পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• अद्रि°jकां७ চতুর্থ সর্গ রঘুনন্দন রাম ও লক্ষণকে হরণ করিয়া লইয়৷ বিরাধ যাইতেছে দেখিয়া, সীতা স্বীয় মহা ভুজযুগল উত্তোলন করত উচ্চৈঃস্বরে চীৎকার করিতে তারস্তু করিলেন ; -ভীষণমূৰ্ত্তি রাক্ষস সাধু-স্বভাব, সত্যনিরত, সুপবিত্র দশরথtাজ রামকে লক্ষণের সহিত হরণ করিয়া লইয়া যাইতেছে। ভল্লুকগণ, শাৰ্দ্দল, দ্বীপ ( চিতাবাঘ ) ও বৃক ( নেকড়ে ) গণ এখন একাকিনী পাইয়া, আমীয় ভক্ষণ করিবে । অতএব হে রাক্ষসোত্তম ! তোমায় নমস্কার করিতেছি, তুমি হঁহাদিগকে ত্যাগ করিয়া আমাকেই হরণ কর। বীর্ণ্যসম্পন্ন রাম ও লক্ষণ জানকীর এই কথা শুনিয়া দুরাত্মা বিরাপের বধবিষয়ে সত্বর হইলেন । সুমিত্রাপুল লক্ষণ সেই ভয়ানক রাক্ষসের বাম হস্ত এবং রাম বেগ সহকারে তাহীর দক্ষিণ বান্ত ভগ্ন করিয়া দিলেন। মেঘবর্ণ বিরাধ ভগ্নহস্ত হইয়া, নিতান্ত অবসন্ন ও একান্ত জ্ঞানশূন্য হইয়, তৎক্ষণাৎ পতিত হইল। বোধ হইল, যেন কোন পৰ্ব্বত বজ্রাঘাতে বিদীর্ণ হইয়া ধরা তল আশ্রয় করিল। সে পতিত হইলে, রাম-লক্ষণ বাহু, মুষ্ট্রি ও পদাঘাতে তাহাকে প্ৰপীড়িত করিয়া, বারংবার উত্তোলন-পূর্বক ভূতলে নিক্ষেপ করত ঘৰ্মণ করিতে লাগিলেন। সে পূর্ণেল বহুবাণে বিদ্ধ ও খড়েগর তাtঘাতে ক্ষতবিক্ষত হইয়াছিল, এক্ষণে আবার বারংবার ভূমিতে নিপিষ্ট হইল ; তথাপি মরিল না। বিপন্নের শরণ ক্রীমান রাম পৰ্ব্বত সদৃশ বিরাধকে সর্বতোভাবে অবধ্য দেখিয়া লক্ষণকে কহিলেন,—পুরুষপ্রবর! রক্ষস ঈদৃশী তপস্যা করিয়াছে যে, বিদ্ধ করিয়া শস্ত্রের সাহায্যে ইহাকে জয় করা সাধ্য হইবে না ; অতএব ইহাকে ভূমিতে গৰ্ত্তমধ্যে প্রোথিত করিব। লক্ষণ । তুমি এক্ষণে হস্তীর' স্থার প্রচগুস্বভাব ও প্রচণ্ডপ্রতাপবিশিষ্ট এই রাক্ষসের নিমিত্ত বনমধ্যে এক অতি বৃহৎ শ্রেয়োবিধান করিবেন। ه ۰ن গৰ্ত্ত খনন কর । বীর্ম্যবান লক্ষণকে এইরূপে গৰ্ত্ত খননে আদেশ করিয়া শ্রীরাম স্বয়ং পদ দ্বারা রাক্ষসের কণ্ঠদেশ আক্রমণ করত দণ্ডায়মান রহিলেন। ১-১২ ঐ সময়ে নিশাচর বিরাধ পুরুষশ্রেষ্ঠ রামের সেই কথা শ্রবণ করিয়া, বিনয়যুক্ত বাক্যে কহিতে লাগিল, হে পুরুনোত্তম ! আমি তোমার ইন্দ্রতুল্য পরাক্রমেই মৃতপ্রায় হইয়াছি । হে নরশ্ৰেষ্ঠ ! আমি ইতিপূর্বে অজ্ঞান-প্রযুক্ত তোমায় জানিতে পারি নাই । তাত ! এক্ষণে অবগত হইলাম, আপনি রাম, কৌশল্যাসতী আপনার দ্বারা উৎকৃষ্ট পুত্রবর্তী হইয়াছেন ; আর এই মহাভাগা জানকী এবং পরম কীৰ্ত্তিশালী লক্ষণ, ইহাদিগকেও এখন প্রকৃতরূপে জানিতে পারিয়াছি। আমি পূর্বে তুম্বুরু নামে গন্ধৰ্ব্ব ছিলাম। বিশ্রবার পুল্ল কুবের আমায় শাপ প্রদান করেন। সেই অভিশাপ বশতঃ আমি পাপীয়সী নিশাচর যোনি প্রাপ্ত হইয়াছি । শাপদানসময়ে আমি তাহকে প্রসাদন করিলে, মহাযশ বৈশ্রবণ আমায় বলিলেন, দশরথপুত্র রাম যুদ্ধে তোমায় বধ করিলে পুনরায় তুমি গন্ধৰ্ব্বদেহ লাভ করিয়া স্বর্গে গমন করিবে । আমি যথাসময়ে কুবেরের নিকট উপস্থিত হই নাই ; এই জন্য তিনি সাতিশয় রুস্ট হইয়া, ‘রাক্ষস হও’ বলিয়া আমায় অভিশপ্ত করিয়াছিলেন । রম্ভীর প্রতি আসক্ত হওয়াতেই আমায় রাজা বৈশ্রবণ ঐ প্রকার লাক্য প্রয়োগ করেন । এক্ষণে তামি তোমার প্রসাদে সুদারুণ অভিশাপ হইতে মুক্ত হইলাম। হে পরস্তপ ! তোমার স্বস্তি হউক। আমি স্বীয় লোকে গমন করিব । তাত ! সুর্য্যসমতেজস্বী, প্রতাপশালী, পরমধৰ্ম্মনিষ্ঠ মহর্ষি শরভঙ্গ এখান হইতে সাৰ্দ্ধযোজন দূরে অবস্থিতি করিতেছেন। তুমি শীঘ্রই তাহার শরণাপন্ন হও । তিনি তোমার রাম । এক্ষণে অামায় ১ । সাৰ্দ্ধযোজন ১২ মাইল, ৬ ক্ৰোশ ।