পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S、Sや যে পাপ হয়, তাহারও যেন সেই পাপ হয়। গৃহে অগ্নি দিলে যে পাপ হয়, গুরুপত্নী গমন করিলে যে পাপ হয় এবং মিত্রের অনিষ্ট করিলে যে পাপ হয়, তাহার যেন সেই পাপ হয় । অথবা যাহার মতানুসারে আর্য বনে গিয়াছেন, তাহাকে যেন দেবগণের, পিতৃগণের ও পিতামাতার, কাহারই শুশ্ৰষা করিতে না হয়। অথবা তাহাকে যেন সাধুগণের লোক হইতে, সাধুগণের কীৰ্ত্তি হইতে এবং সাধুগণের কৰ্ম্ম হইতেও এই মুহূর্তেই ভ্ৰষ্ট হইতে হয় । অথবা, দীৰ্ঘবাহু ও বিশালঙ্গদয় আর্য্য রাম যাহার সম্মতিতে” বনে গিয়াছেন, সে যেন মাতৃসেবায় পরায়ুখ হইয়া, অনৰ্থক কার্ণ্যে রত থাকে। অথবা, আর্যোর বনগমন যাহার অনুমোদিত, তাহাকে যেন নিধন ও ওররোগগ্ৰস্ত হইয়া, বহু ভূত্যের পোষণ করত সর্বদাই ক্লেশ ভোগ করিতে হয় । যাহার মতানুসারে আর্য্য বনে গিয়াছেন, সে যেন দা তার মুখ নিরীক্ষণ করিয়া স্তবকাৰী দানভাবাপন্ন যাচকদিগের গাশা বিফল কবে । ৪২-৫ ১ আর্য্য যাহার মতে বনে গিয়াছেন, তাহাকে যেন কৰ্কশস্বভাব, ক্রর, অশুচি ও একমাত্র অধৰ্ম্মেরই বীভূত হইয়া, বঞ্চনা দ্বারা সর্বদা বিহার করিতে ও রাজভয়ে পতিত হইতে হয়। আৰ্য্য যাহার মতামুসারে বনে গিয়াছেন, সেই তুরাত্মা যেন ঋতুমতী স্বীয় ভাৰ্য্যার ঋতু রক্ষণ না করে। অথবা বংশহীন ব্রাহ্মণের যে পাপ হয়, তাহাকে যেন সেই পাপে পড়িতে হয়। অথবা তাহার ইন্দ্রিয় সকল যেন প। আচ্ছন্ন হয় এবং সে যেন ব্রাহ্মণগণের পূজার ব্যাঘাত ও অতি নববৎসা গে। দোহন করে। অথবা তাহাকে যেন ধৰ্ম্মপত্নী ত্যাগ করিয়া পরদারগমন ও ত্যক্ত ধৰ্ম্মে অনুরক্ত হইয়া, মোহে আচ্ছন্ন হইতে হয়। হার মতানুসারে " আর্য্য বনে গিয়াছেন, পানীয় দূষিত করিলে ও বিষ দিলে যে পাপ হয়, সে একাকী সেই সমস্ত পাপে লিপ্ত হউক। অথবা জল থাকিতেও তৃষ্ণাৰ্ত্ত ব্যক্তিকে বঞ্চনা করিয়া, জল বাল্মীকি-রামায়ণ না দিলে যে পাপ হয়, তাহার সেই পাপ হউক । অথবা অাৰ্য্য রাম যাহার মতে বনে গিয়াছেন, ধৰ্ম্মের ভিন্ন ভিন্ন শাখা আশ্রয় করিয়া, নিজের অভীপিত মতবিশেষের উপর ভক্তি নিবন্ধন অপরপক্ষকে দুর্বল করিবার জন্য বিবাদ করিলে যে পাপ হয় এবং সেই বিবাদ দর্শন করিলেও যে পাপ হয়, তাহাকে যেন সেই পাপে লিপ্ত হইতে হয়। ৫১-৫৮ রাজপুত্র ভরত পতিপুত্রবিহীন কৌশল্যাকে এই প্রকার আশ্বাস দি৩ে দিতেই স্বয়ং তঃখে অভিভূত হইয়া পড়িয়া গেলেন। তিনি অতি কঠোর শপথ-সমুহ দ্বারা শপথ করিতে করিতে শোকে আচ্ছন্ন ও জ্ঞানশূন্য হইলে, কৌশল্যা তাহাকে বলিতে লাগিলেন,—বংস ! তুমি যে নানাপ্রকারে শপথ করিয়া আমার প্রাণে আঘাত দিতেছ, ইহাতে আমার অত্যন্ত দুঃখ হইতেছে। যাহা হউক, পরম সৌভাগ্যের কথা যে, তোমার মন নানাপ্রকার শুভ লক্ষণে অলঙ্কত এবং ধৰ্ম্ম হইতে বিচলিত হয় নাই । অথবা তোমার প্রতিজ্ঞ যদি সত্য হয়, তাহা হইলে তোমার সদগতি লাভ হইবে । এই বলিয়া দেবী কৌশল্যা মহাবাহু ভ্ৰাতৃবংসল ভরতকে ক্রোড়ে লইয়া, তালিঙ্গন করিয়া, অত্যন্ত দুঃখভরে রোদন করিতে লাগিলেন। তৎকালে দুঃখাভিভূত বিলাপপরায়ণ মহাত্মা ভরতের মনও শোকাধিক্য ও তজ্জন্য মোহাবেশে ক্ষুভিত হইয়া উঠিল। তিনি বারংবার বিলাপ করিতে করিতে হতচেতন ও হতবুদ্ধি ৯। শিব বিষ্ণু প্রভৃতি দেবতার প্রতি ভক্তিনিবন্ধন সেই সেই দেবতার প্রাধান্ত-বোধক শৈব-বৈঞ্চবাদি শাস্ত্রমত অবলম্বন করিয়া, এই মতই উৎকৃষ্ট, অপর মত অপকৃষ্ট, এইরূপ ধাহারা বিবাদ করেন, তাহাদের এবং ঐ বিবাদ র্যাহারা শ্রবণ করেন, উfহাদের যে পাপ হয়— সেই পাপে যেন সে যুক্ত হয় ; শিবপুরাণে কথিত হইয়াছে— অরং পরস্বয়ং নেতি সংরক্ষাভিনিবেশিন: | যাতুৰান ভবস্তোব পিশাচাশ্চ ন সংশয়ঃ। এবং কৰ্ম্মবিপাকেও উক্ত হইয়াছে যে— যে ব্রহ্মবিষ্ণুরুদ্রাণাং ভেদংযুক্তিনিবেশতঃ । সাধয়েছুদরব্যাধিযুক্তে ভবতি মানবঃ ॥