অযোধ্যাকাও বিদ্বান, অনুকূল ও পণ্ডিত, এইরূপ ব্যক্তিকেই ত ভুমি দৌত্যকাৰ্য্যে নিযুক্ত করিয়াছ ? পরস্পর পরস্পরকে অবগত নহে, এরূপ চারগণের তিনজনকে এক এক বিষয়ে নিযুক্ত করিয়া তুমি ত শক্রপক্ষে অষ্টাদশ" এবং আত্মপক্ষে পঞ্চদশ রাজ্যরক্ষা-সাধন-বস্তু-সমুদায় যথাযথ অবগত হইয়া থাক ? হে রিপুসুদন ! নিষ্কাশিত বৈরিগণ পুনরায় আগমন করিলে, তাহাদিগকে দুর্বলবোধে অবজ্ঞা কর না ত ? ভ্রাতঃ ! চার্লাক-মতাবলম্বী ব্রাহ্মণগণের কোন কণগুজ্ঞান নাই। তাহারা আপনাদিগকে পণ্ডিত বলিয়া বৃথা অভিমান করে এবং কেবল লোকের অনর্থ উৎপাদনেই তাহাদের নিপুণতা। তুমি ত তাহদের আনুগত্য কর না ?” দেখ, দুর্বদ্ধি চাৰ্ব্বাকেরা উৎকৃষ্ট প্রমণ-বিশিষ্ট প্রচলিত ধৰ্ম্মশাস্ত্র সকলে বৃথা তর্ক-বুদ্ধি গাশ্রয় করিয়া, নিপ্রয়োজন কথা সকল বলিয়া থাকে।* ° ভ্রাতঃ ! বীরাগ্রগণ্য ! আমাদের পূর্বপুরষগণের অধিবাসভূমি, যাহার দ্বার সকল সুদৃঢ়, হস্তী, অশ্ব ও রথসমূহে সঙ্কুল, সহস্ৰ সহস্ৰ স্বকৰ্ম্মনিরত উৎসাহ-সম্পন্ন জিতেন্দ্রিয় পুরুষগণ—ব্রাহ্মণ SSS STS SLLLSSLS LSLS LSLLLSL LSL LSL LSLCS mm m m m ৭। ১ মন্ত্রী, ২ পুরোহি ত, ১ যুবরাজ, ৪ সেনাপতি, ৫ দেীবারিক, ও অন্তঃপুররক্ষী, ৭ কারাধ্যক্ষ, ৮ ধনাধ্যক্ষ, ১ রাজাঞ্জাবাহক, ১০ প্রাড় বিবাক, ১১ ধৰ্ম্মাসনাধিকারী, ১২ ব্যবহার-নির্ণেতা, ১৩ সেনাধ্যক্ষ, ১৪ কৰ্ম্মান্তে বেতনগ্রাহী, ১৫ নগরাধ্যক্ষ, ১৬ রাষ্ট্রাভপাল, ১৭ দুষ্টগণের দণ্ডাধিকারী দুর্গাপালসমূহ। ৮ । মন্ত্রী, পুরোহিত ও যুবরাজ এই তিন জন ভিন্ন। ৯ । এই চাৰ্ব্বাক একমাত্র প্রতাক্ষকেই প্রমাণ বলে, অথবা শুক তার্কিককেও লোকায়তিক বলে, মূলে লোকাযতিক শব্দ আছে, গোবিন্দরাজ লেকপদে প্রত্যক্ষ, আয়ত পদে অনুমান এই অর্থ গ্রহণ করিয়া বৌদ্ধকেও গ্রহণ করিয়াছেন, ইহাদের মত গ্রহণ না করার যুক্তি এই ইহার প্রকৃত পণ্ডিত ন হইলেও নিজে পণ্ডিত লিয়া মনে করেন, লোক সকলকে পরলোক নাই—ধৰ্ম্মানুষ্ঠানে কি হইবে ইত্যাদি উপদেশ দিয়া কাৰ্য হইতে বিরত করিয়া মহা অনর্থ সৃষ্টি কয়িয়া থাকেন ইত্যাদি । ১০ । দ্বিতীয় লোকাল্পতিকদিগের কথা বলা হইতেছে, কুতর্ক আশ্রয় করিয়া যাহার। পরকাল বেদ প্রভৃতির খণ্ডন করেন, তাহারাই এখানে অভিহিত হইয়াছেন, ইহাদিগকে হৈতুকও বলে, জাৰীক্ষিকী শৰে তর্কবিদ্যা বুঝায়, অথচ এই তর্ক-সাহায্যেই ধৰ্ম্মোপদেশ গ্রহণ করিতে মন্ত্র বলিয়াছেন, সেই তর্ক, বেদাবিরোধী—সৰ্ব্বজনগ্রাহ, যথা,—
