পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২০ রাজ্য অরাজক হইলে, বিদ্যুন্মালাযুক্ত গর্জনকারী মেঘ দিব্য জলধারায় পৃথিবীকে সিক্ত করে না। রাজ্য অরাজক হইলে, বীজ বপন হয় না। রাজ্য অরাজক হইলে, পুত্র পিতার বশ এবং স্ত্রী স্বামীর বশীভূত হয় না। অরাজক রাজ্যে ধন থাকে না এবং অরাজক রাজ্যে স্ত্রী সকলও বিনন্ট হয়। অরাজক রাজ্যে এইরূপ অত্যাহিত ঘটিয়া থাকে, অরাজক রাজ্যে ক্রয়-বিক্রয়াদি ব্যবহারে সত্য ব্যবহার কিরূপে সম্ভব হইবে, অরাজক রাজ্যে লোক সকল হৃষ্ট হইয়া স্যায়াদি বিচার জন্য সভা করে না অথবা রমণীয় উষ্ঠান ও পুণ্যজনক গৃহ সকল নিৰ্ম্মাণ করিতে পারে না। অরাজক রাজ্যে জিতেন্দ্রিয়, দৃঢ়ব্ৰত ব্রাহ্মণগণ যজ্ঞ সকলের অনুষ্ঠান করেন না। অরাজক রাজ্যে ধনবান ব্রাহ্মণ সকলও প্রধান প্রধান যজ্ঞ সকলে ঋত্বিকৃদিগকে দক্ষিণ প্রদান করেন না। অরাজক রাজ্যে যদ্বারা রাজ্যের উন্নতি সম্পন্ন হয়, তাদৃশ সভা উৎসব সকল বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় না এবং নট ও নর্তৃক সকল প্রফুল্লচিত্তে বাস করিতে পারে না। অরাজক রাজ্যে পণ্যজীবিগণের সমুদায় প্রয়োজন ব্যর্থ হইয়া থাকে এবং যে সকল লোক পুরাণ প্রভৃতি কথা শুনিতে আসক্ত, তাহারাও কথা-কথনে অনুরক্ত পৌরাণিকদিগের কথায় আর অনুরাগ প্রকাশ করে না। অরাজক রাজ্যে স্বর্ণালঙ্কারভূষিত কুমারীগণ সন্ধ্যাকালে একত্র মিলিত হইয়া ক্রীড়ার্থ উদ্যানে গমন করে না। অরাজক রাজ্যে ধনবানদিগের বিশিষ্টরূপে ধন রক্ষিত হয় না এ , যাহারা কৃষিকাৰ্য্য ও গো-রক্ষা দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে, তাহারা দ্বার খুলিয়া শয়ন করিতে পারে না। অরাজক রাজ্যে কামী পুরুষগণ শীঘ্রগামী বাহন সকলে আরোহণ করিয়া, স্ত্রীগণের সহিত অরণ্যবিহারে প্রস্থান করে না। "অরাজক রাজ্যে ষষ্টিবৰ্ষীয় বৃহন্দন্ত হস্তী সকল গলদেশে ঘণ্টা ধারণ-পূর্বক রাজপথ সকলে বিচরণ করে না । অরাজক রাজ্যে বাণ ও অস্ত্ৰ সকলের অভ্যাসসময়ে অনবরত শরসমূহে TSTS SSAAAA MM MSMSMS AAAAAS বাল্মীকি-রামায়ণ অভ্যাসনিরত পুরুষগণের তলশব্দ শুনিতে পাওয়া যায় না। অরাজক রাজ্যে দূরদেশগামী বণিকগণ বহুতর পণ্যদ্রব্য সঙ্গে লইয়া, নিরাপদে পথ চলিতে পারে না। র্যাহীদের মন ব্রহ্মের ধ্যানধারণায় আসক্ত, তাদৃশ যতি ও জিতেন্দ্রিয় ঋষিও অরাজক রাজ্যে সন্ধ্যাসময়ে যেখানে সেখানে থাকিতে পারেন না । অরাজক রাজ্যে অপ্রাপ্ত দ্রব্যের প্রাপ্তি ও প্রাপ্ত দ্রব্যের রক্ষা হয় না এবং সেনাগণ যুদ্ধে বিপক্ষ পক্ষের বলবিক্রম সহ্য করিতে পারে না । অরাজক রাজ্যে লোক সকল উংকৃষ্ট অশ্ব এবং সুসজ্জিত রথ সকলে আরোহণ করিয়া, সহসা ও নিরুদ্বেগে গমন করিতে সমর্থ হয় না। অরাজক রাজ্যে শাস্ত্রবিশারদ ব্যষ্টিগণ বন বা উপবনে বসিয়া শাস্ত্রালাপ করিতে পারে না । অরাজক রাজ্যে ব্রতশীল লোক সকল দেবতার অর্চনা জষ্ঠ্য মাল্য, মোদক ও দক্ষিণা প্রদান করেন না এবং রাজপুত্ৰগণ চন্দন ও অগুরু-চচ্চিত হইয়া, বসন্তকালের বৃক্ষ সকলের স্থায় বিরাজমান হয়েন না। নদী জলহীন হইলে বন তৃণহীন হইলে এবং গোসমূহ গো-পালকহীন হইলে, যেমন নিতান্ত শোচনীয় হয়, রাজ্য অরাজক হইলে তেমনি সৰ্ব্বাংশেই নষ্ট হইয়া যায়। যেরূপ ধ্বজ রথের এবং ধূম অগ্নির চিহ্ন, সেইরূপ যে রাজা প্ৰজাগণের চিহ্নস্বরূপ ছিলেন, তিনি এখন ইহলোক পরিত্যাগ করিয়া দেবত্ব প্রাপ্ত হইয়াছেন। রাজ্য অরাজক হইলে, কাহারও কোন দ্রব্য নিজের বলিয়া থাকে না । লোক সকল মৎস্যের ন্যায় সৰ্ব্বদাই পরস্পরকে বিনাশ করিয়া থাকে।” যে সকল নাস্তিক বর্ণাশ্রমমৰ্য্যাদা লঙ্ঘন করিয়া পূর্বে ১ । ইহার নাম মাৎস্তষ্ঠায়, প্রবল মৎস্ত যেমন ক্ষুদ্র মৎস্তগণকে ভক্ষণ করে, সেইরূপ রাজা না থাকিলে প্রবল ব্যক্তিগণ দুৰ্ব্বলকে বিনাশ করিয়া ধন-রত্ব প্রভৃতি অপহরণ করে। কৌটিলা অর্থশাস্ত্রের ১মাধিকরণে 8र्थीं५Tांtग्न चांtइ “অপ্রণীতে। হি মাৎস্তস্তায়মুদ্রভাবয়তি। বলীয়ান অবলং ছি গ্রসতে দণ্ডধরাভাবে । তেন গুপ্তঃ প্রভবতি - Q গৌড়েও এক সময়ে মাৎস্তভায় উপস্থিত হইয়াছিল, তখন প্ৰজাগণ ধৰ্ম্মপালের পিতা গোপালদেবকে মাৎকস্তায় দূর করিবার জন্ত রাজপদে বরণ করিয়াছিল ।