পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরণ্যকাণ্ড সত্যবাক্য এবং সর্বাঙ্গসম্পূর্ণ ধৰ্ম্ম তোমাতেই প্রতিষ্ঠিত। ই হে মহাত্মন! আপনি ধৰ্ম্মজ্ঞ ও ধৰ্ম্মপ্রিয় ; অতএব নাথ ! আমরা প্রার্থনাবান হুইয়া আপনার নিকটে যাহা বলিব, তাহ। আপনি ক্ষমা করিবেন।” হে নাথ ! ধিনি বলি-ষড়ভাগ-ষষ্ঠাংশ কর গ্রহণ করেন, অথচ প্রজাদিগকে পুত্রবৎ প্রতিপালন না করেন, সেই নরপতির মহান অধৰ্ম্ম হয়। হে রাম ! যিনি নিয়ত যত্বপরায়ণ ও সাবধান হইয়া স্বাধিকারবাসী প্রজাদিগকে স্বকীয় প্রাণের স্যায় অথবা প্রাণীপেক্ষা ও সমধিক প্রিয়পুত্রের ন্যায় নিরন্তর রক্ষা করেন, সেই মহীপতি ইহলোকে বহুবর্ষব্যাপিনী কীৰ্ত্তি লাভ করিয়া, অন্তে ব্রহ্মলোকে যাইয়া সবিশেষ সন্মানিত হন। ঋষিগণ ফললমূভোজী হইয়া যে পরম ধৰ্ম্ম উপার্জন করেন, ধৰ্ম্মানুসারে প্রজারক্ষণকারী মহীপতি সেই ধৰ্ম্মের চতুর্থাংশ লাভ করিয়া থাকেন। সেই এই মহান বানপ্রস্থ পষিগণ, যাহাতে ব্রাহ্মণই অধিক, আপনাকে রক্ষক লাভ করিয়াও নিতান্ত অনাথের ন্যায় রাক্ষসগণ-কর্তৃক নিহত হইতেছেন। বিশুদ্ধচিত্ত মুনিগণের শরীর সমস্ত বনমধ্যে নানা প্রকারে ভয়ানক রাক্ষসগণকর্তৃক নিহত ও পতিত রহিয়াছে ; আপনি আসিয়া অবলোকন করুন, পম্পী ও গঙ্গানদীর তীরবাসী এবং চিত্রকূটনিবাসী বহুসংখ্যক মুনিগণ রাক্ষসগণ-কর্তৃক অঙ্গপ্রত্যঙ্গচ্ছেদনাদি দ্বারা অতীব পীড়িত হইতেছেন। আমরা ভীমকৰ্ম্মী রাক্ষসগণকৃত তপস্বিগণের এতাদৃশ দুঃখ সহ করিতে পারিতেছি না। অতএব হে শরণ্য । আমরা আশ্রয় গ্ৰহণার্থ আপনার নিকট আসিয়াছি। রাম । আমাদিগকে রক্ষা করুন, নিশাচরেরা আমাদিগকে নিহত করিতেছে । হে ২। কাৰ্য অঙ্গহীন হইলেও ভগবৎস্থতিতে সকলাঙ্গ পূর্ণ হইয়। थोप्नक, यथो “প্রমাদাৎ কুৰ্ব্বতাং কৰ্ম্ম প্রচাবেতাধবরেষু চ । তৰিকোঃ স্মরণাদেব সম্পূর্ণ স্তাদিতি শ্ৰুতিঃ ।” ৩ । যদিও শাস্ত্ৰে আছে যে, সাধারণের জগ্রে উপস্থিত হইলেই সকল মনোরখ পূর্ণ হয়, তাছা হইলেও দুঃখাতিশয্য নিবন্ধন যাহা কিছু ৰলিতেছি, ठांशब्र अछ कब कब्रिध्वन, ईशई ७ई tन्नष्किब्र उषिर्षि । ○ >NS) রাজনন্দন! এই পৃথিবীতে আপনি ভিন্ন আমাদের অন্য গতি নাই। হে রঘুকুলচূড়ামণি । রাক্ষসগণের হস্ত হইতে আমাদের সকলকে রক্ষা করুন। ৮-২০ ধৰ্ম্মাত্মা ককুৎস্থনন্দন রামচন্দ্র তপঃসম্পন্ন ঋষিদিগের উক্ত বাক্য শ্রবণ করিয়া, সকলকে কহিলেন, আমাকে এতদূর বলা আপনাদিগের উপযুক্ত নয়। আমি আপনাদের আজ্ঞাকারী ভূত্য । আমি স্বীয় কাৰ্য্যসাধন জন্যই বনে প্রবেশ করিয়াছি ; সুতরাং আপনাদিগের রাক্ষসগণ-কৃত এরূপ অপকার নিবারণার্থ বিশেষ, প্রযত্ন করিতে হইবে না। আমি পিতার আজ্ঞানুবন্তী হইয়। এই মহাবনে প্রবেশ করিয়াছি। পরস্তু আমার সেই বনপ্রবেণ যদৃচ্ছাক্রমে আপনাদেরও অর্থ-সাধক হইয়াছে। তামি বনে তপস্বীদিগের শত্র রাক্ষসদিগকে সংহার করিতে অভিপ্রায় করিয়ছি। তপোবলসম্পন্ন ঋষিগণ আমার ও আমার ভ্রাতার বাহুবল প্রত্যক্ষ করুন। ধৰ্ম্মনিষ্ঠ বীর রামচন্দ্র তাপসদিগকে উক্ত রূপ বরদান করত তাহাদিগের পূজা প্রাপ্ত হইয়া, তাহাদিগকে সমভিব্যাহাবে লইয়া, লক্ষণের সহিত স্বতীক্ষুের আশ্রমাভিমুখে যাত্রা করিলেন। ২১-৩৬ সপ্তম সগ শত্ৰ-তাপন রাম ভ্রাতা লক্ষণ, সীতা এবং দ্বিজগণ সমভিব্যাহারে সুতীক্ষুের আশ্রমে গমন করিলেন। বহুদূর গমন করত বহুদকা বিবিধ নদী উত্তীর্ণ হইয়া, সুমেরুর ন্যায় সমুন্নত এক নিৰ্ম্মল পৰ্ব্বত দর্শন কবিলেন। অনন্তর ইক্ষাকুবংশীয় প্রধান দুই রঘুনন্দন, সীতা সমভিব্যাহারে নানাবিধ বৃক্ষ-সমূহে বিরাজিত ঐ পর্বতস্থ কাননমধ্যে প্রবেশ করিলেন । রাম সেই ঘোর বনে প্রবিষ্ট হইয়া, নানাবিধ ফলপুপশালী বৃক্ষসমূহ-সমন্বিত ও চরমালায় শোভিত এক আশ্রম দর্শন করিলেন। পরে তিনি তথায়