পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՎQ Ե হইয়া রহিল। নানাপ্রকার উৎকৃষ্ট ও দিব্য মাল্য সকলও তাহাদের উপভোগ জন্য সেইরূপই ইতস্তত: বিক্ষিপ্ত ও প্রমদত হইতে লাগিল। ৬১-৮৩ দ্বিনবতিতম সর্গ অনন্তর ভরদ্বাজ আতিথ্য-বিধান করিলে, ভরত সপরিবারে সেই রজনী সুখে অতিবাহিত করিয়া রামকে প্রাপ্ত হইবার কামনায় মহৰ্মি-সমীপে গমন করিলেন। পুরুষশ্ৰেষ্ঠ ভরত কৃতাঞ্জলিপুটে আগমন করিতেছেন দেখিয়া, ভরদ্বাজ অবশিষ্ট হোমাবসানে র্তাহাকে কহিলেন,—অনঘ! আমার এই আশ্রমে সুখে তোমার ত রাত্রিযাপন হইয়াছে ? এবং তোমার লোক সকলও ত আতিথ্যলাভে সম্যক তৃপ্ত হইয়াছে ? এই বলিয়া উত্তমতেজা মহর্মি আশ্রম হইতে নিষ্ক্রান্ত হইলে, ভরত কৃতাঞ্জলিপুটে প্রণাম করিয়া কহিলেন,—ভগবন । আমি সমগ্র বলবাহনের সহিত সুখে রাত্রিবাস করিয়াছি এবং আপনিও সমস্ত সেনার সহিত আমাকে বিশেষরূপেই তৃপ্ত করিয়াছেন। ফলতঃ, সমুদায় ভূত্যের সহিত আমরা সকলেই মুখে রাত্রি যাপন, সুখে বাস ও সুখে পানভোজন করিয়াছি এবং আমাদের সকলেরই সন্তাপ ও গ্লানি দূর হইয়াছে। হে ভগবন ঋষিসত্তম । এক্ষণে আপনাকে জিজ্ঞাসা করিয়া ভ্রাতার নিকট যাইতে উদ্যত হইয়াছি; আপনি আমার প্রতি কৃপাদৃষ্টি নিক্ষেপ করুন। হে ধৰ্ম্মজ্ঞ ! মহাত্মা ধাৰ্ম্মিক রামের আশ্রম কত দূরে বলুন এবং কোন পথে কত দূরে তথায় যাইতে হইবে, তাহাও বলিয়া দিন। ভরত ভ্রাতৃদর্শনলালসায় এই প্রকার জিজ্ঞাসা করিলে, পরম তেজস্বী ও পরম তপস্বী ভরদ্বাজ প্রত্যুত্তর করিলেন,—১-৯ s ! भश्६ि 4झेब्र” विभूजां८ग्नांetनā दांब्री डब्लtठद्र यांङिथा করিয় ভরতকে শিক্ষা দিলেন যে, রাজত্ব অপেক্ষ তপস্তাই শ্রেষ্ঠ এবং ভরত বাস্তবিকপক্ষে রামভক্তিসম্পন্ন কি না, তাহাও এই বাপানে পরীক্ষিত হইয়াছে, রামভক্তি না থাকিলে সে ভোগপ্রবণ হইত। বাল্মীকি-রামায়ণ ভরত। এখান হইতে সাৰ্দ্ধ-দ্বিযোজন অন্তরে জনশূন্ত অরণ্যমধ্যে চিত্ৰকূট নামে রমণীয় বিদীর্ণ পাষাণ ও কাননসমূহে শোভমান পৰ্বত আছে। তাহার উত্তরপার্শ্ব দিয়া মন্দাকিনী নদী প্রবাহিত হইতেছে । ঐ নদী কুসুমিত তরুগণ-সমাবৃত এবং রমণীয় পুষ্পিত কাননে সুশোভিতা । হে তাত । উহারই পরপারে চিত্রকূট পৰ্বত এবং রাম-লক্ষণের পর্ণ-কুটার সেই পর্বিতে দেখিতে পাইবে । র্তাহারা নিশ্চয়ই তথায় বাস করিতেছেন। হে মহাভাগ বাহিনীপতে ! যমুনার দক্ষিণতীরস্থ পথে কিয়দর গমন করিয়া, সেই পথের দুইটি শাখাপথের মধ্যে বামভাগে যে পথ দক্ষিণাভিমুখে গমন করিয়াছে, ঐ পথে গজবাজি-পরিবৃত। দেনাকে চালনা কর, তাহা হইলে রামের সহিত সাক্ষাৎ হইবে।” তখন মহারাজ দশরথের যানগামিনী মহিষীগণ, প্রস্থান করিতে হইবে শুনিয়া, নিজ নিজ যান সকল ত্যাগ করিয়া মহর্ষি ভরদ্বাজকে অভিবাদনার্থ পরিবেষ্টন করিলেন । তন্মধ্যে প্রথমতঃ পতিপুত্রবিরহে নিতান্ত ব্যাকুলা ও শীর্ণদেহা কৌশল্যা দেবী সুমিত্রার সহিত কঁাপিতে কঁাপিতে করযুগল দ্বারা মহৰ্ষির চরণযুগল গ্রহণ করিলেন। তানন্তর বিফলকাম সর্ববলোক-নিন্দিতা কৈকেয়ীও মহর্ষির পদবন্দনা করিলেন । এইরূপে তিনি ভগবান ভরদ্বাজকে প্রদক্ষিণ করিয়া, ক্ষুন্ন-চিত্তে ভারতের নিকট দণ্ডায়মান রহিলে, মহামুন ভরদ্বাজ ভরতকে জিজ্ঞাসা করিলেন,—হে রঘুনন্দন ! তোমার মাতৃগণের বিশেষ পরিচয় জানিতে ইচ্ছা করি।১০-১৯ বক্তৃপ্রবর ধাৰ্ম্মিক ভরত, মহৰ্ষির এই কথায় কৃতাঞ্জলি ২। মূলে ভরতাদ্বভূতীয়েৰু এইরূপ আছে। ইহার অর্থ সকল টাকাকারই করিয়াছেন যে, অৰ্দ্ধং তৃতীয়ং যে তেযু অর্থাৎ সাৰ্দ্ধ যোজনৰয়েৰু, অর্থাৎ দশ ক্রোশ দূরে--৪ কোশে ১ যোজন হয়, ইহাই পূৰ্ব্বে রামচন্দ্রকে ভরদ্বাজ বলিয়াছেন, দশ ক্রোশ ইতস্তাত ইত্যাদি, সুতরাং উঞ্জ মোকে কোন বিরোধ নাই । ৩। গোবিন্দরাজ বলেন, এই আশ্রম হইতে কিছুদূর দক্ষিণদিকে গমন করিয়া পরে নৈঋতকোণে যে শাখাপথ গিয়ছে, সেই পথে হস্তাশ্বপরিপূর্ণ দৈন্ড সহ গমন করিলেই রামের সাক্ষাৎকারলাভ হইবে।