পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه لاك গৰ্ত্তমধ্যে নিক্ষেপ করিয়া কুশলে গমন কর । গৰ্ত্তে নিক্ষিপ্ত হওয়াই মৃত রাক্ষসগণের সনাতন ধৰ্ম্ম ॥২ যাহারা গৰ্ত্তমধ্যে নিহত হয়, তাহাদের অক্ষয় লোক সকল লাভ হইয়া থাকে শর-পীড়িত মহাবল বিরাধ রামকে এই কথা বলিয়া দেহত্যাগ করত স্বৰ্গ প্রাপ্ত হইল। রাম রাক্ষসের বাক্য শ্রবণপূর্বক লক্ষণকে আদেশ করিলেন,– ১৩-২৪ লক্ষণ ! তুমি এই বনমধ্যে প্রচণ্ড হস্তীর স্যায় ভীমকৰ্ম্মী রাক্ষসের নিক্ষেপ জন্য স্ববৃহৎ গৰ্ত্ত খনন কর। লক্ষণকে গৰ্বখননে আদেশ দিয়া, বীর্ণ্যবান রাম স্বয়ং পদ দ্বারা বিরাধের কণ্ঠদেশ আক্রমণ-পূর্বক অবস্থান করিলেন । তখন লক্ষমণ খনিত্র গ্রহণ করিয়া মহাত্মা বিরাধের পার্থে উত্তম এক গৰ্ত্ত খনন করিলেন । পরে রাম শকুসদৃশ কর্ণসমন্বিত বিরাপের কণ্ঠদেশ মোচন করিয়া, তাহাকে উত্তোলন-পূর্বক ঐ গর্ভে নিক্ষেপ করিলেন। বিরাধ অতি ভৈরব রবে চীৎকার করিতে লাগিল। যুদ্ধে দৃঢ়চিত্ত ও লঘুবিক্রম রাম ও লক্ষণ উভয়ে প্রমোদাম্বিত হইয়া দারুণপ্রকৃতি ভয়জনক রাক্ষসকে সংগ্রামে পরাজয় ও স্ববাহুবর্গো উত্তোলন করিয়া, ঐরূপ অবস্থায় গৰ্ত্তমধ্যে নিহিত করিলেন । সকল বিষয়ে সুদক্ষ সেই দুই নরবর সুশাণিত শস্ত্রে মহাস্থর বিরাধকে সংহার করা সাধ্য নহে দেখিয়া, বুদ্ধির প্রভাব তাহার গৰ্ত্তে মরণোপায় অবধরণ-পূর্বক তাহাকে মিক্ষেপ করিয়া বধ করিলেন । রাম নিজ প্রয়োজনানুরূপে বিরাধকে যেমন হঠাৎ মৃত্যুমুখে নিক্ষেপ করিতে অভিলাষ পরিলেন, কাননচার বিরাধ ও তেমনি স্বয়ংই রাম হইতে আত্মবিনাশ কামনা করিয়া, নিজেই তাহাকে বলিল যে, শস্ত্র দ্বারা আমায় বধ করিতে পরিবেন না। রাম এই কথা শুনিয়া, তাহাকে গৰ্ত্তমধ্যে নিক্ষেপ করিতে অভিপ্রায় করিলেন। অনন্তর নিক্ষেপকালে ২। তিলককার বলেন, অতএব কলির রাক্ষস বৰনগণেরও মৃত্যুর পন্ন গৰ্ত্তমধ্যে নিক্ষেপ করা রূপ ধৰ্ম্ম প্রচলিত রহিয়াছে। বাল্মীকি-রামায়ণ C মহাবল বিরাধের ঘোরতর চীৎকার ধ্বনিতে সমুদায় অরণ্য ও গৰ্ত্ত এককালেই প্রতিধ্বনিত হইয়া উঠিল। এইরূপে মহারণ্যমধ্যে রাম ও লক্ষণ সেই বিরাধকে ভূগর্ভে নিপাতিত করিয়া, উভয়েই একরূপ হর্ষভরে বিকশিত হইয়া উঠিলেন এবং ভয়হীন হইয়া প্রস্তর দ্বারা ঐ গর্তের উপরিভাগ বন্ধ করিয়া দিলেন। তদনন্তর কাঞ্চন-চিত্রিত কামুকধারী রাম ও লক্ষণ বিরাধকে বধ করিয়া সীতার সহিত মহাবনে বিচরণ করিতে লাগিলেন । তখন তাহারা আকাশস্থ চন্দ্র-সুর্গোর সাদৃশ্ব ধারণ করিলেন । ২৫-৩৪ পঞ্চম সগ অনন্তর বীর্য্যবান রাম বনমধ্যে ভীমবল রাক্ষস বিরাধকে হত করিয়া, সীতাকে আলিঙ্গন ও আশ্বাস প্রদান-পূর্বক দীপ্ততেজা ভ্রাতা লক্ষণকে কহিলেন, এই বন স্বভাবতঃ দুর্গম ও কষ্টময় । ইহঃপূর্বে কখনও এ প্রকার বন, আমাদের দর্শনগোচর হয় নাই ; অতএব শীঘ্ৰ তপোধন শরভঙ্গের আশ্রমে গমন করি, চল । এই বলিয়া তিনি শরভঙ্গের আশ্রম অভিমুখে প্রস্থান করিলেন। তথায় সমাগত হইয়া, তপোবলে শুদ্ধাত্মা ও দেব-প্রভাববিশিষ্ট মহর্মি শরভঙ্গের সমীপে এক অত্যাশ্চর্য্য ব্যাপার দর্শন করিলেন। সুৰ্য্যাগ্নিপ্রভ দেবরাজ ইন্দ্র স্বীয় দেহপ্রভায় সমুদ্ভাসিত ও দেবগণে পরিবৃত হইয়া, শ্রেষ্ঠতম রথে আরূঢ় ও ধরাতল স্পর্শ না করিয়াই শূন্যে অবস্থিত আছেন । র্তাহার আভরণ সকল প্রভাশালী এবং পরিধেয় বস্ত্র নিরতিশয় নিৰ্ম্মল। তাদৃশ অলঙ্কারাদি-ভূষিত অন্যান্য অনেক মহাত্মা তাহাকে পূজা করিতেছেন। রাম নিকটে দেখিতে পাইলেন যে, মহেন্দ্রের স্বৰ্য্যসম প্রভা-সমন্বিত শুীমবৰ্ণ তুরঙ্গমগণে সংযোজিত রথ অন্তরীক্ষে অবস্থিতি করিতেছে। র্তাহার ছত্র সাতিশয় নিৰ্ম্মল ও বিচিত্র মাল্যসুশোভিত