পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিনীতবাক্যে কহিলেন,—ভগবন! আপনার নিকট আতিথ্য লাভ করিয়া, আমরা মুখে রাত্রিবাস করিয়াছি ; অধুনা আমরা দণ্ডকারণ্যে প্রস্থান করিব, তজ্জন্য অনুমতি প্রার্থনা করিতেছি । মুনিগণ আমাদিগকে সত্বর হইতে কহিতেছেন। wগুকারণ্যবাসী পবিত্রস্বভাব ঋষিদিগের সমস্ত আশ্রমমণ্ডল দর্শন করিবার জন্য আমরা ব্যগ হইয়াছি। ভাপনি অনুমতি করুন, আমরা এই সকল নিধুম বক্রিসদৃশ প্রভাণালী সত্যনিষ্ঠ তপোদান্ত মুনিশ্রেষ্ঠদিগের সহিত গমন করিব । তন্ত্যায় করিয়া ঐশ্বৰ্য্য প্রাপ্ত অসদ্বংশীয় পুরুষ যেমন সাধারণের অসহ্য হইয় উঠে, সুৰ্ঘ্যের উত্তাপ তেমনি অসহ্য না হইতেই আমরা গমন করিতে বাসনা করি । রাম এই কথা কহিয়া, লক্ষণ ও সীতার সমভিব্যাহারে মুনির চরণবন্দনা করিলেন। মুনিশ্রেষ্ঠ চরণস্পর্শকারী তাহাদিগের দুই জনকে উত্থাপন করিয়া, গাঢ় আলিঙ্গনপূর্বক মেহাম্বিত বাক্যে ه لا-لاسوTaة5faCة রাম ! সৌমিত্রি এবং ছায়ার ন্যায় অনুগামিনী এই সীতার সহিত নির্বিঘ্নে পথে গমন কর । হে বীর । যোগনিবিন্টচেত দণ্ডকারণ্যবাসী এই সকল ঋষির রমণীয় আশ্রম দর্শন কর । তুমি প্রশস্ত-মৃগ সমাকুল, প্রশান্ত-বিহঙ্গমগণ-সমাকীর্ণ, বিবিধ ফলমূল-সমন্বিত ও পুপ-শোভিত অনেক বন এবং প্রফুল্ল পদ্ম-সমুহে বিরাজিত নিৰ্ম্মল জল-সমন্বিত ও কারগুবগণে পরিব্যাপ্ত বহুবিধ তডাগ ও সরোবর দেখিতে পাইবে । অপিচ, দৃষ্টিমনোহর গিরিপ্রস্রবণ এবং ময়ুরনদিত অরণ্যানী সকল দেখিতে পাইবে । বৎস সৌমিত্রে ! গমন কর, রাম ! তুমিও গমন কর ; পরস্তু, আশ্রম সকল দর্শন করিয়া পুনর্বার এই স্থানে প্রত্যাগমন করিও । কাকুৎস্থ রাম যে আজ্ঞা বলিয়া, লক্ষণ সমভিব্যাহারে মুনিকে প্রদক্ষিণ করিয়া, যাইবার জন্য উষ্ঠত হইলেন। অনন্তর আয়তলোচনা সীতা দুই ভ্রাতাকে শুভতর আরণ্যকাগু দিনকর দর্শনে নিষ্পাপ হইয়া, স্বতীক্ষুের নিকট যাইয়া, ల'(t তৃণ, ধনু এবং দুই নিৰ্ম্মল খড়গ প্রদান করিলেন । তখন রাম-লক্ষণ দুই জনে দুই শুভ তুণীর ও দুই সশর শরাসন বন্ধন করিয়া, যাইবার জন্য আশ্রম হইতে বহির্গত হইলেন। রূপবান দুই রঘুনন্দন মহর্ষির অনুজ্ঞা পাইয়া, ধনুঃশর ধারণ-পূর্বক সীতা সমভি ব্যাহরে যাত্র করিলেন । ১১-২০ Φhaumuυuπω ψωπα নবম সর্গ বযুনন্দন রাম সুতীয়ের অনুমতি লইয়া প্রস্থান করিলে, সাত স্নেহপূর্ণ মনোহর বাক্যে র্তাহাকে কহিলেন,—* আপনি যদিও তাতিশয় মহাত্মা, কিন্তু পরম সুক্ষমরূপে বিচার করিয়া দেখিলে আপনার ঠ ধৰ্ম্ম সঞ্চিত হইতেছে। এক্ষণে কামজ ব্যসন হইতে নিবৃত্ত হইলেই এই অধৰ্ম্ম হয় না। কামজ বসন তিন প্রকার ;–মিথ্যাবাক্য, পরস্ত্রী-গমন এবং শক্রতা বাতিরেকে প্রাণি-হনন। শেষোক্ত দুইটি প্রথমোক্ত অপেক্ষাও গুরুতর। হে রঘুনন্দন ! তুমি কখন মিথ্যাবাক্য প্রয়োগ কর নাই এবং করিবেও না। হে নরবর ! তোমার ধৰ্ম্মনাশক পরস্ত্রীগমন নাই ; তুমি কোন কারণ বশত: মনোমধ্যেও কখন পরদার অভিলাষ কর নাই, পরেও কথন করিবে না । হে রাজনন্দন ! তুমি নিয়ত স্বদার-নিরত, ধৰ্ম্মিষ্ঠ ও সত্যপ্রতিজ্ঞ, পিতৃ-আজ্ঞা পালন করিতেছ। ধৰ্ম্ম এবং সর্বসত্য তোমাতে প্রতিষ্ঠত ; হে মহাবাহো । র্যাহারা জিতেন্দ্রিয়, তাহারাই ঐ সমস্ত পালন করিতে পারেন । হে শুভদৰ্শন ! প্রাণিগণ তোমার জিতেন্দ্রিয়তা অবগত আছে । কিন্তু বিনাপরাধে প্রাণিহিংসারূপ যে ভয়ানক তৃতীয় ব্যসন, এক্ষণে ১ । এই সর্গে সীত। রামকে অকারণে বৈরিত। করিয়। রাক্ষস বধ করিতে নিষেধ করিয়াছেন। সীতার উক্তিগুলি বিনয় ও নীতিপূর্ণ, সীতার উক্তর গভীরার্থ এই যে, সৰ্ব্বদা রাক্ষস জাতির বিরূদ্ধে দণ্ডায়মান হওয়ায় বিপদ नखद धराः शिजांख्त शांलनॉर्थ भूनिवृखि बदलोचन कब्रिब्रां कांबछ बामब হইতে নিবৃত্ত হওয়াই উচিত ।