পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

O অযোধ্যাকাও ভরত র্তাহাকে বলিলেন, আৰ্য্য ! তবে এক্ষণে এই স্বর্ণালঙ্কত পাদুকাযুগলে চরণাপণ করিয়া আমাকে প্রদান করুন। এই পাদুকাযুগলই আপনার প্রতিনিধিস্বরূপ সকল লোকের যোগক্ষেমবিধান করিবে ॥২ তখন নরবর রাম পাদুকামুণল পরিধান-পূর্বক পুনরায় তাহ মোচন করিয়া, মহানুভব ভরতকে প্রদান করিলেন। তিনি ভক্তি-সহকারে পাদুকাযুগলকে প্রণাম করিয়া রামকে কহিলেন, হে বীর রঘুনন্দন ! অতঃপর আমি চতুর্দশ বৎসর জটাবস্কলধারী হইয়া ফলমূল ভোজন করিয়া ভবদীয় আগমনপ্রতীক্ষায় নগরের বাহিরে বাস করিব এবং সমুদায় রাজকাৰ্য্য আপনার এই পাদুকাযুগলে অর্পণ করিব। হে রঘুশ্রেষ্ঠ ! যে দিন চতুর্দশ বৎসর সম্পূর্ণ হুইবে, সেই দিবস যদি আপনার দর্শন না পাই, তাহা হইলে হুতাশনে প্রবেশ করিব। ১৬-২৫ রাম ‘তাঁহাই হইবে বলিয়া প্রতিজ্ঞা করিয়া এবং শক্ৰন্ত্রের সহিত র্তাহাকে সাদরে আলিঙ্গন করিয়৷ এই কথা বলিলেন;–হে রঘুনন্দন ! তুমি জননী কৈকেয়ীকে রক্ষা করিবে ; কদাচ তাহার প্রতি রোষ প্রকাশ করিও না । এ বিষয়ে তোমাকে আমার ও সীতার দিব্য। এই বলিয়া অশ্রুপূর্ণ-লোচনে ভরতকে বিদায় দিলেন । তখন ধৰ্ম্মজ্ঞ ভরত সেই পরম উজ্জ্বল ও অলঙ্কত পাদুকাযুগল সাদরে পরিগ্রহকরিয়া, রামকে প্রদক্ষিণ করিলেন এবং যে হস্তী সর্ববদ রাজাকে বহন করিত, তাহার মস্তকে সেই পাদুকাদ্বয় স্থাপন করিলেন। অনন্তর হিমালয়ের স্যায় স্বধৰ্ম্মে প্রতিষ্ঠিত, রঘুবংশবৰ্দ্ধন রাম যথাক্রমে গুরু, মন্ত্রী ও ২। ভরতের এই প্রার্থনা বশিষ্ঠের নিয়োগের পর বুঝিতে হইবে, কারণ, ভরত প্রত্যাবৰ্ত্তনকালে ভরদ্বাজের নিকট সেই কথাই বলিয়াছেন, বশিষ্ঠ রামকে বলিয়াছিলেন—“এতে প্রযচ্ছ সংহৃষ্টঃ পাছুকে হেমভূষিতে” সেই বশিষ্ঠোক্তি ভরদ্বাজকে ভরত পরে বলিবেন। ৩ । ভরতের নিকট পাদুকা অৰ্পণ করার প্রতিনিধি দ্বারা রাজ্যরক্ষা নিয়োগ করা হইল, ঐ পাছুক। দর্শন ভরতের সর্বজ্ঞতার কুরণ হইত, ভরত পাঞ্চজন্তাৰতার বলিয়া তাহার সর্বজ্ঞতা আছিাদিত ছিল, পরস্তু ভগবৎস্পর্শে অচেতনেও ঐ শক্তিস্ফূরণ হয়, ইহাই ভগবাহাত্ম্য। Rఫిలి প্রজাবৰ্গ-সমবেত অন্যান্ত লোক সমস্ত এবং অনুজ ভরত ও শত্রুঘ্ন সকলকেই যথাযোগ্য সম্বৰ্দ্ধনা করিয়া বিদায় প্রদান করিলেন। বাষ্পভারে কণ্ঠদেশ রুদ্ধ ও অতিমাত্র শোকাভিভূত হওয়াতে মাতৃগণ কেহই তাহাকে আমন্ত্রণ করিতে সমর্থ হইলেন না। রাম সকলকেই অভিবাদন করিয়া, রোদন করিতে করিতে স্বীয় কুটীরে প্রবেশ করিলেন । ২৬-৩১ ত্রয়োদশাধিকশততম সর্গ অনন্তর ভরত পাদুকাদ্বয় মস্তকে ধারণ করিয়া হৃষ্টমনে শত্রত্বের সহিত রথে আরোহণ করিলেন। বশিষ্ঠ, বামদেব, দৃঢ়ব্ৰত জাবালি এবং মন্ত্রনিপুণ সবিশেষ সম্মানাস্পদ অন্যান্য সমুদায় মন্ত্রিগণ অগ্রেই প্রস্থান করিলেন। সকলে মহাগিরি চিত্রকূট পৰ্বত প্রদক্ষিণ করিতে করিতে পূর্ববমুখে রমণীয় মন্দাকিনী নদীর অভিমুখে প্রয়াণ করিলেন । ভরত বিবিধ মনোহর ধাতুসহস্ৰ দেখিতে দেখিতে চিত্ৰকূটের উত্তরপ্রান্ত দিয়া সসৈন্তে যাইতে লাগিলেন। তৎকালে পৰ্ব্বতের অদূরে মহর্ষি ভরদ্বাজ যেখানে মুনিগণের সহিত বাস করিয়া আছেন, সেই আশ্রম তাহার দর্শনগোচর হইল।” বুদ্ধিমান ভরত ভরদ্বাজা শ্রমে আগমনপূর্বক রথ হইতে অবতরণ করিয়া মহৰ্ষির পদযুগল গ্রহণ করিলেন। অনন্তর ভরদ্বাজ হৃষ্ট হইয়া ভরতকে কহিলেন, তাত 1 রামের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া তুমি কৃতকৃত্য হইয়াছ ? ধীমান ভরদ্বাজ এই প্রকার কহিলে, ধৰ্ম্মবৎসল ভরত প্রত্যুত্তর করিলেন, —আমি এবং স্বয়ং গুরুদেব বশিষ্ঠ বারংবার প্রার্থনা করিলে, দৃঢ়বিক্রম রাম প্রীত হইয়া বশিষ্ঠ মহাশয়কে ১। যমুনার দক্ষিণতীরে ভরত ও রামের সংবাদ অবগত হইবার জন্ত ভরদ্বাজ কোন একটি আশ্রম করিয়া কিছুদিন বাস করিয়াছিলেন, लियाञ१ cमननिन मरवांम यांनिग्न निङ, ¢ई खछझे छब्रचांछांथञ श्ब्र পরে যমুনাপার হওয়ার কৰ। আছে ।