পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

C অযোধ্যাকাণ্ড অপ্রকাশিত করিতেছে। রাত্রিচর জীব ইতস্ততঃ সঞ্চরণ করিতেছে এবং ঐ আশ্রমমৃগ-সকল পুণ্যক্ষেত্রতুল্য বেদির উপর শয়ন করিতেছে। সীতে ! রজনী নক্ষত্রভূষিত হইয়া উপস্থিত হইতেছেন। চন্দ্রদেবও জ্যোৎস্নাবরণযুক্ত হইয়া আকাশে উদিত হইতেছেন।” অতএব আদেশ করিতেছি, তুমি রামের অনুচরী হও । তোমার মধুর কথাবাৰ্ত্তায় আমি সস্তুষ্ট হইয়াছি। মৈথিলি ! এক্ষণে তুমি আমার সমক্ষে অলঙ্কার পরিধান করিয়া তামার প্রীতিবৰ্দ্ধন কর । বংসে জানকি! দিব্যালঙ্কারে তোমার বিচিত্র শোভা হইবে । ১-১১ তখন সুরকন্যা-সদৃশী দিব্য-লাবণ্য জনকদুহিত। সম্যক্বিধানে অলঙ্কার সকল পরিধান করিয়া, নতমস্তকে অনসুয়ার চরণ-বন্দনান্তে রামের নিকট গমন করিলেন। বক্তৃবর রাম সীতাকে অলঙ্কার ধারণ করিতে দেখিয়া, তপস্বিনী অনসুয়ার প্রতিদান-নিবন্ধন আহলাদিত হইলেন। অনন্তর তাপসী-প্রদত্ত বসনাভরণ ও মাল্য প্রভৃতি প্রাপ্তির কথা সীতা রামের ১। ইহার দ্বার বুঝা যায়, কাৰ্ত্তিী পূর্ণিমার পরের দিন রাম যাত্র। করিয়া অত্রির অtশ্রমে গয়াছিলেন । للe C (لي গোচর করিলেন। অনসূয়ার এই প্রতিদান সচরাচর মানুষলোকে সুলভ ; এ কারণ রাম ও মহারথ লক্ষণ উভয়েই সাতিশয় আনন্দিত হইলেন । অনন্তর রাম ঋষিগণ কর্তৃক অৰ্চিত হইয়া এবং সুধাংশু-মুখী সীতাকে দর্শন করিয়া প্রতিচিত্তে সেই রাত্রি যাপন করিলেন । রাত্রিপ্রভাত হইলে রাম ও লক্ষণ উভয়ে স্নানান্তে অনলে আন্ততি দান-পূর্বক উপবিষ্ট বনবাসী ঋষিদিগের নিকট উপনীত হইয়া বিদায় প্রার্থনা করিলেন । ধৰ্ম্মচারী বনচর তাপসগণ র্তাহদিগকে কহিলেন, রাক্ষসগণ এই অরণ্যে অতিশয় উপদ্রব আরম্ভ করিয়াছে। হে রঘুনন্দন! নানারূপ নরমাংসাশী রাক্ষসগণ এবং রুধিরপায়ী হিংস্ৰ জন্তু সকল এই মহারণ্যে বাস করিয়া থাকে । তাহারা অশুচি বা অসাবধান ব্রহ্মচারী তাপসকে ভক্ষণ করে ; অতএব তুমি তাহাদিগকে নিবারণ কর । মহর্ষিগণের বমমধ্যে ফল আহরণ করিবার এই পথ। তুমিও এই পথ দ্বারা বনে গমন করিতে পারিবে । তপস্বিগণ কৃতাঞ্জলি হইয়া মঙ্গলাশীর্বাদ প্রয়োগ-পূর্বক এই প্রকার কহিলে, শক্রতাপন রাম ভ্রাতা ও ভাৰ্য্যার সহিত, মেঘমণ্ডলে সুৰ্য্য যেমন গমন করেন, সেইরূপ অরণ্যমধ্যে প্রবেশ করিলেন। ১২-২২ অযোধ্যাকাণ্ড সম্পূর্ণ