পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যাকাও বরদানরূপ অপার শোকসাগরে আমাদিগকে নিমগ্ন করিলে । পিতঃ ! আপনি নিরন্তর র্যাহাকে পালন করিয়াছেন এবং র্যাহার বালকভাব এখনও গত হয় নাই, সেই ভরত এক্ষণে বিলাপ করিতেছে। ইহাকে ত্যাগ করিয়া কোথায় গেলেন ? পান, ভোজন, বস্ত্র, আভরণ, সকল বিষয়েই আপনি আমাদের অভীষ্ট পূরণ করিতেন ; আজি আর কোন ব্যক্তি সেরূপ করিবে ? পিতা স্বগে গেলেন এবং রামও বনবাসী হইলেন । আমি তার কি প্রকারে জীবিত থাকিব ; অতএব আমি অগ্নিতে প্রবেশ করিব। অথবা ভ্রাতৃহীন ও পিতৃহীন হইয়া তামি আর শূন্য অযোধ্যায় প্রবেশ করিব না, তপোবনেই প্রবেশ করিব । র্তাহাদের দুই ভ্রাতার বিলাপ শুনিয়া এবং অতিমাত্র দুঃখ দেখিয়া, অনুচরমাত্রেই যার-পর-নাই ব্যাকুল হইয়া উঠিল। ঐ সময়ে ভরত শক্ৰয় দুই জনই বিষণ্ণ ও ক্ষুণ্ণ হইয়া, ভগ্নশৃঙ্গ বৃষভদ্বয়ের স্যায় ধূলিতে লুষ্ঠিত হইতে লাগিলেন। তদর্শনে র্তাহীদের পিতার পুরোহিত সত্ত্বগুণাবলম্বী সর্বজ্ঞ বশিষ্ঠদেব ভরতকে উঠাইয়া বলিতে লাগিলেন,— বিভো ! অদ্য তের দিন হইল, তোমার পিতৃদেবের দাহক্রিয়া সমাধা হইয়াছে ; অতএব ভস্ম সহিত অস্থিচয়ন করিতে আর কি জন্য বিলম্ব করিতেছ? ক্ষুৎপিপাসা, শোকমোহ, জরামৃত্যু, অথবা জন্মমরণ, দুঃখ ও লাভালাভ কিম্বা ষড়ভাববিকাশরাপ তিনটি দ্বন্দ্বপদার্থও প্রাণিমাত্রেই ভোগ করিয়া থকে ; এ বিষয়ে কাহারও পরিহার বা ভিন্নভাব নাই ; অতএব এই জীবসাধারণ-ধৰ্ম্মে অভিভুত হওয়া তোমার উচিত হয় না ; এক্ষণে তুমি শোক ও মোহ ৩। ঘন্থ শব্দে দুইটি করিয়া পদার্থ যাহা একত্রে ব্যবহৃত হয়। যেমন ক্ষুধা-পিপাসা, শীতোক, জন্ম-মৃত্যু, ইত্যাদি। বশিষ্ঠ বলিয়াছেন, তিনটি বন্ধ এই বাকী দ্বারা কোন তিনটি, তাহ। ঠিক করা স্বকঠিন ; এইজত এক এক জন এক একরূপ অর্থ করিয়াছেন। বড় ভাববিকাশ প্রাশিমাত্রেরই সম্বন্ধে অস্তি, জায়তে, বর্জতে, জপক্ষীয়তে, বিপরিণমতে, विनञ्चङि, 4हे झब्रक्रिरक ठिन बन्द कठक बलिप्रांप्इन । ২৩৯ ত্যাগ কর। ঐ সময় তত্ত্বজ্ঞ স্বমন্ত্রও শক্রকে উঠাইয়া ও সম্যকরূপে প্রসন্ন করিয়া, প্রাণিমাত্রেই যে জন্মে ও মরে, এই অনিবাৰ্য্য জন্মমরণের কথা শুনাইয়াছিলেন। তখন পরম যশস্বী পুরুষশ্রেষ্ঠ দুই ভ্রাতা ভূমি হইতে উথিত হইয়া বৰ্মাতপে মলিন-ভাবাপন্ন দুইটি ইন্দ্রধ্বজের স্যায় প্রকাশ পাইতে লাগিলেন । র্তাহারা সংরক্তলোচন হইয়া বিলাপ সহকারে চক্ষের জল মুছিতে লাগিলেন । মন্ত্রিগণ র্তাহাদিগকে অস্থিসঞ্চয়ন বিষয়ে ও তস্থান্ত ক্রিয়াকলাপ সম্পাদনার্থ ত্বর প্রদান করিলেন । ১১-২৬ অষ্টসপ্ততিতম সর্গ অনন্তর ভরত শোকসন্তপ্ত হইয়া, রামের নিকট যাত্রা করিতে উদ্যত দেখিয়া, লক্ষণ-অনুজ শত্রুঘ্ন র্তাহাকে কহিলেন,—সকল প্রাণীরই যিনি দুঃখ-জনকসঙ্কটে একমাত্র আশ্রয় ও অবলম্বন, সেই রাম বিপৎকালে আপনারও আশ্রয় হইতেন ; হায় ! সেই সত্ত্বসম্পন্ন রামকে স্ত্রীর কথায় বনে দেওয়া হইল - অথবা যে লক্ষণ বলবান ও বীর্যবান বলিয়া বিখ্যাত, তিনিই বা কি জন্য পিতাকে নিগ্ৰহ করিয়াও রামকে এ বিষয়ে মুক্ত করিলেন না ?” রামকে বনে দিবার পূৰ্ব্বে লক্ষণ যখন দেখিলেন, রাজা স্ত্রীর বশীভূত হইয়া নীতিবিগহিত পথে পদার্পণ করিয়াছেন, তখনই র্তাহার উচিত ছিল, নিজেই স্থায় অন্যায় বিচার করিয়া রাজার লিগ্রহ করেন। লক্ষণমুজ শত্রুঘ্ন সেইরূপ বলিতেছেন, এমন সময়ে দৈবক্রমে কুজা সৰ্ব্বালঙ্কারে ভূষিত হইয়া সেই গৃহের দ্বারদেশে আসিয়া উপস্থিত হইল । তখন সে সৰ্ব্বাঙ্গে উৎকৃষ্ট চন্দন মাখিয়া TSTMMS SSAAASAAASAAA AAMM MAAAA ১। এই ঘটনা অতিশয় অশ্চিধ্যজনক, এই বাক্য দ্বারা অতি সঙ্কটকালে ভগবৎস্মরণই একমাত্র দুঃখনাশে সমর্থ—অদ্য উপায় নাই, ইহাই সুচিত হইয়াছে। ২। রাম রাজালোভে পিতার আদেশ উলঙ্ঘন করিয়াছেন, এই জযশের ভয়ে তিনি এইরূপ করিলেও লক্ষ্মণ সৰ্ব্বতোভাবে অস্থচিত করিয়াছেন। ইহা অপর একটি আশ্চৰ্য্য ।