- জাৰ্ষং ধৰ্ম্মোপদেশশ্চ বেদশাস্ত্রাবিরোধিনী । যত্তর্কের্ণাঙ্গুসন্ধত্তে স ধৰ্ম্মং বেদ নেতর: ॥*
ミA> ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যগণ কর্তৃক সর্বদা পরিপূর্ণ রহিয়াছে, বিবিধ আকারের প্রাসাদ ও বিবিধ-বিদ্যা-বিশারদ লোক সকলে যাহা পরিব্যাপ্ত, সেই সমুদ্ধিশালিনী সার্থকনামধারা অযোধ্য। নগরীকে ত উত্তমরূপে রক্ষ। করিয়া থাক ? ৩১-৪২ হে রাঘব ! যেখানে শত শত চৈত্য শোভা পাইতেছে ও লোক সকল মুখস্বচ্ছন্দে বাস করিতেছে, বহুসংখ্য দেবস্থান, প্রপা ও তড়াগসমূহে যাহার, শোভার সীমা নাই, যেখানকার স্ত্রী-পুরুষমাত্রেই অতিশয় হর্মাবিন্ট, সমাজ ও উৎসব-পরম্পরায় যাহা সুশোভিত, যাহার প্রান্তপ্রদেশ উত্তমরূপে কৰ্ষিত, যেখানে হিংসার নামগন্ধ নাই, যে স্থান গো মহিষ প্রভৃতি পশু-সংযুক্ত, যে স্থান হিংস্ৰজন্তুবিহীন ও সমস্ত ভয়-বিরহিত, যে স্থান তবে-মাতৃক ; যেখানে স্বর্ণরত্নাদির তাকর সমস্ত শোভা পাইতেছে ; ” যে স্থান পাপাত্মা-নরবজ্জিত, যে স্থান মর্দায় পূর্বপুরুষগণ কর্তৃক সুরক্ষিত ছিল, হে রঘুনন্দন ! সেই সুসমৃদ্ধ রম্যজনপদ ত সুখে আছে ? ভ্রাতঃ ! যাহারা কৃষি ও পশুপালন দ্বারা জীবন-যাত্রা নিৰ্বাহ করে, সেই সকলকে ত তুমি সবিশেষ প্রতি করিয়া থাক ? এই লোক সকল ত বাণিজ্য প্রভৃতি কাৰ্য্যে নিযুক্ত থাকিয়া সমৃদ্ধি-সম্পন্ন হইতেছে ? তুমি ত তাহাদের অভীষ্টসাধন ও অনিন্ট-পরিহার দ্বারা সকলই পোষণ করিয়া mm mis ma mis m-m- - - -- mo- ജ്ജ =്. ১১ । অশ্বমেধান্ত যজ্ঞ সকলের মধ্যে .য ,কান যজ্ঞ যে স্থানে সম্পন্ন হয়, সেই স্থানবে ই চৈতা বলে. প্রপাশব্দে পানীয়শাল,—জলসত্ৰ । ১২ । অদেবমাতৃক—দেশ দুই প্রকার ;–দেবমাতৃক ও নদীমাতৃক, বৃষ্টির জলে যে দেশে শস্ত হয়, উহা দেবমাতৃক, এবং যে দেশে নদীর জলে *छ इग्न, उंश नौनाङ्क। श्लाघूर्व ३शंद्र जगन ७ट्रेझ* कब्रिब्रांप्इन, নদ্যয়ুজীবনে দেশে নদীমাতৃক উচ্যতে। বৃষ্টিনিম্পাদ্যশস্তস্তু বিজ্ঞেয়ো দেবমাতৃক: ॥” এই হইতে আরম্ভ করিয়া অযোধ্য বিষয়ে যতগুলি প্রশ্ন করা হইয়াছে, মূলে ঐ সকল স্থলে প্রশ্নৰেiধক কচ্চিৎ শব্দ নাই, এই সম্বন্ধে গোবিন্দরাজ দুইটি শ্লোক লিগিয়াছেন, যথা— “আত্মস্তয়ো: প্ৰযুক্তোহয়ং কুতো নাম্বেতি মধাতঃ । প্রষ্টব্যতায়াং তুলায়াং কুতোহজিরতী ক্ৰমঃ। আদরতিশয়োহনেন শ্রীমৎ কোশলগোচর । গম্যতে রঘুনাখস্ত মুক্তিৰ্যেন পিপীলিক মূ।”
