পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যাকাও ૨જે છે র্তাহাকে পুত্ৰবৎ গ্রহণ করিলেন। স্বহস্তে আতিথ্যবিধান ও সমুচিত সৎকার-পূর্বক মহাভাগ লক্ষণ ও সীতাকে সম্যক সাস্তুন প্রদান ( বাক্য দ্বার! তুষ্ট ) করিলেন। সর্বভূতহিতে রত ধৰ্ম্মজ্ঞ অত্রি তথায় সমাগত স্বীয় বৃদ্ধ সহধৰ্ম্মিণী তাপসী মহাভাগ৷ অনসূয়াকে সম্বোধন-পূর্বক প্রতিভরে সীতার সহিত সাক্ষাৎ করাইয়া দিয়া কহিলেন,—তুমি এই জনকনন্দিনীকে বিহিতবিধানে অভ্যর্থনা দ্বারা সৎকৃত কর। পরে তিনি রামের নিকটে সেই ধৰ্ম্মচারিণী অনসুয়ার পরিচয় দিয়া বলিলেন, দশবর্ন অনাবৃষ্টিতে লোক সকল নিরন্তর দগ্ধ হইলে এই দৃঢ়ব্ৰত-নিয়ম-নিষ্ঠা-সম্পন্ন অনস্বয়া স্বীয় কঠোর তপস্তা-বলে পুনরায় ফলমূল স্বষ্টি ও ভাগীরথীর উদ্ভব-সাধন করিয়াছিলেন । তাত । ইনি ব্রতানুষ্ঠান সহকারে যে দশ-সহস্ৰ-বৰ্ণব্যাপী গুরুতর তপস্যা করেন, তৎপ্রভাবে ঋষিগণের সমুদায় তপোবিল্প একবারেই নিবৃত্ত হইয়াছে । হে অনঘ! আবার, এই অনসূয়া দেবগণের কার্য্য-সাধনার্থ সবিশেষ ত্বরান্বিত হইয়া, দশরাত্রিকে একরাত্রি করিয়াছিলেন ; এই সকল কারণে ইনি মাতৃবং পূজনীয়। বৈদেহী এক্ষণে অক্রোধন, সর্লভূতের নমস্কারার্থ এই বৃন্ধা তপস্বিনীর নিকট গমন করুন। ভগবান অত্রি এই প্রকার কহিলে, রঘুনন্দন রাম যে আজ্ঞা বলিয়া ২। এই ঘটনা মার্কণ্ডেয়-পুরাণের ১৬ শাধাযে সবিস্তারে বর্ণিত হইয়াছে, যথা—“প্রতিষ্ঠান” পুরে ( প্রয়াগে ) কোন কৌশিকগোত্রীয় ভ্ৰাক্ষণ পূৰ্ব্বজন্মকৃত পাপে কুণ্ঠরোগগ্রস্ত হয়েন। উহার পত্নী অত্যন্ত পতিব্ৰতা এবং স্বামীর সেৰায় নিযুক্ত ছিলেন। এক দিন পত্নীকে বলিলেন, আমি যে বেঙ্গাকে দেখিয়ছিলাম, তাহার নিকট আমাকে লইয়াচল। স্বামীর বাক্যে র্তাহাকে স্বন্ধে করিয়া বেঙ্গাবাড়ী যাইবার পথে পূলে বিদ্ধ মাওবা ঋষি অবস্থান করিতেছিলেন, ঐ পূলে ব্রাহ্মণ পদ দ্বারা জাম্বীত করায় মাওবা ক্লিষ্ট হইয়া ব্ৰাহ্মণকে অভিসম্পতি দেন যে, আমার এই অবস্থায় পুলটি নাড়িয়া যে কষ্ট দিল, সে সূৰ্যাদয়ের সঙ্গে দেহত্যাগ করিবে। ঐ বাক্য শ্রবণে পতিব্ৰত ব্ৰাহ্মণপত্নী বলিলেন, স্বৰ্ষা আর উদিভ হইবেন না। তখনছষ্টতে দশদিন জার স্বৰা উঠিলেন না, দেবগণ ক্রিয়ালোপে অধীর হইয়া ব্ৰহ্মাকে সকল বৃত্তাপ্ত জানাইলেন, পরে ব্ৰহ্মার উপদেশে जजि*ङ्गौ जनएप्लांग्न भब्रशंांनघ्र हtब्रन, जनट्रब्रां पूर्वष्क शूर्विभऊ छैठ८ठ বলিয়া ফুৰ্বোদয়ে মৃত কৌশিক ব্ৰাহ্মণকে রোগমুক্ত—পুনর্জীবিত করেন। এইরূপে ব্ৰাহ্মণপত্নীর বৈধব্য নাশ, দেবগণের কার্ধ্যোদ্ধার, ব্ৰাহ্মণৰাক্য রক্ষা সফলই হইয়াছে। ধৰ্ম্মজ্ঞা সীতার প্রতি কহিলেন;–১-১৪ রাজপুত্র ! মহর্ষি যাহা বলিলেন, সমুদায় সবিশেষ শ্রবণ করিলে। এক্ষণে নিজের কল্যাণের নিমিত্ত অবিলম্বে এই তপস্বিনী অনসুয়ার অনুগামিনী হও । ইনি পরম তপঃশালিনী ও সকললোকেরই আদরণীয়া, এবং স্বকীয় কৰ্ম্মপ্রভাবে লোকমধ্যে অনসুয়া নামে বিখ্যাত হইয়াছেন ; তুমি শীঘ্রই ইহার শরণাপন্ন হও । যশস্বিনী জনকনন্দিনী স্বামীর এই কথা শ্রবণ-পূর্বক সেই ধৰ্ম্মজ্ঞা অত্ৰি-পত্নীর শরণার্থনী হইলেন। জরাপ্রযুক্ত র্তাহার সর্বশরীর শিথিলিত ও বলিত, কেশ সকল পাণ্ডুবৰ্ণ এবং বায়ুবেগ-বিকম্পিত কদলীর স্যায় র্তাহার দেহ সৰ্ব্বদাই কম্পমান। সীতা সেই মহাভাগ৷ পতিরঙ্গ অনসূয়াকে অভিবাদন করিলেন এবং নিজ নাম প্রকাশ-পূর্বক পরিচয় দিলেন। জানকী সেই দমগুণান্বিত, পতিব্ৰতা, মহাভাগ অনসুয়াকে প্রণামপূর্বক চরণ বন্দনা করিলেন এবং বদ্ধাঞ্জলিপুটে ও হৃষ্টচিত্তে র্তাহর অনাময় জিজ্ঞাসা করিলেন । বুদ্ধা ঋষিপত্নী মহাভাগ ধৰ্ম্মচারিণী জনকনন্দিনীকে দর্শনপূর্বক সান্থনা করিয়া কহিলেন, তুমি যে সর্বদাই ধৰ্ম্মপালন কর, ইহা নিরতিশয় সৌভাগ্যের বিষয়। হে মানিনি । জ্ঞাতিজন ও সম্মানসমৃদ্ধি ত্যাগ করিয়া তুমি যে বনবাসব্রত-দীক্ষিত রামের অনুগামিনী হইয়াছ, ইহাও অতিশয় সৌভাগ্যের বিষয় বলিতে হইবে। স্বামী নগরে বা বনে যেখানেই থাকুন, শুভ বা অশুভ বাহাই হউন, র্যাহীদের ভৰ্ত্তাই পরম প্রিয়তম, সেই সমুদয় নারীদিগের জন্য মহোদয় লোক সকলের স্বষ্টি হইয়াছে। ফলতঃ, স্বামী দুঃশীল, যথেচ্ছাচার অথবা ধনহীন, যাহাই হউন, আর্য্য-স্বভাব স্ত্রীগণের তিনি পরম দেবতা । জগনকি ! স্বামী অপেক্ষা স্ত্রীলোকের আর কেহ বিশিষ্ট যে বান্ধব আছেন, ইহা আমার বোধ হয় না। পতি ইহলোক ও পরলোকের জন্য অক্ষয় তপস্যার অনুষ্ঠানস্বরূপ। দৃষ্টি নিক্ষেপ-পূর্বক