পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যাকাণ্ড ૨૨૮ আমি এখন পিতৃদেবের নিকট গমন করিব। আবার করিল না।” তিনি তথায় প্রবেশ করিয়া, মাতামহ আপনি যখন আমায় স্মরণ করিলেন, উপস্থিত হইব । তখন কেকয়রাজ ভরতের শিরণ স্বন-পূর্বক বলিলেন,—ভরত ! কৈকেয়ী তোমা হইতে সংপুত্রের জননী হুইয়াছেন ; আমি অনুমতি দিতেছি, হে শত্রুদমন । তথায় যাইয়া মাতা-পিতাকে আমাদের কুশল বলিও । পুরোহিত বশিষ্ঠ ও অন্যান্য প্রধান প্রধান ব্রাহ্মণসমূহ এবং মহাধনুৰ্দর রাম ও লক্ষণ দুই ভ্রাতা সকলকেই অনাময় জানাইও । ১১-১৮ এই বলিয়া কেকয়পতি, ভরতকে সবিশেষ সৎকার করিয়া, উত্তম হস্তী, চিত্রকম্বল ও অজিনসমূহ প্রদান করিলেন। এতদ্ভিন্ন প্রকাণ্ডকায় কুকুর সকল দিলেন। ঐ সকল কুকুর অন্তঃপুরমধ্যেই যত্ন-পূর্ববক বদ্ধিত হইয়াছে ; সুতীক্ষ দংষ্ট্রাই উহাদের অস্ত্র এবং উহাদের বলবীৰ্য্য ব্যাঘ্ৰ সদৃশ। অনন্তর তিনি কৈকয়াপুল্ল ভরতকে সবিশেষ সমাদর-পূর্বক দুই সহস্ৰ স্বর্ণময় নিস্ক" ও ষোড়শ শত অশ্ব প্রদান করিলেন এবং তাহার অনুচর হইবার নিমিত্ত কতকগুলি আপনার মনোমত, বিশ্বস্ত ও গুণবান অমাত্য প্রদান করিলেন। অনন্তর ভরতের মাতুল যুদ্ধাজিৎ র্তাহাকে ইন্দ্রশিরনামক দেশোৎপন্ন ঐরাবত-বংশীয় পরম সুদৃশ্য হস্তিসমূহ এবং উত্তমরূপে বহন করিতে সমর্থ বেগগামী গর্দভ সকল প্রদান করিলেন । কিন্তু অতি ত্বরায় যাইতে হইবে বলিয়া, কৈকেয়ীপুত্র ভরত মাতামহের প্রদত্ত ধনলাভে সবিশেষ হৃষ্ট হইলেন না। দূতগণ ত্বরা দেওয়াতে এবং রাত্রিতে স্বপ্ন দেখাতে র্তাহার মনোমধ্যে তৎকালে বিষম উৎকণ্ঠ। জন্মিয়াছিল। তিনি সত্বর আপনার গৃহ হইতে নিৰ্গত হইয়া হস্তী, অশ্ব ও মনুষ্য-পরিপূর্ণ রাজপথে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তাহ অতিক্রম করিয়াই, পরম উৎকৃষ্ট অন্তঃপুর দেখিতে পাইলেন। তখন শ্ৰীমান ভরত ঐ অন্তঃপুরে প্রবেশ করিলেন ; কেহই তাহাকে নিবারণ ৫। নিষ্ক বক্ষোভূষণ—হার অধ। দীনারা মূত্রবিশেষ । दैले ও মাভুলের নিকট বিদায় হইয়া, শক্রক্সের সহিত রথারোহণে প্রস্থান করিলেন। তখন ভৃত্যগণ মণ্ডলাকারচক্রবিশিস্ট শতাধিক রথ, উই, গো, অশ্ব ও গর্দভ এই সকলে যোজনা করিয়া তাহার তানুগামী হইল। সিদ্ধপুরুণ যেমন ইন্দ্রলোক হইতে বিনিগত হয়েন, অজাতশত্র মহাত্মা ভরত ও তেমনি মাতামহের আত্মসদৃশ স্ববিশ্বস্ত অমাত্য এনং সৈন্য-সমূহে স্বরক্ষিত হইয়া, শক্রকে সঙ্গে লইয়া গৃহ হইতে প্রস্থান করিলেন । ১৯ ৩০ একসপ্ততিতম সর্গ তদনন্তর মহালীর ভরত রাজগৃহ হইতে পূৰ্ব্বমুখে প্রস্তান করিয়া, সুদামানদী দর্শন করিয়া ও উহা পার হইয়া ক্রমান্বয়ে অতিদূরবিস্তৃত পশ্চিমদিকে প্রবাহিত হলাদিনী নামক নদী ও শতদ্রু নদী পার হইলেন।” অনন্তর ঐলধান-গ্রাম-বাহিনী নদী অতিক্ৰম-পূর্বক অপরপর্বত নামক জনপদে সকলে উপনীত এবং শিলা ও আকুৰ্ব্বতী নদী উত্তীর্ণ হইয়া, অগ্নিকোণে শল্যকৰ্মণ নামক জনপদে উপস্থিত হইলেন । ই তথায় তিনি W~ ! ബത്തുബ _ _ ৬ । ভরত মাতামহাদির নিকট গমনের অনুমতি ও ধনাদি লাভ করিয়া যাত্র +রিবার জষ্ঠ প্রস্তুত হইতে নিজ গৃহে গিয়াছিলেন। অথব। ভরতের দুঃস্বপ্নবৃত্তান্ত ও দুতাগমন জানিতে গারিয়৷ কেকয় রাজ ও তৎপুত্র যুদ্ধাজিৎ রহগুহে আসিয়াছিলন, সেই স্থানে বসিয়াই ধনাদি দান করেন, ভরত যাত্ৰ করিয় রাজপখে নির্গত হঠলেন, পরে মাতামহ। প্রভৃতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করিবার নিমিত্ত অন্তঃপুরে গমন করেন। ১। ভরা গুণ আনয়নার্থ দূতগণ যে পথে গমন করিয়াছিল, ভরত গে পথে প্রত্যাবৰ্ত্তন করেন নষ্ট, দূতগণ অতি শীঘ্ৰ পৌছিবার জন্ত কাননপথে গিয়ছিল, ভরত চতুরঙ্গ সৈন্ত সহ যে পথে যাওয়া যায়, তাদৃশ পথে আসিয়াছিলেন, দূতগণের গমনকালীন যে সকল স্থানের নাম কথিত হইয়াছিল, তাহার একটিরও নাম এ স্থানে দেখা যায় না । ২ । “শিলামাকুৰ্ব্বতীং” মূলে, এই পাঠ আছে । ইহার অর্থ-লে নদী নিরস্তর শিলা বহন করে অর্থাৎ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রস্তরখণ্ড যে নদীর স্রোতে নিরস্তুর বহন করিয়| আনে, অথবা ঐ নদীর মধ্যে পতিত বস্তুকে শিলা করা যাহার স্বভাব । শিলfপ্রায় কাষ্ঠ-নৌকার সাহায্যে ঐ নদী পার হইতে হয়। কতক মতে আগ্নেয় ও শল্যকৰ্ষণ গ্রামন্বয়, তন্মধো শিললিহা নদী প্রবাহিত ।