগকে আপনি কেন পরিত্যাগ করিলেন ? হায় । আমরা বিধবা হইয়া সেই রামের বিরহে কি প্রকারে দুষ্টস্বভাব ২ । তাঁর্থনামক টীকাকার বলেন, অঙ্গপুত্র শব্দে জনকের কভামাত্র সপ্ততি ছিল, পুত্র ছিল না, কেহ কেহ বলেন, এক পুত্র ছিল। গোবিন্দরাজও জনককে অপুত্রক অর্থাৎ বস্তামাত্রই তাহার পুত্রস্থানীয় বলিয়াছেন ; কিন্তু স্মপুরাণের পাতালখণ্ডে ১৫শাধ্যায়ে জনকপুত্র লক্ষ্মীনিধি রামপক্ষে ৰথ লইয়া গমন করিয়াছিলেন এবং তিনি বছ স্থানে যুদ্ধ করিয়াছেন, ইহা বর্ণিত আছে। ৩। মৃত দশরথকে অমাত্যগণ দাহ করিলেন না কেন ? এই প্রশ্নের উত্তরে বলিতেছেন, পুত্র বার্তত দাহ ধৰ্ম্মগৰ্হিত, এই জন্ত সৰ্ব্বজ্ঞ মন্ত্রিগণ রাজদেহ তৈলমধ্যে রাখিলেন, ধর্শ্ব লৈাপ হইল না ; যেহেতু, উাহারা সর্বজ্ঞ, ইহা দ্বারা বুঝা যায়, শৰ তৈলমধ্যে রাখিলে পযুষিতাদি cणॆष इव ब ।।