পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬৮ আমি লোক-নিন্দিত হইয়াছি ; অতএব অন্ত আমি সেই কলঙ্কক্ষালন জন্য আর্য্য রামকে প্রসন্ন করিবার নিমিত্ত র্তাহার, সীতার ও লক্ষণের চরণে পতিত হইব । দশরথনন্দন ভরত অরণ্যমধ্যে এই প্রকার বিলাপ করিতে করিতে পরমপুণ্যা মহতী মনোরম পণশালা দর্শন করিলেন । ১১-১৮ শাল, তাল ও অশ্বকর্ণ ইত্যাদি বৃক্ষসমূহের পত্রে ঐ পণশালা আচ্ছাদিত ; দেখিলে বোধ হয়, যেন কুশ দ্বারা মৃদুবিস্তীর্ণ বিশাল যজ্ঞবেদি শোভা পাইতেছে। স্বর্ণপৃষ্ঠ ইন্দ্ৰধনুর তুল্য ভার-সাধন এবং শক্ৰনিবারক মহাসার কার্শ্ব ক-সমূহের সান্নিধ্য বশতঃ ঐ পর্ণশালার শোভা সমুদ্ভূত হইতেছে। এতদ্ভিন্ন তথায় তৃণীরমধ্যে সুর্ঘ্য-কিরণ-সদৃশ নে সমস্ত ভয়ঙ্কর শর রহিয়াছে, তদ্বারা দীপ্তাস্ত-ভুজঙ্গ-বেষ্টিত নাগলোকের স্যায় শোভা পাইতেছে এবং পণশালা, কাঞ্চনাবরণ খড়গম্বয় ও স্বর্ণবিন্দু-বিচিত্রিত চৰ্ম্মযুগলে ও উহার শোভার সীমা নাই । মৃগগণ যেমন কোনক্রমেই সিংহের গুহা আক্রমণ করিতে পারে না, সেইরূপ কাঞ্চনভূষিত বিচিত্র গোধাঙ্গুলিত্র সকল ইতস্ততঃ লম্বমান থাকাতে শক্রগণও ঐ পণশালা পরাজয় করিতে পারে না। অনন্তর ভরত সেই রামের আবাসে প্রদীপ্ত ? নবক-সমন্বিত, ঈশান-কোণভাগে নিম্ন, পরমপবিত্র সুপ্রশস্ত বেদি অবলোকন করিলেন । মুহূৰ্ত্ত পরেই উটজে উপবিষ্ট জটামণ্ডলমণ্ডিত জ্যেষ্ঠ ভ্রাত রামকে প্রত্যক্ষ করিলেন।* তিনি সম্মুখে গিয়া দেখিলেন, চরবন্ধলবাসা কৃষ্ণাজিনধারী পাবকোপম রাম আসীন রহিয়াছেন । র্তাহার বাহ আজানুলম্বিত, স্বন্ধ সিংহের স্বন্ধের ন্যায় বন্ধিত, লোচনযুগল পুণ্ডরীক সদৃশ ; তিনি সাগরান্ত৷ ৪। লক্ষ্মণ কনিষ্ঠ হইলেও নিজাপরাধ ক্ষমা করাইবার নিমিত্ত উrহfর পাদতলে পতা লোকপ্রসিদ্ধ, এই কথা কতক বলেন, রামভক্ত वजिग्नां कनेिछे श्tन७ ठाच्षणं दन्चनग्नि cयां★ा, ईश cगंॉदिनद्रांप्जब्र बठ । & ! এই লোকের শেষার্জে গাযন্ত্রীর সপ্তমাক্ষর ৭-কার রহিয়াছে, ইকার পূর্ক্স-য়োকে প্রথমাবধি ছয় সংস্ৰ শ্লোক গত হইয়াছে। বাল্মীকি-রামায়ণ পৃথিবীর ভৰ্ত্ত ও ধৰ্ম্মচারী, কুশাস্তরণ-যুক্ত স্থণ্ডিলে সীতা ও লক্ষমণের সহিত সাক্ষাৎ সনাতন ব্রহ্মার স্যায় উপবেশন করিয়া আছেন। তদর্শনে শ্ৰীমান ধৰ্ম্মাত্মা ভরত দুঃখমোহাভিভূত হইয় তাহার অভিমুখে ধাবমান হইলেন। ১৯-২৯ রামের দর্শনমাত্র ভরত ব্যাকুল হইয়া পড়িলেন । কোনমতেই ধৈৰ্য্য-ধারণ করিতে পারিলেন না । অনন্তর বাপগদগদবাক্যে এইরূপে বিলাপ করিতে লাগিলেন,—সভামধ্যে প্রকৃতিবর্গের দ্বারা নিয়ত উপাসিত হওয়া যাহার নিতান্ত উচিত, সেই মদীয় জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা অরণ্যমধ্যে মৃগগণ কর্তৃক উপাসীন হইয় বাস করিতেছেন। পূর্বে যিনি বহুসহস্র মূল্যবান বানসমূহে অলঙ্কত হইতেন, এবং হইবার যোগ্যপাত্র, সেই এই মদীয় অগ্রজ ধৰ্ম্মাচরণ উদ্দেশে মৃগঢ়ৰ্ম্মে আসীন রহিয়াছেন ! যিনি সৰ্ব্বদা বিবিধ বিচিত্র পুষ্প ধারণ করিতেন, সেই এই রঘুকুমার কিরূপে এই জটাভার সহ করিতেছেন ? ঋত্বিক দ্বারা যজ্ঞ সম্পাদন-পূর্বক ধৰ্ম্ম সঞ্চয় করা বাহার উচিত ছিল, তিনি নিজেই শরীরকে কষ্ট দিয়া ধৰ্ম্ম সঞ্চয় করিতেছেন। মহামূল্য চন্দন দ্বারা যাহার অঙ্গসেবা হইত, সেই আর্য্য রামের দেহ এখন মললিপ্ত হইতেছে। সুখোচিত রাম আমার জন্যই এই দারুণ দুঃখ প্রাপ্ত হইলেন ; অতএব আমার এই সর্বলোকবিহিত নৃশংস জীবনে ধিক ! এইরূপে নিতান্ত ব্যাকুলভাবে বিলাপ ও রোদন করিতে করিতে ভরত দুঃখাতিশয়বশতঃ রামের চরণযুগল প্রাপ্ত না হইয়াই ভূতলে পতিত হইলেন। র্তাহার মুখ-কমল স্বেদসলিলে পরিপূর্ণ হইয়া উঠিল। তৎকালে দুঃখে অতিমাত্র সন্তপ্ত হওয়াতে মহাবল রাজকুমার ভরত একবারমাত্র ‘আৰ্য্য !" এই কথা বলিয়াই পুনরায় আর কিছুই বলিতে পারিলেন না। বাষ্পভরে কণ্ঠদেশ রুদ্ধ হইয়া আসাতে, যশস্বী রামের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া, জাৰ্য্য।’ এই কথা বলিয়াই উহার