পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যাকাণ্ড ও নিতান্ত ব্যাকুল হইয়া, অশ্রমোচন করিতে লাগিলেন। সত্যপ্রতিজ্ঞ পুরুষশ্রেষ্ঠ রাম তৎক্ষণাৎ গাত্ৰোখান করিয়া, মাতৃগণের সকলেরই চরণ-কমল গ্রহণ করিলেন। আয়তলোচনা মহিষীগণ সুকোমল অঙ্গুলিতল-সমলস্কৃত, পরমসুন্দর ও মুখস্পর্শ পাণি দ্বারা রামের পৃষ্ঠদেশের ধূলি উত্তমরূপে মার্জন করিতে লাগিলেন। তখন লক্ষণও মাতৃদিগের সকলকে নিরীক্ষণ করিয়া, দুঃখিত হইয়া, রামের পর ধীরে ধীরে আসক্তমনা হইয়া, তাহাদিগকে অভিবাদন করিলেন। মহিষীগণ, রামের প্রতি যেমন, শুভলক্ষণ দশরথাত্মজ লক্ষণের প্রতিও তেমন ব্যবহার করিলেন। সীতা ও দুঃখিতঙ্গদয়ে অশ্রুপূর্ণলোচনে শ্বশ্ৰীগণের চরণ বন্দনা করিয়া, অগ্ৰে দণ্ডায়মান হইলেন । দুঃখিত কৌশল্যা মাতা যেমন কন্যাকে, তেমনি বনবাস-কুশা দীনভাবাপন্না জনকদুহিতাকে আলিঙ্গন করিয়া বলিতে লাগিলেন।১০-২৩ যিনি জনকের কন্য, দশরথের পুত্রবধু এবং রামের পত্নী, তিনি কিরূপে বিজন বনে দুঃখপ্রাপ্ত হইলেন ? আহা জানকি! তাতপ-সন্তপ্ত পদ্মের স্যায়, ধূলিগ্রস্ত সুবর্ণের ন্যায় এবং মেঘাচ্ছন্ন চন্দ্রের ন্যায় তোমার মুখ মলিন দেখিয়া, অগ্নি যেমন কাষ্ঠ দহন করে, সেইরূপ শোকাগ্নি আমার হৃদয়কে দগ্ধ করিতেছে । জননী শোকাকুলা হইয়া এই প্রকার বলিতে লাগিলে, ভরতাগ্রজ রাম বশিষ্ঠের পাদসমীপে গমন করিয়া পাদগ্রহণ-পূর্বক তঁহাকে বন্দনা করিলেন। ইন্দ্র যেমন বৃহস্পতির, রামও তেমনি অগ্নি-সদৃশ অমিততেজ পুরোহিত বশিষ্ঠদেবের চরণ বন্দনা করিয়া, তাহারই সহিত উপবেশন করিলেন। তখন ধাৰ্ম্মিক ভরত স্বীয় মন্ত্রিগণ, প্রধান প্রধান পুরজনগণ, সৈনিকগণ ও অন্যান্য ধৰ্ম্মজ্ঞ লোকের সহিত মিলিত হইয়া, পশ্চাদভাগে রামের সমীপে উপবিষ্ট হইলেন। এইরূপে মহাবীর ভরত, দেবরাজ যেমন ব্রহ্মার নিকটে উপবেশন করেন, সেইরূপ সমীপে উপবিষ্ট হইয়া, ՀԳ> কৃতাঞ্জলিপুটে সংহতমানসে মুনিবেশী রামের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া রহিলেন । তদর্শনে তিনি অদ্য রামকে প্রণাম ও সংকার-পূর্বক কিরূপ যুক্তিযুক্ত কথা বলেন, তাহা শুনিবার জন্য পূজনীয় ব্যক্তিগণ নিতান্ত কৌতুহলাক্রান্ত হইলেন। তৎকালে সত্যস্তৃতি রাম, মহানুভব লক্ষণ ও ধাৰ্ম্মিক ভরত, ইহার। সুহৃদগণে পরিবৃত হইয়া, সদস্তবেষ্ঠিত তিনটি যজ্ঞাগ্নির স্যায় পরম শোভা ধারণ করিলেন। ২৪-৩২ পঞ্চাধিকশততম সর্গ অনন্তর সেই পুরুষসিংহগণ বন্ধুগণে পরিবৃত হইয়া, শোক করিতে করিতে দুঃখেই রাত্রি অতিবাহিত করিলেন। প্রভাত হইলে পর ভ্রাতৃগণ সুহৃদগণে বেষ্ঠিত হইয়া, মন্দাকিনীতে জপ-হোম সমাপন-পূর্বক রামের সমীপে উপস্থিত হইলেন, এবং সকলেই মৌনাবলম্বন করিয়া নিকটে বসিয়া রহিলেন, কেহই কোন কথা বলিলেন না । অনন্তর ভরত সেই সুবৃহৎ সভামধ্যে রামকে কহিতে লাগিলেন,—রাজা দশরথ প্রথমে আমার জননী কৈকেয়ীকে রাজ্য দান-পূর্বক সান্থনা করেন ; পরে জননী আমাকে ঐ রাজ্য প্রদান করেন। আমি এক্ষণে আপনাকেই উহ সম্প্রদান করিতেছি ; অতএব আপনি নিষ্কণ্টকে রাজ্য ভোগ করুন। বর্ষাকালে জলবেগে সেতু ভগ্ন হইলে তাহা রোধ করা যেমন সম্ভব হয় না, সেইরূপ আপনি বাতীত এই বিশাল কোশলরাজ্য অন্য কেহ রক্ষা করিতে সমর্থ হইবে না। হে মহীপতে । গর্দভ যেমন অশ্বের এবং ইতর পক্ষী যেমন গরুড়ের অনুকরণ ১ । ভরতের এই কথা বলিবার তাৎপর্ষ্য এই—“পিত তোমাকে রাজ্য দিয়াছেন, আমি উহা গ্রহণ করিব ন৷” এই কথা যদি রাম বলেন, এই মনে করিয়া পুত্র, ভার্ষা ও দাস ইহাদের কোন নিজৰ ধন ৰাষ্ট, श्शब्रा यांश जाछ कta, ओर गिउl, गठि ७ यडूब श, १छ् বলিয়াছেন— ভার্ষ্য পুত্রশ দাসশ্চ ত্রয় এবাধনঃ স্থতাঃ। যত্তে সমধিগচ্ছন্তি যস্তৈতে তপ্ত তদ্ধনম্। এই শাস্ত্ৰ মনে করিয়া ভরত বলিয়াছেন।