পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

O অযোধ্যাকাও করিয়া রাজা দশরথ প্রস্থান করিয়াছেন। সেই মহাত্মা ধৰ্ম্মরাজের এই ধৰ্ম্মমূলক রাজশ্ৰী এক্ষণে নাবিক-বিহীন নৌকার ন্যায় অস্থিরভাবে ভ্রমণ করিতেছে। যিনি আমাদের সুমহান রক্ষক ছিলেন, মাত ধৰ্ম্মত্যাগিনী হইয়া তাহাকেও বনে প্রত্ৰজিত করিয়াছেন। ভরতকে অচেতন হইয়া সেইরূপ বিলাপ করিতে দেখিয়া, সমৃদয় মহিলাগণ করুণস্বরে রোদা করিতে লাগিল । ১-৮ এইরূপ বিলাপ হইতেছে, এমন সময়ে রাজধৰ্ম্মজ্ঞ মহাযশী বশিষ্ঠ ইক্ষ কুনাথের সভায় প্রবেশ করিলেন । ধৰ্ম্মাত্মা বশিষ্ঠ শিষ্যগণে পরিবৃত হইয়া মণিকাঞ্চন-পরিপূর্ণ, সুবর্ণময়ী, পরম রমণীয় সেই সভায় প্রবেশপূর্বক স্বস্তিকাকার মণ্ডল সদৃশ আস্তরণে ভূষিত স্বর্ণময় পীঠে উবেশন করিয়া দূতগণকে আদেশ করিলেন,—তোমরা শীঘ্র ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, অমাত্য, সেনা ও সেনানায়কগণকে এখানে আনয়ন কর ; অবিলম্বেই সম্পাদন করিতে হইবে, এরূপ কাৰ্য্য উপস্থিত হইয়াছে। তোমরা যশস্বী ভরত, শক্রত্ন ও অপরাপর রাজপুত্রগণকে এবং স্বমন্ত্র, যুদ্ধাজিং ও যাহারা হিতকারী আত্মীয়, সকলকেই এখানে আনয়ন কর । অনন্তর রথার্শ্ব ও গজারোহী জনগণের যাতায়াতে তুমুল হলহলাশব্দ সমুথিত হইল। অনন্তর দেবগণ যেমন ইন্দ্রকে, প্রকৃতিবর্গ সেইরূপ ভরত আসিতেছে দেখিয়া, রাজা দশরথের ন্যায় তাহাকে অভিনন্দন করিল। তখন তিনি নাগ-সমাবৃত, মণিশখ-শর্কর’সমন্বিত, স্থির সমুদ্র হ্রদের ন্যায় সেই সভা ভরত ও শক্রয় দ্বারা সুশোভিত হইয়া, পূর্বে মহারাজ দশরথ থাকিতে যেরূপ ছিল, সেইরূপ পরিদৃশ্যমান হইল। ৯-১৬

  • I डिनि बहtबांछनविडूठ ब९छविप्लव । बांश्न छज्ञझ्खी अथवा সূর্ণ। মণি-মুক্ত প্রভৃতি। শর্কর—সুবর্ণ। জল স্থানে সভাতেজ বুঝিতে হুইবে । তিলককার বলেন, সভাতেও ঐ সকল জিনিস আছে যখ!—বশিষ্ঠ—জল, তিমি নাগ—ভরত শক্রয়, মণি প্রভৃতি অমাতা পৌরজনপদগণ। ইছা কতকের মত।

Հ8Վ9 দ্ব্যশীতিতম সর্গ বুদ্ধিসম্পন্ন ভরত দেখিলেন, পূজ্যজনে সম্পূর্ণ হওয়াতে বশিষ্ঠাদি মহাত্মগণের অধিষ্ঠানে সেই সভা পূর্ণচন্দ্ৰশোভিতা নিশার স্যায় শোভা পাইতেছে। সভাপ্রবিট আর্য্যগণ যথারীতি স্ব স্ব আসনে উপবেশন করিলে, তঁহাদের অঙ্গরাগ ও বস্ত্র-শোভায় শোভিতা হইয়া, সেই উৎকৃষ্ট সভা প্রভা বিস্তার করিতে লাগিল। শরৎকালে পূর্ণচন্দ্র-সমন্বিত রজনী যেরূপ শোভা পায়, বিদ্বজ্জনের সমাগমে সেই সভা পরম রমণীয়া হইয়াছিল । অনন্তর ধৰ্ম্মজ্ঞ পুরোহিত বশিষ্ঠ রাক্তার প্রকৃতিলগকে অবলোকন করিয়া, ভরতকে মৃদুবচনে কহিলেন,—ভরত ! রাজা দশরথ নিয়ত ধৰ্ম্মীচরণ-পূর্বক ধনধান্তবতী বিপুল সমৃদ্ধি-সম্পন্ন এই পৃথিবী তোমাকে প্রদান করত স্বর্গে গমন করিয়াছেন। সত্যবৃত্ত রাম ও সাধুগণচরিত ধৰ্ম্ম স্মরণ করিয়া, চন্দ্র যেমন জ্যোৎস্নাকে ত্যাগ করেন না, সেইরূপ পিতার আদেশ পরিত্যাগ করেন নাই। এক্ষণে তুমি অমাত্যদিগের আনন্দবৰ্দ্ধন করিয়া, পিতা ও ভ্রাতৃ-প্রদত্ত এই অকণ্টক রাজ্য উপভোগ কর, শত্র অভিষিক্ত হও । উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম ও পশ্চিমান্ত প্রদেশবাসী এবং সমুদ্রদ্বীপনিবাসী যাবতীয় রাজগণ এবং সিংহাসনশূন্ত রাজগণও তোমার জন্য কোটি কোট রত্ন উপহর .இ بیا-لاا ةff B ধৰ্ম্মজ্ঞ ভরত এই বাক্য শ্রবণ করিয়া, শোকপরিপ্ল ত হইয়া, জ্যেষ্ঠের অনুবর্তনরূপ ধৰ্ম্মলিঙ্গায় রামকে মনে মনে তখন স্মরণ করিলেন । কলহংসস্বর সেই যুবা সভামধ্যে বাষ্পগদগদ বাক্যে বিলাপ করিতে লাগিলেন এবং ক্ষোভ-পূর্বক পুরোহিত বশিষ্ঠকে নিন্দ করিয়াছিলেন।’ চরিতব্ৰহ্মচৰ্য্য, ধৰ্ম্মনিষ্ঠ, বিদ্যাস্নাত সেই ধীমান রামচন্দ্রের রাজ্য মাদৃশজন কি ১। ভরত ভোগকালেও উপেক্ষা করিলেন, ইহাই উহার গুতি। বশিষ্ঠ সৰ্ব্বজ্ঞ হইয়াও—বিশেষতঃ রঘুকুলের নিয়ম জানিয়াও সৰ্ব্বজনসমক্ষে অভায় কাষা করিবার জন্য ভরতকে বলায় তিনি নিলা করিয়াছিলেন।