পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

O অযোধ্যাকাণ্ড বলিয়া মনে হইতেছে। পূর্বে যেমন প্রধান প্রধান ব্যক্তিদিগকে হস্তী, অশ্ব ও অন্তবিধ যান-সমূহে আরোহণ করিয়া, ইতস্ততঃ নিৰ্গত বা প্রবিষ্ট হইতে দেখা যাইত, আজি আর সে প্রকার দেখা যাইতেছে না। সুর্য্য উদিত হইয়াছেন ; তথাপি এখনও মৃগ ও পক্ষীদিগকে মত্ত হইয়া অনুরাগভরে মধুর স্বরে বারংবার কলরব করিয়া, শব্দ করিতে শুনা যাইতেছে ন । এই সমস্ত উদ্যান কামিগণের আনন্দ-কোলাহলে পূর্বে প্রতিধ্বনিত হইয়া আনন্দিত থাকিত ; কিন্তু অদ্য ইহারা সর্বিথা নিরানন্দ হইয়াছে দেখিতেছি। ইহাদের বৃক্ষসকল পত্রমোচনচ্ছলে পথে যেন অশ্রুবর্ষণ করিয়া রোদন করিতেছে। পূর্বের ন্যায় আজি চন্দন ও অগুরুমিশ্রিত ধূপগন্ধে ব্যাপ্ত হইয়া, মুনিৰ্ম্মল শোভন বায়ু প্রবাহিত হইতেছে না। পূর্বে ভেরী, মৃদঙ্গ ও বীণামন্ত্রের বাদনদণ্ড হইতে সর্বিদাই পরম প্রফুল্লভাবে শদ উগিত হইত, আজি কি জন্য তাহাও নিবৃত্ত হইয়াছে ? অশুভ ও অনিষ্টসূচক দুনিমিত্ত সকল পদে পদেই আমার দৃষ্ট্রিপথে পতিত হইতেছে। তাহাতে আমার মন সাতিশয় অবসন্ন হইয়। উঠতেছে। হে সুত । বিহ্বল হইবার কোন প্রকার কারণ না থাকিলেও, হৃদয়ে অবসাদ উপস্থিত হইতেছে। ইহাতে স্পষ্টই প্রতীতি জন্মিতেছে, আমার বন্ধুগণ কোনমতেই আর কুশলে নাই। ২০-৩১ অনন্তর সেই এান্ত-হৃদয় ভরত বিষন্ন, ক্ষুভিতেন্দ্রিয় ও ত্রাসান্বিত হইয়া শীঘ্ৰ ইক্ষাকু-পালিত অযোধ্যায় প্রবেশ করিলেন । তৎকালে তাহার বাহন সকলও শ্রান্ত হইয়াছিল। তিনি বৈজয়ন্ত নামক দ্বার দিয়া পুরীমধ্যে প্রবেশ করিলে, দ্বারপালগণ তৎক্ষণাৎ গাত্রে খানপূর্বক বিজয়প্রশ্ন করিয়া, তাহার সঙ্গে সঙ্গে যাইতে লাগিল। তাহার মন নিতান্ত ব্যাকুল ത്തങ്കമ്മ = - - = - --ബ ৫ । “বৈজয়ন্ত ইয়ের প্রাসাদের নাম, তৎসদৃশ দ্বার দিয়, অথবা রাজধানীর পশ্চিম দিকের দ্বারের নাম বৈজয়ন্ত ছিল, এই স্থানে গায়ত্রীর षट्टे अकब्र 'cब्र' चांtब्र१ हेह चाब्र दशा इ३प्रांtइ, ३शन शृतिं ब्रांभांबप्पंद्र পাঁচ হাজার মোক সমাপ্ত হইয়াছে । ২২৭ হইয়াছিল ; তথাপি তিনি দ্বারপালগণের যথাযোগ্য সৎকার করিয়া, পরে তাহাদিগকে সমভিব্যাহারে যাইতে নিষেধ করিলেন,—এবং কেকয়পতির সারথি নিতান্ত ক্লান্ত হইয়াছিল,তাহাকেও সেই স্থানে বিশ্রাম করিতে বলিয়া কহিতে লাগিলেন, হে অনঘ! কি জষ্ঠ্য কারণ নির্দেশ না করিয়া আমাকে ত্বরা দিয়া এখানে আনা হইল, তজ্জন্য আমার মনে নানাপ্রকার অনিষ্টাশঙ্কা হইতেছে এবং তজ্জন্য নিতান্ত ব্যাকুল ও অধীর হইয়া উঠিতেছি । হে সারথে ! রাজাদের মৃত্যুত্বে যে সকল অমঙ্গল লক্ষণ লক্ষিত হইয়া থাকে, পূর্বে আমার শুনা ছিল, অন্ত সেই সকল লক্ষণ আমি প্রত্যক্ষ দেখিতেছি। ঐ দেখ, গৃহস্থদিগের গুহ সকল সম্মার্জন-বিহীন, পরুষ, অলদ্ধকবাট, সর্বতেভাবে শ্রীহীন হইয়াছে। কোন প্রকার উপাসনার সম্পর্ক না থাকতে ধূপগন্ধেরও সম্পর্ক নাই। অত্রত্য কুটুম্বজনের অভূক্ত এবং নগরবাসীরা শোভাহীন হইয়াছে। সমস্ত গৃহভবন মাল্যশোভাহীন, অপরিস্কৃতপ্রাঙ্গণযুক্ত ও লক্ষনীহীন দেখিতেছি। দেবগৃহ সকলও পূজক-পরিচাবকাদি শূন্য হওয়াতে পূর্বের গায় শোভা পাইতেছে না। কেহই আর প্রতিমা সকলের পূজা করে না, যজ্ঞভূমিতে আর যজ্ঞ হয় না এবং বিপণি সকলেও অার মাল্য সকলের ক্রয়-বিক্রয় নাই। বণিকদিগকেও আর পূর্বের ন্যায় প্রফুল্লচিত্ত দেখিতেছি না। চিন্তায় তাহদের হৃদয় নিতান্ত ব্যাকুল হইয়া উঠিয়াছে এবং ক্রয়-বিক্রয় লোপ পাওয়াতে তাহারা স্ব স্ব আপণ বন্ধ করিয়াছে । মৃগ ও পক্ষী সকলও একান্ত কাতরভাবে দেবায়তন ও চৈত্য সকলে বিচরণ করিতেছে । ফলতঃ নগরীর স্ত্রী পুরুষমাত্রেই মলিন, চিন্তাযুক্ত, কৃশ, অশ্রুপূর্ণলোচন এবং উৎকণ্ঠিত ও একান্ত ব্যাকুল হইয়াছে দেখিতেছি । ভরত শোকভারাচ্ছন্ন হৃদয়ে সারথিকে এই প্রকার কহিয়া, অযোধ্যার সর্বত্রই উল্লিখিত অনিষ্টপরম্পরা নিরীক্ষণ করিয়া রাজভবনে