পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q আরণ্যকাও এবং শুভ্রবর্ণ মেঘ ও চন্দ্রমণ্ডলের স্যায় অতিশয় কান্তি ও দীপ্তিবিশিষ্ট । র্তাহার চামর-বাজন মুবর্ণনিৰ্ম্মিতদগু-সমদ্বিত, বহুমূল্য ও অতিশয় উৎকৃষ্টভাবাপন্ন । দুই উত্তম রমণী ঐ ছত্র ও চামর ধারণ-পূর্বক তাহার মস্তকোপরি বীজন করিতেছে। বহুসংখ্যক গন্ধৰ্ব্ব, দেবতা, সিদ্ধ ও পরমর্ষিগণ একত্র মিলিত হইয়া, প্রশস্ত বাক্য-সমূহ দ্বারা সেই দেবরাজ মহেন্দ্রের স্তব করিতেছেন । তৎকালে বাসব মহর্সি শরভঙ্গের সহিত কথোপকথনে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন । রাম তাহাকে দর্শন করিয়া, তাহার রথ উদ্দেশ করিয়া, ভ্রাতা লক্ষণকে আশ্চৰ্য্য প্রদর্শন করত বলিতে লাগিলেন,—১-১২ ভাই ! অবলোকন কর, পরম দীপ্তিময়, শোভাসম্পন্ন, আলোকচ্ছটায় উদ্ভাসিত সুৰ্য্যের ন্যায় ঐ বিচিত্র রথ অন্তরীক্ষ অtশ্রয় করিয়া অবস্থিতি করিতেছে। পূর্বে শতক্রতু ইন্দ্রের যে সকল অশ্বের কথা শ্রবণ করিয়াছিলাম, ঐ অন্তরীক্ষগত দিব্য অশ্বগণ নিশ্চয়ই সেই সকল অশ্ব হইবে। হে পুরুষব্যাঘ্ৰ ! এই যে চতুর্দিকে শত শত খড়গপাণি ও কুণ্ডলধারী যুবা পুরুষ অবস্থিতি করিতেছেন, র্যাহীদের সকলেরই হৃদয়দেশ অতিশয় বিশাল, বাহু অর্গলের স্যায় বিস্তৃত ও পরিধেয় বসন রক্তবর্ণ, র্যাহারা ব্যাস্ত্রের ন্যায় দুৰ্দ্ধৰ্ম, যাহাদের সকলেরই হৃদয়ে প্রজ্বলিত অগ্নি-সদৃশ হার শোভা পাইতেছে এবং সকলেই পঞ্চবিংশতি বর্ষীয় পুরুষের রূপ ধারণ করিতেছেন, এই সকল পুরুষশ্রেষ্ঠকে যে প্রকার প্রিয়দর্শন দেখা যাইতেছে, সচরাচর দেবগণেরই ঈদৃশ বয়োরূপাদি সৰ্ব্বদ হইয়া থাকে। অতএব হে লক্ষণ ! বৈদেহীর সহিত এখানে মুহূৰ্ত্তকাল অবস্থান কর,যে পর্য্যন্ত না আমি সুস্পষ্ট জানিয়া আসিতেছি যে, এই রথস্থ স্থতিমান তেজস্বী পুরুষ কে লক্ষণকে এই বলিয়া রাম শরভঙ্গের আশ্রমাভিমুখে গমন করিতে লাগিলেন । তদর্শনে শচীপতি ইন্দ্র শরভঙ্গের নিকট অনুমতি গ্রহণ করিয়া, অমুচর ○>> দেবগণকে কহিলেন,—“ঐ রাম এই দিকে আসিতেছেন , এক্ষণে আমার সহিত আলাপ না করিতে করিতেই তোমরা আমাকে স্থানান্তরে লইয়া যা ও ” পরে আমাকে দর্শন করিবেন । ইহাকে এখন অস্ত লোকের নিতান্ত দুক্ষর গুরুতর কার্য্যবিশেষ সম্পাদন করিতে হইবে । ইনি যখন রাক্ষসজয় করিয়া কৃতকাৰ্য্য হইবেন, সেই সময়েই অচিরাৎ ইহাকে দেখা দিব।” অনন্তর বক্তধর ইন্দ্র মহর্ষি শরভঙ্গের আমন্ত্রণ ও সবিশেষ সম্মান পূর্বক অশ্বযোজিত রথে আরোহণ বরিয়া,স্বর্গে গমন করিলেন । সহস্রাক্ষ ইন্দ্র প্রস্থান করিলে পর রাম ভ্রাতা ও ভাৰ্য্যার সহিত অগ্নিহোত্রে আসীন শরভঙ্গের সমীপস্থ হইলেন । রাম, লক্ষণ, সীতা সকলেই তাহার পাদদ্বয় গ্রহণ করিলে, তিনি তাহাদিগকে বাসস্থান প্রদান ও ভোজনাদির নিমিত্ত নিমন্ত্রণ করিয়া অনুমতি দিলে পর, তাহারা তথায় উপবিষ্ট হইলেন। অনন্তর রঘুনন্দন রাম ইন্দ্রের আগমনপ্রয়োজন জিজ্ঞাসা করিলে, তিনি সমস্ত ঘটনা তাহাকে নিবেদন করিলেন এবং কহিলেন,—১৩-২৭ হে রাঘব ! এই বরদ ইন্দ্র আমাকে ব্রহ্মলোকে লইয়া যাইতে ইচ্ছা করেন, আমি উগ্র তপস্যা দ্বারা উহা জয় করিয়াছি। অজিতেন্দ্রিয়ের উহা দুপ্রাপ্য। কিন্তু হে নরব্যাঘ্ৰ ! তুমি নিকটেই অবস্থিতি করিতেছ জানিতে পারিয়া, তোমার স্যায় প্রিয় অতিথির সহিত সাক্ষাথ না করিয়া ব্রহ্মলোকে গমন করিলাম না । হে পুরুষব্যাঘ্ৰ ! তুমি পরম ধৰ্ম্মনিষ্ঠ ও মহাত্মা । তোমার সহিত মিলিত হইয়া আমি স্বগে বা অন্যত্র গমন করিব, ইহাই আমার মানস । হে নরশ্রেষ্ঠ । আমি স্বর্গ ও ব্রহ্মলোক প্রভৃতি শুভ অক্ষয় লোক summmm -mm-smsm mm*-*** - - - - ബ= = ബ ജഇബ് ১ । ইন্দ্রের ঐ সময়ে রামের সহিত দেখা না করিবার কারণ— जांलां* श्झेंटल ब्रांtभज्ञ cगवद्भवृठि०इऍएव ७ष* ठांश कॉर्षा-वाiषांडक, এবং বনবাসকালীন আমার দর্শনে বৈভবের কথা স্মরণ করিয়া কষ্টও হইতে পারে, ইহাই তাৎপৰ্য । ২। রামচন্দ্ৰ ঈশ্বর হইলেও ব্রাহ্মণগণের এইরূপে পূজা করিতে হয়, ইহ জনসাধারণকে শিক্ষা দিবার নিমিত্ত পাদগ্ৰহণ করিয়া অভিবাদন করিয়াছিলেন।