পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२b*७ হইও না।“ ভরত ত তোমায় প্রসন্ন করিলেন ; এক্ষণে তুমি সাধু ও সর্বলোকসম্মত বুদ্ধি অনুসরণ করিয়া রাজ্য প্রতিগ্রহ কর । ১-১৮ ாறு নবোত্তরশততম সর্গ সত্য-পরাক্রম রাম জগবালির কথা শুনিয়া অবিচলিত বুদ্ধিতে বেদবাকারূপ সুবচনাবলম্বনে বলিতে লাগিলেন,—আপনি আমার প্রিয়কামনায় মাহ বলিলেন, তাহ বস্তুতঃ অকৰ্ত্তব হইলেও কৰ্ত্তব্যেব ন্যায় এবং পরিণামে দুঃখজনক হইলেও আপাতরমণীয় বলিয়া প্রভাত হইয়া থাকে। যাহা হউক, যে ব্যক্তি সৎপথ ত্যাগ করিয়া, কুপথে গমন ও পাপাচারপরায়ণ হয় এবং সাধু-সন্মত শাস্ত্র সকল ত্যাগ করিয়া সম্পূর্ণ-বিরুদ্ধ নাস্তিকাদি শাস্ত্রে আস্থা প্রদর্শন করে, সে কখন সজ্জন-সমাজে সমাদৃত হয় না। লোকে কুলীন বা অকুলীন, বার বা অবীর, শুচি বা অশুচি, ইহা বেদবিহিতাচারই নিশ্চয় করিয়া দিয়া থাকে, যিনি বৈদিকাচারসম্পন্ন, তিনিই কুলীন, বীর ও শুচি, তদ্বিপরীত ব্যক্তিই অকুলীন, আবীর ও অশুচি বলিয়া কথিত হয়। বলিতে কি, বৈদিক সদাচার অবলম্বন করিলে, অনার্ঘ্যও আর্য্যসদৃশ, অশুচিও শুচি, অলক্ষণও লক্ষণযুক্ত এবং দুশীলও শীলবান হয়। আমি যদি এই প্রকার ধৰ্ম্মবেশ ধারণ করিয়াও উল্লিখিত লোকসঙ্করকারী অধৰ্ম্ম-পথে বিচরণ করি এবং মঙ্গলময় পথ ত্যাগ করিয়া বেদোক্ত বিধানরহিত ক্রিয়' করি, তাহা হইলে আমাকে তজ্জন্য অশুভ প্রাপ্ত হইতে হইবে এবং কাৰ্য্যাকাৰ্য্য-বিচক্ষণ চেতনাবান পুরুষমাত্রেই আমাকে লোকদূষণ দুৰ্ব্বত্ত ৫ । এই মূলোক্ত শ্লোকগুলি চাৰ্ব্বাক-দর্শনের নিম্নোক্ত মত অবअचः:बई cळाथ। श्झांtइ, यथ- {{ "মৃত"rামপি জন্ত নাং শ্ৰাদ্ধং চেস্তৃপ্তিকারণম্। शष् stभिश् झटि.नां बार्श्वं श्रीनिनम् ॥“ “ততশ্চ জীবনপায়ো ব্ৰহ্মশৈধিস্থিতত্ত্বিহ । মুতানাং প্রেতকার্ধ্যাণি ন ত্বন্ত:ৰস্তুত কচিৎ।" _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ বাল্মীকি-রামায়ণ Q ভাবিয়া কোনমতেই সমাদর করিবে না । ফলতঃ আপনার উপদেশমতে কাৰ্য্য করিলে, আমার সত্যপালন-বিষয়িণী প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ হইবে, আপনার এই সদাচার-বিগর্হিত আচরণোপদেশ কাহার নিকট প্রচার করিব, অথবা আপনার কথিত উপদেশ মানিলে কোন মহাপুরুষের আদর্শ গ্রহণ করা হইবে ?” তখন আর কি করিয়া আমি স্বৰ্গলাভে সমর্থ হইব ? আমি আপনার উপদেশমতে যথেচ্ছাচারী হইলে, আমার দেখাদেখি এই সমস্ত লোকই কামাচারী হইবে ; কেন মা,রাজাদের যেরূপ ব্যবহার, প্রজারাও তদনুরূপ আচারবিশিষ্ট হইয়া থাকে। সত্যবাক্য ও সৰ্ব্বভূতে দয়াই সনাতন রাজধৰ্ম্ম ; সুতরাং রাজ্যও সত্যে প্রতিষ্ঠিত ; অধিক কি, সমুদায় লোকও একমাত্র সত্যেই প্রতিষ্ঠিত। ১-১০ পষিগণ ও দেবগণ একমাত্র সত্যেরই আদর করেন। সংসারে একমাত্র সত্যবাদীই অক্ষয় লোকে গমন করিয়া থাকেন। সর্প হইতে লোকে যেমন উদ্বিগ্ন হয়, মিথ্যাবাদী হইতেও লোকের সেইরূপ উদ্বেগ হয়। সত্যই একমাত্র অবলম্বন যাহার, সেই ধৰ্ম্মই সংসারে সকলের মূল বলিয়। উক্ত হয়। লোকে সত্যই ঈশ্বর, সত্যেই ধৰ্ম্ম প্রতিষ্ঠিত, সত্যই সকলের আদি এবং সত্য অপেক্ষ পরম পদ আর নাই। দান, যজ্ঞ, হোম ও তপস্যা প্রভূতি কৰ্ম্ম সকল যে বেদে বিহিত হইয়াছে, সেই বেদ সত্যে প্রতিষ্ঠিত ; অতএব লোকমাত্রেরই সত্যপালনে তৎপর হওয়া কৰ্ত্তব্য। মনুষ্য একাই রাজ্য পালন করে এবং একাই স্বকুল পোষণ করে, একাকী নরকে মগ্ন হয় ও একাকীই স্বর্গে পূজিত হইয়া থাকে। এইপ্রকার ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম অবগত হইয়। আমি কিরূপে সত্যপ্রতিজ্ঞ ও সদাচারনিষ্ঠ পিতার আজ্ঞা-পালনে পরায়ুখ হইতে পারি ? ১। পূৰ্ব্বে জাবালি বলিয়াছিলেন, ‘পরোক্ষং পৃষ্ঠতঃ কুরু- সেই মতে থাকিলে জাদর্শ পাওয়া যায় না ; অথচ শাস্ত্র বুলিয়াছেন, “যেনাস্ত পিতরে যাতা বেন যাতাঃ পিতামহাঃ ভেন যায়াৎ সভ্যতাং মার্গং তেন গচ্ছন্ন রিষ্যতে ॥”—মমুঃ ॥