পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q অযোধ্যাকাণ্ড সেই মহাত্মা পুত্রকে কিরূপে চারবস্কলধারা ও বনবাসী করিয়া, তজ্জন্ত শোক করিতেছ না ? হায় ! সেই বিশুদ্ধাত্মা অপাপদশী পরম যশস্বী রামকে মুনিবেশে বনে পঠাইয়া তোমার কি ফল হইল ? ১-১২ রামের প্রতি আমার যে অকৃত্রিম ভক্তি আছে, রাজ্যলোভে অন্ধ হওয়াতে তুমি তাহা জানিতে পর নাই। সেই জন্যই তুমি সামান্য রাজ্যের লোভে এই গুরুতর অনিষ্ট সংঘটন করিলে ; কিন্তু, পুরুষশ্রেষ্ঠ রাম ও লক্ষণকে না দেখিলে, কোন শক্তি-প্রভাবে আমি রাজ্যরক্ষার্থ উৎসাহিত হইব ? যেরূপ সুমেরু পললত আত্মরক্ষার্থে স্বজাত অরণ্য আশ্রয় করে, সেইরূপ ধৰ্ম্মাত্মা মহারাজ দশরথও আত্মরক্ষার্থে সেই বলশালী মহাতেজ রামকে আশ্রয় করিয়াছিলেন ;৩ অতএব আমি কোন বলে মহাবৃষভের বহনীয় সুদুৰ্ববহ ভার বৎসতর হইয়া বহন করিব ? অথবা সামদানাদি উপায়, বুদ্ধিবল কিম্বা অন্য কোন উপায়ে যদিও বহন করিতে সক্ষম হই, কিন্তু হে পুত্ৰহিতৈষিণি ! তোমার কামনা কখন পূর্ণ করিব না।” হে পাপনিশ্চয়ে ! যদি আর্ম্য রাম সর্বদাই তোমার প্রতি মাতৃবৎ শ্রদ্ধা না করিতেন, তাহা হইলে আমি এই মুহুর্তেই তোমাকে ত্যাগ করিতে উদ্যত হইতাম । রে পাপদর্শিনি। রে সদাচারভ্ৰষ্টে ! পূর্বপুরুষ-বিগহিত তোমার এই বুদ্ধি কিরূপে উৎপন্ন হইল ? আমাদের বংশে সর্ববজ্যেষ্ঠই রাজা হয়েন, অন্যান্য ভ্রাতারা তাহার অভাব অন্যায়, কৌশল্যা দূরদর্শিনী ভবিষ্যতে তুমি তাহার অনিষ্ট কর, এই জন্তই জ্যেষ্ঠ পট্টমহিষী হইয়াও তোমার মতের অন্ধুবৰ্ত্তন ও ভগিনীবৎ স্নেহ করিতেন, তাহার প্রতিদান এইরূপ জঘন্ত করিয়াছ । ২। রাজার্থ পিতৃনাশ, রাজ্যাই জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার বনবাসাদিরূপ অনর্থ एत्रांनग्नन कब्रिब्रांइ ! ० । अन्नगंा नl थाकिप्ल *iद्ध जांख११ कब्रिप्ऊ *ांब्रिउ, लनंब्रथं७ ঐছিক ও পারত্রিক সিদ্ধির নিমিত্ত রামকে আশ্রয় করিয়াছিলেন । ミ○> তোমার জানা নাই ; অথবা রাজধৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করিলে যে অক্ষয় ফললাভ হয়, তাহাও তুমি জগন না। রাজপুত্ৰগণের মধ্যে যিনি সর্বজ্যেষ্ঠ, তিনিই সতত রাজ্যাধিকারী হয়েন। সমুদায় রাজ্যেই, বিশেষতঃ ইক্ষাকুগণের মধ্যে এই প্রকার নিয়ম প্রচলিত আছে।“ আজি তোমা হইতে সেই ধৰ্ম্মপ্রতিপালক সচ্চরিত্র-শোভিত ইক্ষাকুবংশ হইতে সেই সদাচারগর্বি একেবারেই খলন হুইয়া গেল । হে মহাভাগ্যশালিনি ! তুমি রাজকুলে জন্মগ্রহণ করিযুছি ; তথাপি কিরূপে তোমার এই প্রকার নিন্দনায় বুদ্ধি-মোহ উপস্থিত হইল ? হে পাপনিশ্চয়ে ! তুমি আমার প্রাণান্তকর দারুণ ব্যসন সংঘটন করিয়াছ ; অতএব আমি কোনক্রমেই তোমার অভিলাষ পূর্ণ করিব না। প্রত্যুত আমি তোমার অপ্রিয় জন্য এখনই স্বজনবৎসল ভাতা রামকে বন হইতে ফিরাইয়া আনিব এবং দাসের ন্যায় সমাহিতচিত্তে ? তাহার সেলা করিব। মহাত্মা ভরত দুঃখজনক বাক্যসমূহে কৈকেয়ার মৰ্ম্মপীড়ন করত এই প্রকার বলিয়া, শোকে অভিভূত হইয়া, মন্দর পর্বর্বতের কন্দরস্থিত সিংহের স্যায় চীৎকার করিতে লাগিলেন । ১৩-২৮ চতুঃসপ্ততিতম সর্গ ভরত জননীকে যথোচিত লাঞ্ছনা-পূর্বক পুনরায় অতিশয় ক্রুদ্ধ হইয়া কহিতে লাগিলেন,— নৃশংসে দুরাচারিণি কৈকেয়ি ! তুমি রাজ্যভ্রষ্ট হও। আর তুমি যখন কুলস্ত্রীধৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়াছ, তখন মৃত ৫ । মন্থস্থতিতে আছে– . "জ্যেষ্ঠ এব তু গৃহীয়াৎ পিত্রাং ধনমশেষতঃ। শেষাস্তমমুজীবেরুদ্বগৈল পিতরং তথা ।” ৪। যদি আমি রাজাভার গ্রহণ করিয়া তোমার আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করি, তাহা হইলে তোমার স্তায় জানিও লোকসমাজে নিন্দনীয় হইব, ईशई छांबांर्ष। ৬। শুধু তোমাকে দুঃখ দিলার জন্তই দাসবৃত্তি করিব না। শাস্ত্রানুসারেও স্বস্থচিত্তে জ্যেষ্ঠাশ্ববৰ্ত্তন করাই পরম ধৰ্ম্ম বলিয়। কথিত হইয়াছে ।