পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

O অযোধ্যাকাণ্ড G :ፃፃ করিলেন । অনন্তর তাহার কর্দমশূন্ত সুপ্রশস্ত ঘটে অবতরণ করিয়া, “হে তাত ! এই সলিল তোমার হউক” এই বলিয়া পিতৃদেবের উদ্দেশে জলদান করিতে প্রবৃত্ত হইলেন।° মহীপতি রাম তৎকালে জলপূরিত অঞ্জলি গ্রহণ-পূর্বক দক্ষিণাভিমুখে দণ্ডায়মান হইয়া, রোদন করিতে করিতে কহিলেন,—হে রাজশাৰ্দ্দল ! আপনি পিতৃলোকে গমন করিয়াছেন ; অতএব এক্ষণে আপনার উদ্দেশে মদত্ত এই সুনিৰ্ম্মল জল অক্ষয় হইয়া পিতৃলোকে উপস্থিত হউক। অনন্তর তেজস্বী রাম ভ্রাতৃগণের সহিত মন্দাকিনীতার হইতে উত্তীর্ণ হইয়া, পিতৃদেবের উদ্দেশে পিণ্ডদান করিলেন ।“ রাম দর্ভের আস্তরণোপরি বদরীফলমিশ্রিত তিলকস্কযুক্ত ইঙ্গুদী-পিণ্ড অপর্ণ করিয়া, অত্যন্ত দুঃখিত হইয়া রোদন করিতে করিতে কহিলেন,— মহারাজ ! আমাদের যাহা ভোজ্য, তাহাই আপনি ভোজন করুন। মনুষ্য যাহা স্বয়ং আহার করিয়া থাকে, তাহার পিতৃদেবতারাও তাহাই আহার করেন । ১৮-৩০ অনন্তর নরশ্রেষ্ঠ রাম যে পথে নদীতে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন, সেই পথেই তটিনীতট হইতে উত্তীর্ণ হইয়া, রম্য সামুসম্পন্ন চিত্ৰকূটে আরোহণ করিলেন। পরে তিনি পর্ণকুটারদ্বারে আগমন করিয়া ভরত ও লক্ষণকে করযুগলে ধারণ করিলেন। তখন সীতার সহিত রোদনপরায়ণ ভ্রাতৃগণের রোদনশব্দের ৪ । কেহ কেহ বলেন, এই আচার দর্শনে বুঝা যায়, নাম গোত্র না বলিয়। এইরূপ তৰ্পণ করিলেও পিতৃলোকের তৃপ্তি হয় এবং সেই জন্তই এই প্রদেশে এতাদৃশ তর্পণের ব্যবহার অদ্যপি বিদ্যমান ब्रहिब्रांtथ् । ৫। উত্তরপশ্চিমাঞ্চল প্রদেশে যে কোন সময়ে পিতার স্বভূসংবাদ শ্রবণে শ্রবণাবধি দশাহ অশৌচ মানিত হইয়া থাকে, তবে রাম পিতৃমরণশ্রবণদিনেই পিণ্ডদান কিরূপে করিলেন ? উত্তর—ঐ স্থতি ক্ষত্রিয়তরপর, আখৰ কলিবিষয়ক বুঝতে হইবে। আর একটি প্রশ্ন এই যে, ভরত দশরথের শ্রাদ্ধ করিলেও রাম কেন পিণ্ডদান করিলেন ? ईशब्र ७डब्र ब्राउँ उठेकार्षी ब्रपूनचन वजन, क्लबध वृष्ट्राब्र भूर्वि cष কৈকেয়ীকে পরিত্যাগ করেন ও ভরত রাজা লাভে সন্তুষ্ট হইলে তাহার দত্ত পিওদি গ্রহণ করিৰেন না বলিয়াছিলেন, সেই জন্ত রাম পিণ্ডদান করেন । প্রতিধ্বনি সিংহের গর্জনধ্বনির ন্যায় সেই চিত্রকূট পৰ্ব্বতে প্রান্তৰ্ভুত হইয়াছিল। এইরূপে মহাবল ভ্রাতৃগণ পিতার উকেক্রিয়াসময়ে রোদন করিতে থাকিলে, ভরতের সৈনিকগণ সেই রোদনজাত তুমুল শব্দ শুনিয়া, ভীত হইয়া উঠিল এবং পরস্পর বলিতে লাগিল,—ভরত রামের সহিত নিশ্চয়ই মিলিত হইয়াছেন। তাহাতে সকলে মৃত পিতার জন্য শোক প্রকাশ করিতেছেন, তাহাতেই এই প্রকার তুমুল শব্দ উথিত হইতেছে। অনন্তর সৈনিকগণ স্ব স্ব বাহন ত্যাগ করিয়া,যে দিকে শব্দ হইঠেছিল, সেই দিক লক্ষ্য করিয়া, একমনে ত্বরিতপদে নিদিষ্ট স্থানে গমন করিতে আরম্ভ করিল। কেহ অশ্বে, কেহ গজে, কেহ সুশোভিত রথে এবং সুকুমার ব্যক্তিগণ পদব্রজেই গমন করিল। রাম যদিও অল্পদিন দেশ হইতে বিবাসিত হইয়াছেন, কিন্তু সকলেই তাহাকে চিরকালের নির্বাসিত ভাবিয়া, দেখিবার আশয়ে সহসা আশ্রমে গমন করিল। ভ্রাতৃগণের সমাগম দর্শনে অভিলাষী হইয় তাহারা বিবিধ যানে সেই স্থানে গমন করিয়াছিল। সেই ভূমিভাগ সেই সকল যান ও রথচক্রে সম্যকরূপে অভিহত হইয়া, মেঘসমাগমে আকাশমণ্ডলের স্যায় তুমুল শব্দ করিয়াছিল। ৩১-৪০ বৃহৎ হস্তী সকল সেই শব্দে অতিমাত্র ত্রস্ত হইয়া, মদগন্ধে দিয়গুল সুবাসিত করিয়া, বনান্তরে গমন করিল। বরাহ, মৃগ, সিংহ, মহিষ, স্বমর (মুগবিশেষ ), ব্যাঘ, গোকৰ্ণ ( মৃগবিশেষ ), গবয় এবং চিত্র-হরিণ সকলও অতিশয় ভীত হইয়া উঠিল। চক্ৰবাক, হংস, জলকুকুট, প্লব ( বকবিশেষ ), কারগুব, প্ল-স্কোকিল ও ক্ৰৌঞ্চগণ সংজ্ঞাণুস্ত হইয় দশদিকে পলায়ন করিল। তৎকালে সেই শব্দভীত পক্ষিগণ কর্তৃক গগনমণ্ডল এবং মনুষ্যগণ কর্তৃক সমাকুল হওয়াতে পৃথিবীরও অতিশয় শোভা সমুদ্ভূত হইল। অনন্তর লোক সকল তথায় গমন করিয়া, সহসা দেখিতে পাইল, যশস্বী ও নিষ্পাপ পুরুষশ্রেষ্ঠ