পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミやりの মৃগ সমুদয় সকল দিকেই ব্যাকুলভাবে ধাবমান হইতেছে, লক্ষিত হইল।” দশরথনন্দন ধৰ্ম্মাত্মা ভরত, সশব্দে ধাবমান সুবিপুল চতুরঙ্গিণী সেনায় পরিবৃত হইয়া প্রতিভরে গমন করিতে লাগিলেন। বর্ষাকালে মেঘ সকল যেমন আকাশমণ্ডলকে আচ্ছাদিত করে, সেইরূপ মহাত্মা ভরতের সাগর-প্রবাহ-সন্নিভ মহতী সেনায় পৃথিবী আচ্ছন্ন হইয় গেল। পথিগমনকালে মহাবল হস্তী ও অশ্বসমূহ দ্বারা সম্যকরূপে সমাবৃত মেদিনী বস্তৃক্ষণ ব্যাপিয়া অলক্ষ্য হইয়াছিল। বহুদূর গমন করিয়া বাহন সকল নিতান্ত শ্রান্ত হইয়া উঠিলে, শ্ৰীমান ভরত মন্ত্রিশ্রেষ্ঠ বশিষ্ঠদেবকে কহি والسلاحتواة G5 ভগবন ! আমি যেরূপ দেখিতেছি ও যেমন শুনিয়াছি এবং স্বয়ং ভরদ্বীজও যে প্রকার বলিয়াছেন, তাহাতে স্পষ্ট বোধ হইতেছে, আমরা অভিমত স্থানে উপস্থিত হইয়াছি । দেখুন, ঐ সেই চিত্রকূট পৰ্ব্বত, এই সেই মন্দাকিনী নদী এবং দূর হইতে নীল মেঘসন্নিভ ঐ সেই বন প্রতিভাত হইতেছে । সম্প্রতি আমার পর্বতোপম হস্তিগণে চিত্ৰকূটের রমণীয় সামুসমূহ নিপীড়িত হইতেছে । ঐ দেখুন, বর্ষাকালে সজল শ্যামল জলধরমণ্ডল যেমন জলরাশি বর্ষণ করে, বৃক্ষ সকল তেমনি মাতঙ্গগণের শুণ্ডাঘাতে আন্দোলিত হইয়া পর্বতের সানুসমূহে কুসুমরাশি বর্মণ করিতেছে। শক্রত্ন । কিন্নরাচরিত প্রদেশ সকল অবলোকন কর। আমাদের অশ্বগণে চতুর্দিক পরিব্যাপ্ত হওয়াতে ঐ স্থান মকরগণ-সমাকীর্ণ সাগরের স্যায় শোভা পাইতেছে। শরৎকালে বায়ুবেগে চালিত হইয়া মেঘসমূহ যেমন আকাশমণ্ডলে শোভা পায়, সেইরূপ সমুদয় শীঘ্ৰগামী সৈন্যগণ দ্বারা প্রেরিত মৃগগণ শোভা পাইতেছে। জলধরসদৃশ প্রকাশমান চৰ্ম্মফলক- ( ঢাল ) সমন্বিত দক্ষিণাত্যগণ যেরূপ মস্তকে ১ । পৃষত—যে হরিণের গাত্রে বিন্দু বিন্দু চিহ্ন থাকে। রুর মৃগ— यांझांtप द्र क८ ई दिन्नूफिंझ नाहे । বাল্মীকি রামায়ণ সুগন্ধি কুসুমের কিরাট ধারণ করে, ঐ সকল বৃক্ষও সেইরূপ শিখরাগে কুসুম-স্তবক ধারণ করিয়াছে। এই বন স্বভাবতঃ নিৰ্জ্জন, নিস্তব্ধ এবং ঘোরদর্শন হুইলেও সংপ্রতি আমাদের আগমনে জনাকীর্ণ অযোধ্যার স্যায় প্রতিভাত হইতেছে। অশ্বগণের ধুলিসমূহে গগনমণ্ডল আচ্ছন্ন রহিয়াছে। সমীরণ আমার প্রতিসাধন-সমুদ্দেশেই যেন উহাকে শীঘ্ৰ উপনীত করিয়া দিতেছে । শক্রত্ন । অবলোকন কর, প্রধান প্রধান সারথিগণ আরোহণ করাতে ঐ অশ্বরোজিত রধসকল বনমধ্যে অতি দ্রুতবেগে গমন করিতেছে । ঐ দেখ, প্রিয়দর্শন ময়ূরগণ ত্ৰাসিত হইয়া, বিহঙ্গমগণের আবাসভূমি এই শৈলেই আসিতেছে। এই স্থান অতিমাত্র মনোজ্ঞ বলিয়া আমার বোধ হইতেছে । তাপসগণ এখানে অবস্থিতি করেন ; এই কারণে ইহা স্বর্গপথের সমান । ঐ দেখ, অরণ্যমধ্যে চিত্রাগ সকল মৃগীর সহিত মিলিত হইয়া কুসুমসমূহে চিত্রিতের ন্যায় অংশব মনোহর দেখাইতেছে। সৈন্যগণ! তোমরা এক্ষণে সমুচিত বিধানে গমন করিয়া, যাহাতে পুরুষোত্তম রাম-লক্ষণের দেখা পাওয়া যায়, তঞ্জস্য তন্ন তন্ন করিয়া সমুদায় বন অন্বেষণ কর । ৭-২০ শস্ত্রপাণি শূর পুরুষগণ ভরতের কথা শুনিয়া, তৎক্ষণাৎ অরণ্যমধ্যে প্রবেশ করিয়া ধূমশিখা দেখিতে পাইল। ধুমশিখা দর্শন-পূর্বক তাহার প্রত্যাগ ত হইয়া, ভরতকে নিবেদন করিল,—যেখানে মনুষ্যের সমাগম নাই, সেখানে কখনও অগ্নি থাকে না । ইহাতে স্পষ্টই বোধ হইতেছে, রামলক্ষণ নিশ্চয়ই এখানে আছেন। অথবা সেই শত্রুদমন পুরুষশ্রেষ্ঠ রাজনন্দন রাম ও লক্ষণ যদি না থাকেন, তবে রামের তুল্য অন্যান্য তপস্বিগণ এখানে যে আছেন, তাহাতে কোন সন্দেহ নাই।ই শক্রবলমর্দন ২। রামচন্দ্র এস্থানে না থাকিলেও অন্ত তপস্বিগণ এখানে আছেন, এবং তাছাদের নিকটে রামের সংবাদ পাওয়া যাইবে ।