পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२8७ সৈন্যদিগকে তাহদের অভিপ্রায়ানুসারে চতুর্দিকে সন্নিবেশিত কর। এক্ষণে স্বৰ্গপ্রাপ্ত রাজা দশরথের পরলোক নিমিত্ত তৰ্পণ করিবার জন্য ভাগীরথীতে অবতরণ করিব । তিনি এইপ্রকার বলিলে, অমাত্যগণ যে আজ্ঞা বলিয়া ঐকান্তিকচিত্তে পৃথক পৃথক ক্রমে সৈন্য সকলকে তাহদের ইচ্ছানুসারে সন্নিবেশিত করিলেন । মহাভাগ ভরত এইরূপে মহানদী গঙ্গার তটে যথাবিধানে বিবিধ পরিচ্ছদে শোভিত বাহিনীকে সন্নিবেশিত করিয়া, রামকে কিরূপে ফিরাইয়া আনিবেন, কেবল সেই বিষয়ই চিন্তা করত তথায়, বাস করিলেন । ১১-১৮ চতুরশীতিতম সর্গ এ দিকে চতুরঙ্গিণী সেনা গঙ্গাতীর আশ্রয় করিয়া, চতুর্দিকে সন্নিবিষ্ট হইয়াছে দেখিয়া, গুহ জ্ঞাতিদিগকে কহিলেন, -গঙ্গাতীরে এই যে সাগরসদৃশী মহতী সেনা নয়নগোচর হইতেছে, আমি মনে মনে চিন্তা করিয়াও উহার অন্ত অবগত হইতে পারিতেছি না। যখন রথোপরি অত্যুচ্চ কোবিদার-ধ্বজ শোভা পাইতেছে, তখন বোধ হয়,দুৰ্ব্ব দ্ধি ভরত স্বয়ং আসি য়াছে।’ হয় আমাদিগকে পাশ দ্বারা বন্ধন, না হয় এককালেই হত্যা করিবে এবং সামাদিগকে ঐরাপ করিয়া, পরে জনককর্তৃক রাজ্য হইতে বহিষ্কৃত রামকে বধ করিবে। ফলতঃ কৈকেয়ীর পুত্র ভরত পরমদুর্লভ রাজশ্ৰী সম্পূর্ণরূপে অধিকার করিবার আশয়েই রামকে হনন করিবার অভিপ্রয়ে যাইতেছে ; কিন্তু দশরথনন্দন রাম আমার সখা ও ভর্তা ; অতএব SSAS SSAS SSAS SSAS SS SS SSMMMSS S SSLS SLLLS STAASAAAA ১। রাম েF কষ্ট দিবার নিমিত্ত আদিয়াছে, এই কথা বলিবার জন্তই ভরতকে দুর্বন্ধি বলা হইয়াচে । যে হেতুক ইক্ষাকুকুলচিহ্নস্বরূপ কোবিদারধ্বজ দেখা যাইতেছে । সুতরাং ঐ ব্যক্তি নিশ্চয়ই ভরত | আমার সখ। রাম, সুতরাং তৎপক্ষ বলিয়া আমাদের ভয় । অামাদেরও রামের ইষ্ট কার্য্য করা উচিত, সুতরাং ভরতের সসৈন্তে গঙ্গাপার হওয়ায় বিষ্কাচরণ করিবার জঙ্ক তোমর প্রস্তুত থাকিবে । বাল্মীকি-রামায়ণ তোমরা সকলে তাহার প্রয়োজনসিদ্ধির নিমিত্ত কবচ বন্ধন করিয়া এই গঙ্গার তারপ্রদেশে অবস্থান কর। আমার অধীনস্থ দাসেরা সকলেই নদী-তরণ-পথের বিল্পসাধনার্থ মাংস, ফল ও মূল ভক্ষণ করত বলবান হইয়া, এই গঙ্গাতীর আশ্রয় করিয়া থাকুক। পঞ্চশত নৌকাবাহনযোগ্য শত শত কৈবৰ্ত্তের ও শত শত যুব যোদ্ধারা কবচ বন্ধন করিয়া এখানে থাকুক। ভরত যদি রামের বিষয়ে তুষ্ট থাকেন, তবেই এই সেনা আজি কুশলে গঙ্গাপার হইলে ; নতুবা নহে। এইরূপ আদেশ করিয়া নিবাদপতি গুহ মৎস্য, মাংস ও মধু উপটৌকন লইয়া ভরতের নিকট গমন করিলেন। ১-১০ প্রতাপশালী কালজ্ঞ সুমন্ত্র তাহাকে আসিতে দেখিয়া, নিতান্ত বিনীতভাবে ভরতকে নিবেদন করিলেন,—জ্ঞাতিসহস্ৰে পরিবেষ্টিত সাধুত্তম এই বৃদ্ধ গুহ আপনার ভ্রাতা রামের সখা ; বিশেষতঃ ইনি দণ্ডকারণ্যের সকল বৃত্তান্তই অবগত আছেন ; অতএব হে ককুৎস্থনন্দন ! নিষাদপতি গুহ আপনার সহিত সাক্ষাৎ করুন । রাম ও লক্ষণ যেখানে আছেন, ইনি নিঃসন্দেহই তাহ জানেন। সুমন্ত্রের এই শুভ । বাক্য শ্রবণ করিয়া ভর ত কছিলেন, নিষাদপতি শীঘ্রই আমার সহিত সাক্ষাৎ করুন। তখন গুহ ভরতের অনুজ্ঞা লাভ করিয়া, পরম সস্তুষ্ট ও জ্ঞাতিগণে বেষ্টত হইয়া, তাহার সমীপে যাইয়া নম্নভাবে কহিলেন,—আপনি এখানে আগমনের পূর্বে আমাদিগকে কোনরূপ আজ্ঞা করিয়া পাঠান নাই, ইহাতে আমাকে অনুগ্রহদানে বঞ্চনা করা হইয়াছে। যাহা হউক, এক্ষণে আমি সমুদায় রাজ্য নিবেদন করিতেছি । আপনি নিজ দাস বিবেচনায় আমার গৃহে অবস্থিতি করুন। এক্ষণে নিষাদগণ স্বহস্তে এই ফল, মূল, আর্দ্র ও শুষ্ক মাংস এবং নীবারাদি সংগ্ৰহ করিয়া আনিয়াছে, এই সমস্ত গ্রহণ করিতে অনুমতি হউক। আমার ঐকান্তিক অভিলাষ, সৈন্তসকল আমাদের গৃহে উত্তমরূপে ভোজন করিয়া, অন্ত রাত্রি