পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যাকাণ্ড প্রবৃত্ত হইল। ঐ সময়ে গজারোহিগণ কর্তৃক নিয়োজিত হইয়া ধ্বজ-ভূষিত হস্তী সকল পক্ষযুক্ত পর্বিতের ন্যায় শোভা বিস্তার করিয়া নদীতে সস্তরণ করিতে লাগিল। কেহ নৌকায় আরোহণ করিয়া ও কেহ বা বেণুতূণাদিনিৰ্ম্মিত ভেলা করিয়া পার হটতে লাগিল, কেহ কুন্ত ও ঘট ধরিয়া সন্তরণ দিল এবং অন্যেরা বাহুমাত্রেই নির্ভর করিয়া পার হইল। ১০-২০ ধীবরগণ দ্বারা গঙ্গা উত্তীর্ণ হইয়া সেই শোভমান চতুরঙ্গিী সেনা স্বর্গ্যোলয়ের তৃতীয় মুহূৰ্ত্ত :-মধ্যে পরম মনোহর প্রয়াগ-বনে প্রয়াণ করিল। তখন মহাত্মা ভরত সৈন্যদিগকে সুখে প্রয়াগ-বনে স্থাপিত এবং আশ্বাসিত করিয়া, পার্ষিবর ভরদ্বাজের দর্শনকামনায় ঋত্বিক ও সদস্যগণ সমভিব্যাহারে প্রস্থান করিলেন । পরে সেই মহানুভব দেবপুরোহিত, ব্রহ্মপরায়ণ ও দ্বিজশ্রেষ্ঠ ভরদ্বীজের আশ্রম-সান্নিধ্যে উপনীত হইয়। রমণীয় পর্ণকুটার ও তরুগণ-মণ্ডিত মহদ্বন দর্শন করিলেন। ২১-২৩ নবতিতম সর্গ পুরুষশ্রেষ্ঠ ভরত আশ্রম-পীড়া না হয়, এ জন্য সৈন্য সমুদায় আশ্রম হইতে ক্রোশ-পরিমিত অন্তরে ৩ । ৩•শ মুহূর্তে এক দিনরাত্রি হয় ; দিবা ১৫ মুহূৰ্ত্তে ও রাত্রি ১৫ মুহূৰ্ত্তে ; ৬• দণ্ডে এক দিন এক রাত্রি হয়। ঋতুভেদে এই মুহুর্তের পরিমাণ হ্রাস-বৃদ্ধি হইয়া থাকে। শীতকালে যখন ২৫শ দণ্ড দিন ঃ , তখন এক মুহূৰ্ত্ত ১ দও ৩৯ পলে হয়, গ্রীষ্মকালে দিব যখন ৩৪ দণ্ড, তপন ২ দণ্ড ১৬ পলে মুহূৰ্ত্ত হয়। ঐ দিনের মুহূৰ্ত্ত সকলের নাম আছে प६l “রৌদ্র: সাপগুধ মৈত্র, পৈত্রে বাসব এব চ। আর্ঘ্যে বৈগুস্তথা ব্রাহ্মাঃ প্রাজ্যে রেী দ্রখগ্নিরেব চ | ঐক্সো মণি ঋতিশ্চৈব বারুণে যমসায়কে)। এতে ক্ৰমেশ বিজ্ঞেয় মুহূৰ্ত্ত দশপঞ্চ চ ॥” ছয় দণ্ডমধো ভরতের সৈন্ত গঙ্গা পার হইয়াছিল। ৪ । বৃহস্পতির জাত৷ উত্তথ্যের পত্নী মমতার গর্ভে বৃহস্পতির ঔরসে ভরদ্বীজের জন্ম হয়, ইহা মহাভারতে ও অন্যাস্ত পুরাণে আছে, আমাদের দুই জন হইতে জাত এই বালককে তুমি ভরণ-পোষণ কর, এই কথা মমতা বৃহস্পতিকে এবং বৃহস্পতি মমতাকে