পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૨૨ 嗣 বাল্মীকি-রামায়ণ O মধ্য দিয়া ঐ সকল স্থান অতিক্রম করিয়াছিল ।২ পরে হস্তিনাপুরে যাইয়া, গঙ্গা পার হইয়া, পাঞ্চালরাজ্যে পদার্পণ-পূর্বক কুরুজঙ্গল প্রদেশের মধ্যবৰ্ত্তী পথ অবলম্বন করিয়া পশ্চিমাভিমুখে গমন করিতে লাগিল । পথিমধ্যে প্রফুল্ল সরোবর ও নিৰ্ম্মল জলপূর্ণ নদী সকল তাহদের নয়নপথে পতিত হইল ; কিন্তু তাহারা কাৰ্য্যবশতঃ কুত্ৰাপি বিলম্ব না করিয়া, অতি দন্ত গমন করিতে আরম্ভ করিল । অনন্তর তাহারা নানাপ্রকার জলচর পক্ষীর আশ্রয়, সুবিপুল ও নিৰ্ম্মলজলপূর্ণ পরম রমণীয় শরদণ্ডা নদী অতিক্রম করিয়া, তাহার পশ্চিমতীরবর্তী সত্যোপযাচন নামক নিকুলবৃক্ষ-নিকটে গমন করিল। ঐ তরুর নিকট যে মাহ প্রার্থনা করে, তাহাই সিদ্ধ হইয় থাকে ; এই জষ্ঠ উহার সত্যোপযাচন নাম হইয়াছে এবং এই নিমিত্ত সকলেই উহাকে নমস্কার করিয়া থাকে। তাহারা ঐ তরুবরকে প্রদক্ষিণ করিয়া, কুলিঙ্গ নাম্নী নগরীতে প্রবেশ করিল। তথা হইতে অভিকাল এবং অভিকাল হইতে তেজোভিভবন নামক গ্রাম দুইটি অতিক্রম করিয়া, পরে, ইক্ষাকুগণের পুরুষপরম্পরায় অধিকৃত পরম পবিত্র ইক্ষুমতী নদী পার হইল। পার হইবার সময়ে, ইক্ষুমতীর তীরে যে সকল বেদপারগ ব্রাহ্মণ অঞ্জলিমাত্র জলপান করিয়াই প্রাণ _ _ m _ ___ _ _ _ ___ _ _ _ ২ । এই শ্লেীকটির অর্থ টীকাকারগণ বিভিন্নরূপ করিয়াছেন, যখ—জবোধ হইতে পশ্চিমাভিমুখে গমন করিয়। অপরতাল ও প্ৰলম্বদেশের মধ্যে প্রবাহিত মালিনী নদী পার হইয়া উত্তরমুখে কিছু দূর গমন করিয়া তার পর প্রলম্বের উত্তরদিক দিয়া পশ্চিমাভিমূপে গিয়াঙ্কিল । অপর অর্থ-অপরতালের দক্ষিণভাগ ও প্রল স্বর উত্তরভাগে অবস্থিত মালিনী নদীর তীর দিয়া উভয় দেশের মধ্যপ্রদেশবৰ্ত্তী পথে গমন করিয়াছিল। অপর অর্থ—অপরতাল ও প্ৰলম্ব দুইটি পৰ্ব্বত, উহাদের মধ্যে মালিনী নদী প্রবাহিত, প্রথম অযোধা হইতে পশ্চিমাভিমুখে নির্গত হইয়। পৰ্ব্বতৰয়ের মধ্য দিয়া উত্তরমূপে কিছু দূর মালিনী নদীর তীরপথে যাইয় প্রলম্বের উত্তরদিক্ দিয়া পশ্চিমমূপে দূতগণ গমন করিয়াছিল । ( ৩ । উস্তু পশ্চিমদিকে গমন করিতে হস্তিনাপুরসমীপে অগ্নিকোণাভিমুখে প্রবাহিত গঙ্গা পার হইয়—কুঙ্কজাঙ্গলদেশ অর্থাৎ কুরুরাজোর একাংশে জনগণের বাস ও অপরাংশ জঙ্গলাকীর্ণ থাকায় डांहां८क कूङ्गञ्जात्रल दलिङ, छैशंग्न भथा निग्न *iांशंगंलग्नमनं थांख झईग्न দূতগণ গমন রিয়াছিল। ধারণ করিয়া আছেন, তাহাদিগকে দর্শন করিয়া, বাঙ্গলীক দেশের মধ্য দিয়া সুদাম নামক পর্বতে উপনীত হইল। তথায় বিষ্ণুর পদচিহ্ন, বিপাশা ও শালালী নামক নদীদ্বয় এবং তদ্ভিন্ন অনেক নদী, সরোবর, তড়াগ, পস্বল, পুষ্করিণী, বিবিধ সিংহ, ব্যাঘ্ৰ, মৃগ ও হস্তী সকল দর্শন করত, প্রভুর আদেশপালনে সমুৎসুক হইয়া, ক্রমাগত গমন করিতে লাগিল । পথের দূরত্ব বশতঃ তাহদের বাহন সকল ক্লান্ত হইয়া পড়িল ; তথাপি তাহারা বিলম্ব না করিয়া সত্বরে গিরিব্রজ নামক কেকয়পুরে উপনীত হইল।” এইরূপে তাহার প্রভুর প্রিয়সাধন, প্রজাগণের রক্ষণ এবং রঘুবংশের উদ্ধার জন্য কোনমতেই উপেক্ষ না করিয়া, রাত্রিতেই কেকয়নগরে উপনীত হইয়াছিল। ১১-২৩ একোনসপ্ততিতম সর্গ যে রাত্রিতে দূতগণ নগরে প্রবেশ করে, ভরত সেই রাত্রিতেই দুঃস্বপ্ন দর্শন করিলেন । রাজাধিরাজপুত্র ভরত রাত্রিপ্রভাতসময়ে’ তাদৃশ SMMMMSMSMSMS MM MMMA SMMMS SSSSSSLS SSSS ৪ । ইক্ষুমতী নদীতীরস্থ বাহীকদেশীয় বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণেরাও অঞ্জলিতে জলপান করেন, ইহা দেপিয়া দূতগণ গমন করিয়াছিল। কেহ কেহ বলেন, ইহা দ্বার। বাহী কদেশের অতান্ত অনাচার সুচিত হইয়াছে। যে দেশে লদপারগ ব্রাহ্মণেরাই ঐরপ কাৰ্য্য করে, সে দেশে অস্তের কথা আর কি বলিব, মহাভারতে কর্ণপৰ্ব্বে কর্ণ-শল্য-বিবাদে কর্ণ বলিয়াছিল যে— “বাহলীক নাম তে দেশ ন তত্ৰ দিবসং বসেৎ” ৫ । মুলাম। পৰ্ব্বতে বিষ্ণুপদাঙ্কিত স্থান আছে, বিপাশ। সুদাম পৰ্ব্বতের পার্থ দিয়া প্রবাহিত, শান্মলী নদী, কেহ কেহ বলেন, বিপাশাতীরবর্তী শিমূলকৃক্ষ। পথবিশেষ বর্ণন দ্বারা তীর্থভূমি বলিয়। অপর লোকেও যাহাতে গমন করিতে পারে, এই জন্ত ঋষি উল্লেখ করিয়াছেন । ৬ । কোন কোন পুথিতে পাঠ আছে— ‘नखब्रांप्ऊन शश tव मूडांप्छ थांखदांश्नॉई এই সর্গে প্রাচীন টীকাকার কতকের প্রদত্ত সংখ্যা বৃষ্টি জানা যায়, ৬টি মোক নাই। অর্থাৎ কতক এই সর্গে ২৮ মোক বলিয়াছেন । ১। প্রভাতকালের স্বপ্ন অতি শীঘ্ৰ ফল প্রদান করে বলিয়াই ভরত অতিশয় পরিতপ্ত হইয়াছিলেন।