পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩ খ স্বামীর উদ্দেশেও রোদন করিও না।” রাজা তোমার কি দোষ করিয়াছিলেন ? রাম অতি ধাৰ্ম্মিক, তিনিই বা তোমার কি অপকার করিয়াছিলেন যে, তুমি এক কালেই তাহদের মৃত্যু ও বনবাস বিধান করিলে ? হে কৈকেয়ি! এইরূপে বংশনাশ করাতে তুমি ভ্রণহত্যার পাতকে লিপ্ত হইয়াছ ; অতএব নরকে যাও, অর যেন স্বামিলোক লাভ না হয়। তুমি সর্বলোকপ্রিয় রামকে বনে দিয়া, স্বামিহত্যারূপ দারুণ পাপসাধন করিলে এবং আমারও ভয় জন্মাইয়া দিয়াছ ॥৩ তোমারই জন্য পিতার পরলোক ও রামের বনবাস হইল । লোকসমাজেও আমার অযশ প্রতিপাদিত হইল। হে নৃশংসচরিতে রাজ্যকামুকে ! তুমি আমার মাতৃরূপী শত্র । হে তুরাচারে পতিঘাতিনি ! তুমি আমার সহিত কথা কহিও না । হে কুলদূষিণি ! কৌশল্যা, সুমিত্রা এবং আমার অন্যান্য মাতৃগণ, সকলেই দারুণ দুঃখে পতিত হইলেন। বোধ হয়, তুমি ধীমান ধৰ্ম্মরাজ অশ্বপতির কন্যা নহ । পরস্তু পিতার কুলনাশিনী হইয়া, তাহার ঔরসে রাক্ষসীরূপে জন্মিায়াছ । সত্যই যিনি একমাত্র আশ্রয় এবং সিনি সৰ্ব্বদাই ধৰ্ম্মচর্চা করেন, সেই রামও তোমার জন্য বনে গেলেন এবং সেই পিতাও স্বগে গমন করিলেন । তোমারই পাপে তামি পিতৃহীন, ভ্রাতৃহীন ও লোকসমাজে প্রতিপত্তিবিহীন হইলাম এবং তোমারই পাপ ১। অথব৷ তুমি যখন ধৰ্ম্ম-পরিত্যাগ করিয়াছ, তখন তোমার পুত্রের বীচিয়া থাকা অসম্ভব, স্বতরাং পুত্র মরিলে তাহার জঙ্ক রোদন করিও না। তোমার পুত্রমরণকৃত শোক হউক, ইহাই তাৎপর্যার্থ। অখণ্ড, ভাৰrাপতিরূপভােব যখন তোমার নাই, তখন মৃত স্বামীণ উদ্দেশে রোদন করিও না । ২ । উত্তম ক্ষত্রিয় রাজা স্বামীর বধে এবং রামাদির নিৰ্ব্বাসনে শাপাধ্যায়ী ব্ৰাহ্মণ-হতা-পাপে ভূমি লিপ্ত হইয়াছ। অথবা ক্ৰণ-হত্য সদৃশ পাপে তুমি লিপ্ত হইয়াছ। ৩ । এই ভরত কৈকেয়ীর পুত্র, কৈকেয়ীর স্তায় দুষ্টশ্বভাব, এইরূপে লোক কলঙ্কল্প ভয় । অথবা তোমার দোষে রাম জামাকে ত্যাগ করিবেন, এই ভয়। অথবা ভূমি মহাপাতক করিয়াছ, তোমার সংসর্গে আমারও পঞ্চমপাতকি হইবার ভয়। অথবা তুমি মাত হইলেও তোমার কৃত কাৰ্য্য দর্শনে অর্থাৎ স্বামিলিনাশ, সৰ্ব্বজনপ্রিয়পুত্ৰ নিৰ্ব্বাসন দর্শনে जांभांब्र७ छघ्र छत्रिाग्नttइ । ब्रांखालां७ हल्ल नांदे, उग्नड़े लांड 忒花電山 বাল্মীকি-রামায়ণ আমার উপর নিক্ষিপ্ত হইবে । রে পাপাশয়ে ! তুমি ধৰ্ম্মাচারিণী কৌশল্যাকে পতিপুদ্রহীনা করিয়া, কোন লোকে তুমি যাইবে ? নিশ্চয়ই নরকগামিনী হইবে । ১-১২ হে ক্রাশয়ে । তুমি কি বুঝিতে পার নাই যে, রাম বন্ধুগণের আশ্রয়, রিপু ও ইন্দ্রিয় সকল জয় করিয়াছেন, জ্যেষ্ঠ বলিয়া আমার পিতার সমান এবং তিনি কৌশল্যার গর্ভে জন্মিয়াছেন। বান্ধবমাত্রেই প্রিয় হইয়া থাকে ; পরস্তু পুত্র মাতার সমধিক প্রিয় ; কেন না, সে তাহার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও হৃদয় হইতে জন্ম গ্রহণ করে । ধাৰ্ম্মিকগণ বলিয়া থাকেন, কোন সময়ে সুরগণের মাননীয়া ধাৰ্ম্মিক কামধেনু লাঙ্গলবাহী লয়কে অচেতনপ্রায় দেখিয়াছিলেন । মৰ্বালোকে র্তাহার পুত্র ক্রমাগত দুই প্রহর পর্য্যন্ত ভার-বহন-শ্রান্ত দেখিয়া, শোক উপস্থিত হওয়াতে, তিনি রোদন করিতে লাগিলেন, তাহার দুই চক্ষু জলে ভাসিয়া গেল। ঐ সময়ে মহানুভব দেবরাজ ইন্দ্র, কামধেনু যেখানে ছিলেন, তাহার নীচে দিয়া যাইতেছিলেন। যাইবার সময়ে তাহার গাত্রে কামধেনুর সুগন্ধি অশ্রবিন্দু সকল সুক্ষ আকারে পতিত হইল। দেবরাজ উদ্ধে দৃষ্টিপাত করিয়া দেখিলেন, মুরভি আকাশে বসিয়া, ব্যাকুল-হৃদয়ে ও দুঃখভরে রোদন করিতেছেন। বজ্রপাণি দেবরাজ ইন্দ্ৰ যশস্বিনী কামধেনুকে এই প্রকার শোকসন্তপ্ত দর্শন করিয়া, উদ্বিগ্ন হইয়া, কৃতাঞ্জলিপুটে কহিতে লাগিলেন, হে সৰ্ব্বলোকহিতৈষিণি ! কি জন্য শোক করিতেছ, বল ? অামাদের ত কোন দিকে কোনরূপ বিপদ উপস্থিত হয় নাই ? ধীমান দেবরাজ এইপ্রকার কহিলে, বাক্যবিশারদ কামধেনু ধৈর্য্যসহকারে প্রত্যুত্তর করিলেন, দেবরাজ ! ৪ । অঙ্গদঙ্গাৎ সম্ভবসি হৃদয়াভিজায়সে ইত্যাদি অতিবাখ্যা এই মোকে বলা হইয়াছে। স্ত্রীগণের রক্তকেই রেতঃ বলা হয় । এই সকল কারণে পুত্র মাতার প্রিয়তম হয়। ভ্রাতা প্রভৃতি বান্ধব প্রিয়, প্রিয়তম নছে। এই সকল কারণে পুত্রবিয়োগছুঃখ দুঃসহ।