পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যাকাণ্ড 驅 ఫిసిసి সপত্নী কৈকেয়ীর সমীপে বাস করিব ? সেই শ্ৰীমান আত্মবান রাম সকলেরই নাথ ; তিনি আমাদিগের এবং আপনারও রক্ষাকৰ্ত্তা ছিলেন ; তিনি ত রাজত্ৰ পরিত্যাগ করিয়া বনগামী হইয়াছেন। অতএব তাহার ও তাপনার বিরহে ব্যসনগ্রস্তা ও কৈকেয়ী কর্তৃক তিপস্থত হইয়া আমরা কি প্রকারে এখানে বস করিব ? নে কৈকেয়ী অাপনকে, রামকে, মহাবল লক্ষণকে ও সীতাকে ত্যাগ করিতে পারিল, সে তার কাহাকে না পরিত্যাগ করিতে পারে ? ১৩-২২ দশরথের মহিষী সকল শোকাকুল, বাষ্পপূর্ণলোচনা ও নিরানন্দ হইয় ভূতলে লুষ্ঠিত হইতে লাগিলেন। নক্ষত্রহীন রজনী ও ভর্তৃহীন কামিনী যেমন দীপ্তিবিহীন হয়, তৎকালে রাজা দশরথের বিরহে অযোধ্যাপুরীও সেইরূপ দৃতি হীন হইয়াছিল। তত্ৰত গুহাদির চত্বর ও প্রান্ত ভাগ সম্মার্জনাহীন এবং তত্ৰত্য পুরুষের বাষ্পাকুললোচন ও স্ত্রীলোকের হাহাকারকারিণী হওয়ায় সেই নগর পূর্ববং দীপ্তিলাভ করিল না। রাজা দশরথ পুত্ৰশোকপ্রযুক্ত স্বৰ্গস্থ এবং নৃপাঙ্গনার ভূতলস্থা হইলে, সুৰ্য্য অস্তগত এবং অন্ধকারের সম্মিত রজনী উপস্থিত হইল। ইক্ষাকুকুলবন্ধুগণ সকলে মিলিত হইয়া বিবেচনা করিয়া মৃত রাজা দশরথের পুত্রবিরহে দাহ করা কৰ্ত্তব্য বোধ করিলেন না ; সুতরাং তাহাকে সেই তৈলপূর্ণ কটাহমধ্যে স্থাপিত করিলেন । ই তৎকালে মহাত্মা রাজ দশরথের বিরহে অযোধ্যার পথ ও চত্বর সকল অশ্রপূর্ণকণ্ঠ জনগণে সমাকুল হওয়ায়, সেই নগরী ৪। পর্যুতিদাহনিষেধবোধক বচন, সকল ব্রাহ্মণ বিষযে বুঝিতে হইবে, স্বতরাং এ ক্ষেত্রে কোন বিরোধ নাই। এই স্থানে স্বহদ্বর্গের মিলিত বিচারে পুত্রের আগমনকাল পর্যন্ত প্রতীক্ষা স্থিরীকৃষ্ঠ হইয়া রাজদেহ তৈলত্রোণীতে রাখা হইয়াছিল, ইহা হইতে বুঝা যায়, কেহ কেহ বোধ হয় বলিয়াছিলেন যে, দৈববশতঃ রাজার পুত্ৰগণমধ্যে যখন কেহই অযোধ্যায় উপস্থিত নাই, তখন যে কোন প্রকারে রাজার দেহ সংস্কার করা হউক, রাজার দেহ দাহ না হওয়া পর্যাস্ত তাহার জ্ঞাতিবর্গের অশৌচ হয় নাই, অনপ্লিকের মরণাবধি অশৌচ হয়, সাগ্নিকের দাহানভর অশৌচ হয়, যথা—“মরণাদেব কর্তব্যং সংস্কারে যন্ত নাগ্লিন । দাহাদুৰ মশৌচং স্তাদ্যস্ত বৈতানিকে বিধি ॥” স্বৰ্য্যহীন গগন ও নক্ষত্রহীন রজনীর স্যায় প্রভাহীন হইল। দশরথের মৃত্যু হইলে, অযোধ্যানিবাসী কি নর, কি নারী সকলে দলে দলে মিলিত হইয়া, ভরতমাতা কৈকেয়ীকে নিন্দ করিতে লাগিল এবং এরূপ তর হইয়া পড়িল যে, কিছুতেই সুখানুভব করিতে পারিল না। ২৩-২৯ সপ্তষষ্টিতম সর্গ কাহারই মনে কিছুমাত্র আহলাদ নাই ; সকলেই সাশ্রুকণ্ঠে অনবরত রোদন করিতেছে। এই প্রকার শোকে ও দুঃখে ঐ রাত্ৰি যেন অতিমাত্র দীর্ঘ হইয়া উঠিল । তানন্তর উহা অতি কন্টে প্রভাত হইল। রাত্রি প্রভাত হইলে, সুর্ঘ্যের উদয়মাত্রে সমুদয় রাজকাৰ্য্যনিৰ্বাহকারী সেই সমস্ত ব্রাহ্মণ সভাস্থ হইলেন। তৎকালে মার্কণ্ডেয়, মোঁদগল্য, বামদেব, কাশ্যপ, কাত্যায়ন, গৌতম ও পরম যশস্বী জাবালি, এই সকল ব্রাহ্মণ রাজার অন্তিম কাৰ্মা সম্পাদনার্থ তথায় সমবেত হইলেন এবং মন্ত্রিগণের সহিত মিলিত হইয়া, শ্রেষ্ঠ রাজপুরোহিত বশিষ্ঠের অভিমুখীন হইয়া, রাজকাৰ্য্য সম্বন্ধে র্যাহার যে অভিপ্রায়, তদনুরূপ কথা সকল বলিতে আরস্ত করিলেন। রাজা দশরথ পুলশোকে পঞ্চয় পাওয়াতে এই রজনী আমাদের শত বর্মের তুল্য বোধ হইয়াছে। অতি কন্টেই আমরা ইহ যাপন করিয়াছি । মহারাজ স্বর্গে গেলেন ; রাম অরণ্য আশ্রয় করিলেন ; তেজস্বী লক্ষণও রামের অনুগামী হইলেন ; এ দিকে আবার শত্রুদমন ভরত ও শক্রয় দুই জনই কেকয়রাজ্যে রাজগৃহ নামক নগরে মাতামহের আলিয়ে বাস করিতেছেন। এইরূপে আমাদের এই অরাজক রাজ্য আশু বিনষ্ট হইবে । অতএব ইক্ষাকুবংশীয়গণের মধ্যে অন্তই কাহাকে রাজ করা پی۔د | چB چ