পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২98 কহিলেন, পিতা যে আমায় চতুর্দশ বৎসর বনে বাস করিতে আজ্ঞা দিয়াছেন, আমি যথাধৰ্ম্ম সেই আজ্ঞাই পালন করিব । বাগবিন্যাসে মহাপ্রাজ্ঞ বশিষ্ঠদেব র্তাহার এই কথায় সেই বাক্য-প্রয়োগ-কুশল রঘুনন্দনকে প্রশস্ত বাক্যে প্রত্যুত্তর করিলেন,—হে মহাপ্রাজ্ঞ । তবে এক্ষণে তুমি হৃষ্টচিত্তে প্রতিনিধিস্বরূপে স্বর্ণালঙ্কত পাদুকাদ্বয় প্রদান কর এবং অযোধ্যার যোগ-ক্ষেম-বিধানে কৃতচিত্ত হও । রঘুনন্দন রাম বশিষ্ঠ মহাশয়ের এই কথা শুনিয়া, পূর্বাভিমুখ হইয়া আমার রাজ্যরক্ষণ-শক্তির অনুকূল হেমবিভূষিত পাদুকাযুগল দান করিলেন। আমিসেই মহাত্মা রামের আজ্ঞাক্ৰমে ক্ষান্ত হইয়া শুভ পাদুকাযুগল গ্রহণ করিয়া অযোধ্যাতেই গমন করিতেছি । ১-১৪ মহাত্মা ভরতের এই শুভ বাক্য শ্রবণ করিয়া মহর্ষি ভরদ্বাজ তাহাকে শুভতর বাক্যে কহিলেন,— হে নরশ্রেষ্ঠ ! পরিত্যক্ত জল যেমন নিম্ন তড়াগাদি স্থানেই থাকে,সেইরূপ অতিপবিত্রচরিত্র তোমাতেও যে এই আর্ন্যভাব থাকিবে, ইহাতে কোনই আশ্চৰ্য্য নাই । তুমি যাহার ঈদৃশ ধৰ্ম্মাত্মা ও ধৰ্ম্মবৎসল পুত্র, তদীয় পিতা সেই মহাবাহু দশরথ সর্বতোভাবেই পিতৃঋণে মুক্ত হইয়াছেন। মহাপ্রাজ্ঞ ভরদ্বাজ এই প্রকার কহিলে ভরত কৃতাঞ্জলি হইয়া তদীয় চরণযুগল গ্রহণপূর্বক তাহাকে আমন্ত্রণ করিলেন। অনন্তর ক্রমান ভরত র্তাহাকে পুনঃপুনঃখ প্রদক্ষিণ করিয়া মন্ত্রিগণের সহিত আযোধ্যাযাত্রা করিলেন। র্তাহার অনুগামী সেন।—যাহারা নিবৃত্ত হইয়াছিল, এক্ষণে ভরতকে প্রস্থান করিতে দেখিয়া তাহারা পুনরায় যান, শকট, অশ্ব ও গজে আরোহণ করিয়া তাহার অনুগামী হইল। অনন্তর সকলে তরঙ্গ-সমাকুল রমণীয় যমুনা ২ । একহস্তে প্রণাম ও একবার প্রদক্ষিণ করা শাস্ত্ৰে নিষিদ্ধ বলিয়াই পুনঃ পুনঃ শব্দ প্রয়োগ করা হইয়াছে, উহার সহিত পূৰ্ব্ব cन्नाटकांख् यथाप्भब्र७ अबग्न बूकिtउ इश्व ; रठब्रार उब्रड बॉब्रदांब्र नभाछांब्र ७द६ ॐणऋि* कब्रिग्नांझिालब, dहे जर्ष लांछ झईल । বাল্মীকি-রামায়ণ নদী উত্তীর্ণ হইয়া পুনরায় পবিত্র সলিলা ভাগীরথী সন্দর্শন করিলেন । ভরত সসৈন্তে ও সবান্ধবে রম্যসলিলপূর্ণ ভাগীরথী পার হইয়া, অতি রমণীয় শৃঙ্গবের পুরে প্রবেশ করিলেন। তথা হইতে বিনিগত হইয়া পুনর্নবার অযোধ্যা অবলোকন করিলেন । পিতা ও ভ্রাতা কর্তৃক বজ্জিত অযোধ্যা-নগরী দর্শন করিবামাত্র ভরত দুঃখ-সন্তপ্ত হইয়া সারথি সুমন্ত্রকে কছিলেন,— সারথে । অবলোকন কর, শো ভাহীনা, অলঙ্কারহীনা, নিরানন্দা, দীনা ও শব্দহীন হওয়াতে অযোধ্যা অার পূর্বেধর ন্যায় প্রকাশ পাইতেছে না। ১৫-২৪ கம் চতুর্দশাধিকশততম সর্গ এইরূপে মহাযশস্বী প্ৰভু ভরত স্নিগ্ধগম্ভীরধ্বনিযুক্ত রথারোহণে সম্বর অযোধ্যায় প্রবেশ করিলেন। দেখিলেন, চতুদিকেই বিড়াল ও পেচক সকল সঞ্চরণ করিতেছে এবং গৃহ-কবাট সমুদায় রুদ্ধ রহিয়াছে। রজনী যেমন ঘোর অন্ধকারে আবৃত হইয়া নিবিড় কালিমায় পূর্ণ হইলে প্রতিভাত হয় না, অযোধ্যারও সেইরূপ সমুদায় শোভা তিরোহিত হইয়াছে। অথবা শশধর অভূদিত রাহুগ্রহ দ্বার পীড়িত হইলে, চন্দ্রের প্রিয়পত্নী প্রজ্বলিত-প্রভাশালিনী দিব্যকাস্তিবিশিষ্ট রোহিণী যেমন অসহায়া হইয়া অবস্থিতি করে, অযোধ্যারও তাদৃশ অবস্থা ঘটিয়াছে। অথবা গ্রীষ্মকালে গিরিনদীর সলিল অতিপতাপে উষ্ণ ও কলুষিত হইলে, জলচর বিহঙ্গম-সকল গ্রীষ্মপ্রভাবে উত্তপ্ত হইলে এবং মীনকুল ও হিংস্র জলজন্তু-সকল বিলীন হইলে, শুষ্কপ্রায় গিরি-নদীর যেমন শোচনীয় অবস্থা হয়, অযোধ্যারও তদনুরূপ ঘটিয়াছে। অথবা যজ্ঞীয় স্কৃতের সংস্পর্শে প্রজ্বলিত অগ্নির শিখা যেমন প্রথমে ধুম-বিবর্জিত হইয়া স্বর্ণের স্থায় সমুজ্জ্বল প্রভা বিস্তার করত সমুখিত হয়, পরে জলসেকে সহস নির্বাণ হইয়া যায়, রামের বিরহে অযোধ্যারও সেইরূপ