পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 88 প্রকারে হরণ করিতে পারে ? দশরথ হইতে জন্মগ্রহণ করিয়া ,আমি কিরূপে রাজ্যাপহারক হইব ? রাজ্যও রামের, আমিও রামের । হে মহর্ষে ! আপনাকে এ স্থলে ধৰ্ম্মকথা বলা উচিত ৷ ই সাক্ষাৎ দিলীপ ও নহুষের স্যায় ধৰ্ম্মাত্মা শ্রেষ্ঠ ও জ্যেষ্ঠ রামই দশরথের ন্যায় এই রাজ্য পাইবার অধিকারী। অসাধুসেবিত, স্বৰ্গ-বিরোধী এই পাপ যদি আমাকর্তৃক অনুষ্ঠিত হয়, তবে লোকে আমাকে ইক্ষাকুকুলনাশন বলিবে । জননী কর্তৃক যে পাপ অনুষ্ঠিত হইয়ছে, আমি কোনক্রমেই তাহার ত মুমোদন করি না ; অতএব আমি এখানে থাকিয়াই কৃতাঞ্জলিপুটে সেই বনতুগস্থ ভ্রাতাকে নমস্কার করিতেছি । আমি তাহারই অনুগত থাকিব, তিনিই এ রাজ্যের রাজা, তিনি ত্রিভুবনের রাজা হইবারও যোগ্য । ৯-১৬ সমুদয় সভাসদৃবর্গ ভরতের এই ধৰ্ম্মযুক্ত বাক্য শ্রবণ করিয়া, রামে তদগতচিত্ত হইয়া, হৰ্মভরে অশ্রু বিসর্জন করিতে লাগিলেন । আমি যদি সেই আৰ্য্যকে বন হইতে প্রতিনিবৃত্ত করিতে না পারি, তাহা হইলে, আৰ্য্য লক্ষণের ন্যায় আমিও তথায় বাস করিব।” আমি সদগুণশালী সাধুস্বভাব শ্রেষ্ঠ আর্য্যগণের সমক্ষেই রামকে বন হইতে প্রতিনিবৃত্ত করিবার জন্য যত কিছু উপায আছে, সমুদয়ই অবলম্বন করিব। আমি পূর্বেই কি বৈতনিক, কি অবৈতনিক, সমস্ত মার্গ-নিৰ্ম্মাণদক্ষদিগকে পথ প্রস্তুত করিবার জন্য প্রেরণ করিয়াছি, এক্ষণে স্বয়ংই তথায় যাইতে ইচ্ছা করি। ভ্রাতৃবৎসল ধৰ্ম্মাত্মা ভরত এইরূপ বলিয়া সমীপে অবস্থিত মন্ত্রণানিপুণ সুমন্ত্রকে কহিলেন,— সুমন্ত্র । আমার আদেশমত তুমি শীঘ্ৰ উঠিয়া গমন কর । আমার গমন-বাৰ্ত্ত জানাইয়া সৈন্তাদিগকে २ । यथप्न निर्सक नश्कारई निष्ठाब निकः दत्र न७sाब, थ३ ब्रांज) त्राभtब्र, ७३क्रश्न बूझि cय थाषांब नाई,-ईश३ ब्रांप्यद्र निकल्ले প্রতিপাদন করতে হইবে, তাদৃশ ধৰ্ম্মকৰাই আপনার বলা উচিত। ৩ । লক্ষ্মণ কনিষ্ঠ হইলেও জ্যেষ্ঠাগুবৰ্ত্তনয়প ধৰ্ম্ম পালন করার তাহাকে ভরত অধ্য বলিয় ছেন । বাল্মীকি-রামায়ণ সত্বর আনয়ন কর। মহাত্মা ভরত কর্তৃক এইরূপ উক্ত হইয়া, সুমন্ত্র হর্ষ-সহকারে নিজের অভিলষিতামুরূপ ভরতের আদেশ বিজ্ঞাপন করিলেন । ১৭-২৩ রামকে বন হইতে নিবৃত্ত করিবার জন্য সৈন্যদিগকেও যাত্রা করিতে আজ্ঞা দেওয়া হইয়াছে শুনিয়া, সমুদয় প্রকৃতিবর্গ ও সৈন্তাধ্যক্ষেরা অতীব আনন্দিত হইলেন । অনন্তর গৃহে গৃহে যোধাঙ্গনীগণ হর্স সহকারে তাহদের স্ব স্ব ভর্তাদিগকে রামানয়ন জন্য বনগমনার্থ ত্বরান্বিত করিতে লাগিলেন । সেই সৈন্তাধ্যক্ষেরা অশ্ব, শকট, মনের লুণয় শীঘ্রগামী রথ দ্বারা সমস্ত সৈন্যদিগকে ও সপত্নীক যাইতে অনুমতি করিলেন । অনন্তর সৈন্তগণ গমনোস্থ্যত হইস সজ্জীভূত হইয়াছে দেখিয়া, ভরত কুলগুরু বশিষ্ঠের সমীপে বসিয়া, পাশ্বস্থ সুমন্ত্রকে রথ-যোজনায় সত্বর হও বলিলেন । সুমন্ত্র ভরতের আজ্ঞানুসারে উৎকৃষ্ট অশ্বযোজিত রথ লইয়া তাহার নিকটে আগমন করিলেন। সেই দৃঢ়-সত্যবিক্রম, সত্যবৃত্তি, প্রতাপশালী ভরত মহারণ্যগত যশস্বী গুরু রামকে ফিরাইয়া আনিবার মানসে সুযুক্ত বাক্যে সুমন্ত্রকে বলিলেন—সুমন্ত্র! তুমি শীঘ্ৰ উত্থিত হইয়া, সৈন্যদিগকে প্রস্তুত করিবার নিমিত্ত সৈন্তাধ্যক্ষদিগকে আদেশ কর । আমি জগতের হিতের নিমিত্ত বনস্থিত রামচন্দ্রকে প্রসন্ন করিয়া আনিতে ইচ্ছা করি । তখন সুমন্ত্র ভরতের আদেশক্রমে পূর্ণমনোরথ হইয়া সৈনাধ্যক্ষ, সুহৃদগণ এবং পৌরপ্রধান জনগণকে ভরতের আদেশ জানাইয়া দিলেন। অনন্তর গৃহে গৃহে সেই সমস্ত ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্ব ও শূদ্রের উদূযোগী হইয়া উষ্ট্র, রথ, থয়, হস্তী ও সংকুলজীত অশ্ব সকল সজ্জিত করিলেন । ২৪-৩২