পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অয্যোধাকাও যখন স্বয়ং আসিতেছেন, তখন এই ধনু, খড়গ ও চৰ্ম্ম ধারণে প্রয়োজন কি ? লক্ষণ ! আমি পিতৃসত্য পালন করিব, ইহা প্রতিজ্ঞা করিয়া, ভরতকে যুদ্ধে হত করিয়া, অপবাদময় রাজ্য লইয়া কি করিব ?” বান্ধব বা মিত্র পক্ষের বিনাশে যে বস্তু পাওয়া যায়, বিষময় খাদ্যের ন্যায় সে বস্তুতে কখনই আমি অভিলাষ করি না ৷ লক্ষণ ! আমি তোমার নিকট প্রতিজ্ঞা করিয়া বলিতেছি, শুদ্ধ তোমাদেরই জন্য ধৰ্ম্ম, অর্থ, কাম অথবা পৃথিবী গ্রহণে ইচ্ছা করিয়া থাকি। আমি সত্যবন্ধ-পূর্বক আয়ুধ স্পর্শ করিয়া বলিতেছি, মাতৃগণের সম্যক রূপে পালন ও সুখসাধন জন্যই রাজ্যের অভিলাষ করি। হে সৌম্য ! এই সসাগর পৃথিবী যদিও আমার দুর্লভ নহে, কিন্তু তধৰ্ম্ম করিয়া ইন্দ্রপদ গ্রহণেও তামার অভিলাষ হয় না । হে মানদ ! তোমা বিনা ও শক্রয় বিনা আমার যদি কিছু সুখ হয়, হুতাশন তাহা ভস্ম করুন । হে পুরুষোত্তম ! হে বীর । আমার বোধ হয়, প্রাণাধিক প্রিয়তর ভ্রাতৃবংসল ভরত ‘জ্যেষ্ঠ ভ্রা তাই রাজ্যধিকারী হয়েন, এই কুলধৰ্ম্ম স্মরণ করিয়া অরোধ্যা হইতে আসিয়াছেন । আমি তোমার ও জানকীর সহিত জটাবস্কল ধারণ-পূর্বক বনে প্রাজিত হইয়াছি শুনিয়া, স্নেহাত্ৰগন্ত-হৃদয় ও শোকে ব্যাকুলচিত্ত হইয়া, আমাকে দেখিতে এখানে আসিয়াছেন ; তস্য কোন উদ্দেশ্যে আগমন করেন নাই। ১-১১ সেই শ্ৰীমান ভরত, জননী কৈকেয়ীর প্রতি রোষ প্রকাশ ও পরুষবাক্য প্রয়োগ করিয়া, পিতাকে প্রসন্ন করিয়া, আমাকে রাজ্য দান করিতে আসিতেছেন । এই বিপংসময়েও তিনি যখন আমাদিগকে দেখিতে আসিতেছেন, তখন তিনি মনেও কখন আমাদের প্রতি অহিত্যচরণ করেন, ' এমন প্রত্যয় হয় না । ভরত পূর্বে কবে কি অনিষ্ট

  • । शिङ1 छब्रङरक ब्रांजा निप्लन, ब्रांभ ऎश अ”झ्द्र१ कब्रिग्नছেল, এইরূপ অপবাদযুক্ত রাজ্য লইয়। কি করিব ?

W28 ఫిJe(t করিয়াছেন যে, তজ্জন্য তুমি তাহাকে ভয় করিয়া, এইপ্রকার ভয়েরই কথা বলিতেছ? ভরতকে কোনরূপ নিষ্ঠ র বা অপ্রিয় কথা বলা তোমার উচিত হয় না । ভরতকে অপ্রিয় কথা বলিলে, তাহা আমাকেই বলা হইবে । কোনরূপ আপদ হইলে, পিতা কখনই পুত্রকে অথবা ভ্রাত প্রাণসম ভ্রাতাকে বধ করিতে পারেন না । ২ রাজ্যের জন্যই যদি তুমি এইপ্রকার কথা বলিয়া থাক, ভরতের সহিত দেখা হইলেই আমি বলিব, লক্ষণকে রাজ্য প্রদান কর । লক্ষণ.! তামি সত্যই তোমাকে রাজ্য দিতে বলিলে, ভরত নিশ্চয়ই সম্মত হইবেন । ধৰ্ম্মশীল ভ্রাতা রাম এইপ্রকার কহিলে, তীয় হিতৈষী লক্ষণ লজ্জায় সঙ্কুচিত হইয়া যেন স্বীয় গাত্রে প্রবেশ করিলেন। অনন্তর লক্ষণ লজ্জিত হইয়া প্রত্যুত্তর করিলেন, আমার বোধ হয়, স্বয়ং পিতৃদেব দশরথ আপনাকে দেখিতে তাসিতেছেন ৷ ১২-২০ লক্ষণকে লজ্জিত দেখিয় রঘুনন্দন মহাবাহু রাম তদীয় বাক্যে অনুমোদন করত প্রত্যুত্তর করিলেন,— আমারও বোধ হইতেছে, পিতৃদেব অমাদিগকে দেখিতে আসিলেছেন । অথবা তামার মনে হইতেছে, তিনি আমাদিগকে মুখোচিত ভাবিয়া, বনবাস-ক্লেশ স্মরণ-পূর্বক নিশ্চয়ই আমাদিগকে অযোধ্যায় লইয়া যাইবেন ; কিম্বা সেই শ্রমান রঘুনন্দন পিতৃদেব অত্যন্ত সুখ-সেবিনী এই জনকনন্দিনীকেই বন হইতে লইয়া যাইবেন । ঐ দেখ, প্রশস্ত-কুলোৎপন্ন, বায়ুবেগসম দ্রুতগামী, অত্যন্ত বলশালী, তদীয় মনোরম তুরঙ্গমদ্বয় সুস্পষ্ট লক্ষিত হইতেছে ; ঐ দেখ, ধীমান পিতৃদেবের সেই সুমহাকায় শত্রুঞ্জয় নামে বৃদ্ধ হস্তীও সেনার অগ্রে ২। পূৰ্ব্বে লক্ষ্মণ দশরথকে বধ করার কথা বলিয়াছিলেন, ইদানীং ভরতকে বধ করার কথা বলা য় লগাণেব এই ভীষণ ভাব অপনোদন কর; দরকার, নতুবা কার্বাহানি হইবে, এই ভয়ে রাম লক্ষ্মণকে নিবৰ্ত্তিত করিবার জন্ড বলিতেছেন—আপৎকালেই বা পিতা পুত্রকে, ভ্রাত আপন জাতাকে বিরূপে বধ করিতে পারে ?