পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩১২

૨૮:૨ একোননবতিতম সর্গ রঘুকুলোদ্ভব মহাত্মা ভরত সেই গঙ্গাতীরেই রাত্রি যাপন করিয়া, প্রত্যুষে গাত্রোথান পূর্বক শক্রকে এই কথা বলিলেন,—শক্রয় ! কেন শয়ন করিয়া রহিয়াছ ? তোমার কল্যাণ হউক, তুমি শীঘ্ৰ উঠিয়া নিষাদরাজ গুহকে আনয়ন কর । তিনি সৈন্যদিগকে পার করিয়া দিবেন । ভরত এই প্রকার আদেশ করিলে, “আমি নিদ্রিত হই নাই, অনবরত আধ্য রামচন্দ্রকে চিন্তা করত আপনার ন্যায় জাগ্রত দশাতেই অবস্থিত রহিয়াছি। এই কথা শক্রত্ন ললিয়াছিলেন । নরবার ভরত ও শত্রত্ন পরস্পর এই প্রকার কথোপকথন করিতেছেন, এমন সময়ে নিষাদরাজ গুহু তথায় আগমন-পূর্বক কৃতাঞ্জলিপুটে কহিলেন,—হে ককুৎস্থনন্দন ! আপনি এই নদীতীরে রজনীতে সুখে রাত্রিবাস করিয়াছেন ত ? এবং সৈন্যগণের সহিত আপনার কোন ক্লেশ হয় নাই ত? গুহের স্নেহবশতঃ উচ্চারিত বাক্য শ্রবণ করিয়া, রাম-পরবশ ভরত এই কথা বলিলেন,—ধীমন । শবরী সুখে যাপিত হইয়াছে এবং তুমিও আমাদিগকে সম্পূর্ণ সংকার করিয়াছ। সম্প্রতি তোমার দাসগণ বহুসংখ্যক নৌকা দ্বারা আমাদিগকে গঙ্গার পরপরে উত্তীর্ণ করাইয়া দিক । অনন্তর গুহ ভরতের আদেশ শ্রবণ করিয়া, সত্বর তথা হইতে নগরে পুনঃপ্রবেশ করিয়া জ্ঞাতিদিগকে কহিলেন,—সর্বদা তোমাদের মঙ্গল হউক ; তোমরা নদ্রা ত্যাগ কর, উত্থিত হও। কতকগুলি নৌকা তীরে আনয়ন কর, ভরতের সৈন্যদিগকে পার করিয়া দিতে হইবে । ১-৯ তাহারা এই প্রকার অভিহিত হইয়া, রাজার আজ্ঞীয় সত্বরে গাত্রোথান করিয়া চতুর্দিক হইতে পাচ শত নৌকা আনিয়া উপস্থিত করিল এবং রাজাদিগের আরোহণযোগ্য স্বস্তিকনামে কতিপয় নৌকাও আনয়ন করিল। ঐ সকল নৌকা সুবর্ণরঞ্জিত বাল্মীকি-রামায়ণ চিত্রসমূহ দ্বারা অতিশয় শোভাবিশিষ্ট ; শত শত দণ্ড ও নাবিক-সমন্বিত ; উহাদের সন্ধিবন্ধ সকল অতিশয় দৃঢ় এবং পতাকা সকলে বৃহৎ ঘণ্টা লম্বিত রহিয়াছে । * অনন্তর গুহও স্বয়ং স্বস্তিক নামে একখানি স্বতন্ত্র মঙ্গলময়ী রাজনৌকা লইয়া আসিলেন। ঐ নৌকা সর্বাংশেই নিরাপদ এবং নরপতিগণের আস্তরণোপযুক্ত শুভ্রবর্ণ কম্বলে আচ্ছাদিত। উহার উপরিভাগে অনবরত মঙ্গল-বাদ্যের শব্দ হইতেছে। মাবল শক্রর, ভরত, কৌশল্যা, সুমিত্রা এবং অন্যান্য রাজমহিষীগণ ঐ নৌকায় আরোহণ করিলেন। গুরু, পুরোহিত ও ব্রাহ্মণগণ পূর্বেই আরোহণ করিয়াছিলেন। অনন্তর সানুচর রাজপরিবারবর্ণ, শকট ও পণ্য সকল ক্রমে ক্রমে পৃথক পৃথক নৌকায় উঠান হইল। নিজ নিজ আবাসগৃহ অগ্নি দ্বারা ভস্মসাৎ করিয়া গঙ্গায় অবগাহন-মান সমাধা করিয়া নিজ নিজ দ্রব্যসামগ্ৰী লইয়া নৌকারোহণকালে সৈন্যগণের কোলাহল আকাশ স্পর্শ করিয়াছিল। ঐ সময়ে দাশগণ কর্তৃক অধিষ্ঠিত পতাকাধারিণী শীঘ্ৰগামিনী সেই সমস্ত নৌকা, আরোহিগণকে বহন করিয়া মহাবেগে অপর পারে লইয়া গিয়াছিল। সেই সকলের মধ্যে কোন নৌকা স্ত্রীগণে পূর্ণ, কোন নৌকা অশ্বসমূহে সমাকীর্ণ এবং কোন নৌকা বা বহুমূল্য যানবাহনাদি বহন করিয়া চলিল। ক্রমে ক্রমে ঐ সকল নৌকা পরপারে গমন করিয়া, আরোহীদিগকে নামাইয়া দিয়। নিবৃত্ত হইলে, দাশবন্ধু পীবরগণ সেই সকল নৌকা লইয়া জলমধ্যে বিচিত্র ক্রীড়া করিতে ১। স্বস্তিক, সৰ্ব্বতোভয় প্রভৃতি আকারাজুসারে নৌকার সংজ্ঞা ; উহ! প্রায়শ: দুইখানি বৃহৎ নৌক একত্রে যোজনা করিয়া, উহার উপরে কাষ্ঠনির্ণিত সমচতুক্ষেপ গৃহ নির্শিত হইয়া থাকে। তাহার উপরের আস্তরণাদিও রাজযোগ্য রক্ষিত থাকে ; বর্তমান সময়ে ঐ সকল cनोकां८क ‘कन्नह' दरल । कांनौष्ठ ‘बूछामत्रल' नामक शत्रांमशादडौं মহোৎসবে ঐক্লপ কচ্ছ' এখন নিৰ্মাণ হয় । , ২। সৈন্তদিগের তৎকালে ঐরাপ স্বধৰ্ম্ম ছিল যে, তাহারা নিজ বাসস্থান দগ্ধ করিয়া যাইত, বোধ হয়, শত্রুপক্ষ কেহ আদিয়া ঐ অবস্থানযোগ্য স্থানে যাহাতে আশ্রয় না পায় । mes = ---س - --< = = - - τσα -- ---ω-κ-α-ia - - -- -