পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԵ օ করিতে পারে না, সেইরূপ ভবদায় রাজ্য-শাসন-শক্তির অনুকরণ করা আমার সাধ্যায়ত্ত নহে। যে ব্যক্তি নিত্যই পরভাগ্যোপজীবী, তাহার জীবন যেমন ক্লেশময়, লোকে যাহাকে আশ্রয় করিয়া জীবিকা নির্বাহ করে, তাহার জীবনও সেইরূপ অতি সুখময় ; অতএব আপনারই রাজ্যশাসন শোভা পায়। যেমন কোন ব্যক্তি বৃক্ষ রোপণ করিলে, তাহ যখন বামন ব্যক্তির দুরারোহ ও স্কন্ধবিশিষ্ট মহাবৃক্ষরূপে বদ্ধিত ও পুষ্পিত হইয়াও ফলপ্রসব করে না, তখন সেই বৃক্ষরোপী ব্যক্তি কোনমতেই প্রতি লাভ করিতে পারে না, কারণ, সে যেজন্য বৃক্ষ রোপণ করিয়াছিল, তাহার উহা সিদ্ধ হয় নাই । এই উপমা হে মহাবাছো ! আপনার সম্বন্ধে প্রযুক্ত হয় বলিয়া জানুন। আপনি সকলের শ্রেষ্ঠ ও পালন করিতে সমর্থ, আমরা আপনার ভূত্য ; কিন্তু আপনি আমাদিগকে পালন করিতেছেন না। অতএব মহারাজ । নানাজাতীয় প্রধান প্রধান ব্যক্তিগণ শত্ৰুহন্তা আপনাকে, প্রতাপশালী আদিত্যের স্যায় তেজঃপুঞ্জকলেবরে রাজ্যস্থিত অবলোকন করুন। হে কাকুৎস্থ ! মত্ত হস্তী সকল সগৰ্ব্বে গর্জন-পূর্বক আপনার অনুগামী হউক, অন্তঃপুরচারিণী রমণীগণ একাগ্রচিত্তে মঙ্গলধ্বনি করুন : ভরত রামকে প্রসন্ন করিবার মানসে এই প্রকার বাক্যবিশ্বাস করিলে, পুরবাসী প্রধান অপ্রধান সকলেই যুক্তি-সঙ্গত বলিয়া তাহাতে অনুমোদন করিল। ১-১৩ তখন মাজ্জিতবুদ্ধি ধৈর্য্যশালী রাম, ভরতকে দুঃখিতচিত্তে বিলাপ করিতে দেখিয়া, আশ্বাস-প্রদানপূর্বক কহিলেন,জীব স্বভাবতই পরাধীন,স্বেচ্ছাপ্রবৃত্ত হইয়া কাৰ্য্য করিবার তাহার কোন শক্তি নাই। সৰ্ব্বগ্রাসী কাল তাহাকে ইহলোক পরলোক উভয়ত্রই স্বীয় বশে চালনা করিয়া থাকে। অতএব কৈকেয়ী ২ । সুতরাং জামার বনবাসে রাজা বা কৈকেয়ী কেহই কারণ নছেন। একমাত্র দৈৰই ইহার কারণ, ইহা রামের বলিবার অভিপ্রায় । जच्छ्रशं८क७ 3+ ७३म* क६l u३ कांग्र७ब्र २२ण नtर्न ब्राब रुणिब्रांप्शन । বাল্মীকি-রামায়ণ বা রাজা কেহই আমার বনবাসের কারন নহেন ; কালবশেই উহা সম্পাদিত হইয়াছে। যেখানে সংযোগ, সেইখানেই বিয়োগ ; যেখানে জীবন, সেইখানেই মরণ ; যেখানে সংগ্রহ, সেইখানেই ক্ষয় এবং যেখানে উন্নতি, সেইখানেই পতন । ফল পক্ক হইলে তাহার যেমন পতন ভিন্ন আর অন্ত ভয় নাই, সেইরূপ জন্মিলে নিশ্চয়ই মরিতে হয়, কোনমতেই তাহার ব্যত্যয় ঘটে না। দৃঢ়স্তম্ভ গৃহও জীর্ণ হইলে পতিত হয়। মানুষমাত্রেই জরা ও মৃত্যুবশে অবসন্ন হইয়া থাকে। যে রাত্রি অতীত হয়, তাহা আর প্রত্যাবর্তন করে না । দেখ, যমুনা পূর্ণ-প্রবাহে সাগরে মিলিত হইতেছে, আর ফিরিতেছে না। গ্রীষ্মকালে সুৰ্য্যকিরণ যেমন জল-শোষণ করে, সেইরূপ দিন ও রাত্রি যথানিয়মে গতায়াত করিয়া, প্রাণিমাত্রেরই জীবনকাল হরণ করিতেছে, এ বিষয়ে কোনরূপ কালবিলম্ব নাই । লোক বসিয়াই থাকুক আর গমন করুক, তাহার আয়ুক্ষয় হইতেছে ; অতএব তুমি নিজের জন্যই শোক কর ; পরের জন্য শোক করিতেছ কেন ? মৃত্যু সঙ্গে গমন, সঙ্গে উপবেশন এবং সঙ্গে বহুদূরে গমন করিয়া প্রত্যাবৰ্ত্তন করে ; মৃতরাং মৃত্যুর হস্ত হইতে পরিত্রাণ পাওয়া কাহারও সাধ্য নহে । গাত্র লোল ও কেশ সকল শুক্ল হইলে, পুরুষ যখন জরায় জীর্ণ হইয়া পড়ে, তখন আর কি উপায়ে এই সকল পরিহার করিতে

  • iों८ब्र ? $8-२२

মুর্ঘ্য উদিত হইলে লোকের আর আহলাদের সীমা নাই ; আবার স্বৰ্য্য অস্ত গেলেন, আহলাদের সীমা নাই। কিন্তু আদিত্যের প্রতিদিনই যাতায়াতে আপনার আয়ুর যে ক্ষয় হইতেছে, তাহা জীব জানিতে পারে না । কোন ঋতু প্রাচুভূত হইলে, তাহাকে নবাগত বোধ করিয়া, লোকে আহলাদিত হইয়া থাকে ; কিন্তু সেই ঋতুপরিবর্তনে যে আয়ুর ক্ষয় হইতেছে, সে বিষয় তাহার জ্ঞান হয় না। মহাসাগরে যেমন পোতে পোতে মিলন হয়, পুনরায় কিছুকাল