বলিয়াছিলেন বলিয়। ঐ বালকের নাম ভরদ্বাজ হয়, পিতা দেবপুরোহিত । এই জল্প ভরদ্বজেকেও দেবপুরোহিত বলা হইয়াছে । さQ○ স্থাপন করিয়া মন্ত্রীদিগের সহিত তদর্শনে চলিলেন । সেই ধৰ্ম্মাত্মা সমুদায় শস্ত্র ও পরিচ্ছদ ত্যাগ ও ক্ষেীমবস্ত্রযুগল পরিধান করিয়া এবং পুরোহিতকে অগ্ৰে করিয়া পদব্রজে চলিলেন ।” অনন্তর দূর হইতে ভরদ্বাজকে দেখিতে পাইয়া, তিনি মন্ত্রীদিগকে রাখিয়া স্বয়ং পুরোহিত বশিষ্ঠদেবের পশ্চাৎ পশ্চাৎ যাইতে লাগিলেন। মহাতপ ভরদ্বাজ বশিষ্ঠকে দর্শনমাত্র শিষ্যদিগকে অন্য আনিতে আদেশ করিয়া হাসন হইতে উগিত হইলেন । বশিষ্ঠের সহিত সমাগত ভরত যথারীতি অভিবাদন করিলে, তিনি তাহাকে বশিষ্ঠের সহিত আসিতে দেখিয়া, দশরথের পুত্র বলিয়া বুলিতে পারিলেন । ধৰ্ম্মজ্ঞ ভরদ্বাজ উভয়কেই যথাক্রমে পাদ্য, অৰ্ঘ্য ও বিবিধ ফল প্রদান করিয়া গুহের কুশল জিজ্ঞাসা করিলেন। রাজধানী, সৈন্য, কোষ, মিত্রবর্গ ও মন্ত্রিগণ সকলেরই কুশল-প্রশ্ন করিয়া রাজা দশরথের পরলোক হইয়াছে জানিয়া, তদ্বিষয়ে কোন উল্লেখ করিলেন না। বশিষ্ঠ ও ভরত ও ভরদ্বাজের তপঃসাধন, শরীর, অগ্নি, শ্যি, বৃক্ষ, মৃগ ও পক্ষিগণের অনাময় জিজ্ঞাসা করিলেন। পরম যশস্বী ভরদ্বাজ, ‘আমার সর্বত্রই কুশল, এই কথা বলিয়া রামের প্রতি মেহনিবন্ধন ভরতকে কহিলেন,–১-৯ তুমি রাজ্যশাসনে নিযুক্ত হইয়াছ, অতএব এখানে এখন আসিবার কি আবশ্যক হইল, ইহা আমাকে বল ; আমার মনে বিশ্বাস হইতেছে না । কৌশল্য যে শত্ৰুহন্তা ও আনন্দবন্ধন রামকে প্রসব করিয়াছেন, যিনি ভ্রাতার ও ভাৰ্য্যার সহিত বহুকালের জষ্ঠ বনে গিয়াছেন, যে মহাযশা পত্নীপরতন্ত্র পিতার “চতুর্দশ বৎসর বনবাসী হও” এই আজ্ঞা পালন হেতু বনে বাস করিতে নিযুক্ত হইয়াছেন ; সেই নিষ্পাপ ح یہ سمجھ سـس مــ --۔ ১। ভরত ইতঃপূর্বেই বলিয়াছেন যে, তিনি চীর ও জটা ধারণ করিবেন, তবে এ স্থানে রাজযোগ পরিচ্ছদ ও অন্ত্র তাণগ করিয়া ক্ষেীম বসন পরিধান করার কথা কিরূপে সঙ্গত হয় ? উত্তর-ভরত প্রতিজ্ঞামাত্রই করিয়াছিলেন, প্রকৃতপ্রস্তাবে কার্ধ্যারম্ভ ভরদ্বাজ শ্রেম ভাগের পর হইতে বুঝতে হইবে।