পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հ8 օ এবং রাজযোগ্য বস্ত্র পরিধান করিয়া, যথাস্থানে সেই সেই বহুবিধ ভূষণে ভূষিত হইয়াছিল। তৎকালে বিচিত্র মেখলাদাম ও অন্যান্য নানাপ্রকার উৎকৃষ্ট ভূষণে ভূষিত হওয়াতে, কুরূপী কুজকে রাজুরাশিবদ্ধ বানরার স্যায় বোধ হইতে লাগিল। দ্বারপাল সেই গুরুতর-পাপকারিণীকে দর্শন করিবামাত্র তৎক্ষণাৎ নির্দয়ৰূপে ধরিয়া লইয়া গিয়া শক্রন্ত্রের নিকট নিবেদন করিল—“যাহার জন্য রাম বনে গিয়াছেন এবং আপনাদের পিতারও পরলোক হইয়াছে, সেই এই পাপপরায়ণ দয়াহানা কুজা ; এক্ষণে ইহার প্রতি ইচ্ছামত ব্যবহার করুন।” ধাৰ্ম্মিক শরত্ব এই কথা শুনিয়া, অত্যন্ত দুঃখিত হইয়া কৰ্ত্তব্য অবধারণপূর্বক সমুদায় অন্তঃপুরচার ব্যক্তিকে কহিতে ه لا-لا سسات آجی Tif,tچ এই কুঞ্জ। যেমন আমার পিতার ও ভ্রাতৃগণের দারুণ দুঃখ উৎপাদন করিয়াছে, তেমনি সেই পাপের সমুচিত প্রায়শ্চিত্ত ভোগ করুক। এই বলিয়া তিনি তৎক্ষণাৎ বলপূর্বক সৰ্থীজনবেষ্টিত কুজ্জাকে গ্রহণ করিলে, সে চীৎকার করিয়া সমুদায় গৃহ নিনাদিত করিয়া তুলিল । তদর্শনে তাহার সর্থীরা সকলে অত্যন্ত সন্তপ্ত হইল এবং শক্র ক্রুদ্ধ হইয়াছেন জানিয়া চতুদিকে পলায়ন করিল। তৎকালে তাহারা সকলে মিলিয়া মন্ত্রণা করিতে লাগিল, এই শত্রুঘ্ন যেরূপ উপক্রম করিয়াছেন, তাহাতে বোধ হইতেছে যে, আমাদের সকলকেই নিঃশেষ করিবেন ; অতএব এ.ণে আমাদের সেই দয়াশীলা বদান্তস্বভাবা ধৰ্ম্মজ্ঞা যশস্বিনী কৌশল্যাদেবীর আশ্রয় লওয়া উচিত। তিনি আমাদিগকে নিশ্চয়ই আশ্রয় দিবেন । ঐ সময়ে শত্ৰুহন্ত শত্রুঘ্ন ক্রোধে পরিপূর্ণ হইয়া, কুঞ্জাকে ভূমে ফেলিয়া আকর্ষণ করিতে লাগিলেন। কুজা উচ্চৈঃস্বরে চীৎকার আরম্ভ করিল। ঐ রূপে আকর্ষণ করাতে তাহার শরীরস্থ বিচিত্ৰ ভূষণ সমস্ত ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত হইয়া পড়িল। তৎকালে পরম মুন্দর রাজভবন বাল্মীকি-রামায়ণ উল্লিখিত ভূষণসমূহে পরিব্যাপ্ত হইয়া, শরৎকালীন আকাশমণ্ডলের স্থায় শোভা ধারণ করিল। অনন্তর পুরুষশ্রেষ্ঠ বলবান শক্রয় প্রবল ক্রোধে কুঞ্জাকে গ্রহণ করিয়া, কৈকেয়ীকে যথোচিত তিরস্কার করত কটু কথা সকল বলিতে আরম্ভ করিলেন । কৈকেয়ী সেই সকল কষ্টদায়ক পরুষবাক্যে নিতান্ত কাতর ও শক্ৰন্ত্রের ভয়ে অতিমাত্র ভীত হইয়া, পুত্রের শরণাগত হইলেন । ১১-২০ ভরত শত্রুঘ্নকে ক্রুদ্ধ দেখিয়া এই কথা বলিলেন, —লারীজাতি সৰ্ব্বভূতেরই অবধ্য ; অতএব স্ত্রীজাতিকে ক্ষমা কর। রাম অতি ধৰ্ম্মনিষ্ঠ। তিনি যদি মাতৃঘাতক বলিয়া আমার প্রতি ক্রুদ্ধ না হইতেন, তাহা হইলে আমি নিজেই দুরাচারিণী পাপিনী কৈকেয়ীকে এখনই বিনাশ করিতাম ; আর এই কুমন্ত্রী কুঞ্জাকেও হত্যা করিয়াছি জানিতে পারিলে, সেই ধৰ্ম্মাত্মা নিশ্চয়ই তোমার ও আমার সহিত বাক্যালাপ করিবেন না । ভরতের কথা শুনিয়া, লক্ষণানুজ শক্রয় দোষজনক উক্ত কাৰ্য্য হইতে নিবৃত্ত হইলেন এবং মুচ্ছৰ্গপন্ন কুজ্জাকে পরিত্যাগ করিলেন। কুজা কৈকেয়ীর পদমূলে পতিত হইয়া, নিশ্বাস ফেলিয়া গুরুতর দুঃখভরে করুণ স্বরে বিলাপ করিতে লাগিল । শক্রম্লের অাকর্মণে তাহার সংজ্ঞালোপ ও অতিমাত্র ব্যাকুলত হইয়াছে এবং সে যন্ত্রবদ্ধ ক্ৰৌঞ্চার স্তায় দৃষ্টিনিক্ষেপ করিতেছে দেখিয়া, ভরতমাতা কৈকেয়ী ধীরে ধীরে তাহাকে আশ্বাস দিতে লাগিলেন । ২১-২৭ 聯 একোনাশীতিতম সর্গ অনন্তর চতুর্দশ দিবস প্রভাতসময়ে রাজকাৰ্য্যনির্ববাহকারী অমাত্যগণ সমবেত হইয়া ভরতকে বলিতে লাগিলেন,—যিনি আমাদের গুরুতর গুরু, সেই রাজা দশরথ জ্যেষ্ঠ রাম ও মহাবল লক্ষণকে