পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●>ぐり তোমার সেই বসন উপস্থিত হইয়াছে । হে বীর । তুমি প্রতিজ্ঞা করিয়াছ, দণ্ডকারণ্যবাসী ঋষিদিগকে রক্ষা করিবার জন্য যুদ্ধে রাক্ষসগণকে সংহার করিবে ; এই জন্যই তুমি ধনুঃশল ধারণ-পূর্বক ভ্রাতৃসমভিবtহারে দণ্ডক নামে বিখ্যাত বনে যাত্রা করিয়াছ । অতএব তোমাকে প্রস্থান করিতে দর্শন করিয়া এবং তোমার অঙ্গীকারপালনরূপ ব্রত জানিয়া, তোমার পরলৌকিক ও ঐহিক সুখ বিষয়ে আমার মন চিন্তায় আকুল হইতেছে। হে বীর । দণ্ডকারণ্যগমনে আমার মন হইতেছে না ; কারণ বলিতেছি, শ্রবণ কর । তুমি ধনুৰ্ব্বাণ হস্তে ভ্রাতার সঙ্গে বনে গমন করিবে ; অতএব রাক্ষসদিগকে দেখিতে পাইলে, কোন না কোন স্থলে অবশ্যই শরমোচন করিবে । নিকটস্থত কাষ্ঠাদি যেমন অগ্নির তেজ সাতিশয় বৰ্দ্ধন করে, তেমনি ক্ষত্রিয়দিগের এই ধনু যাহার নিকটে থাকে, তাহার তেজ এবং বলও নিরতিশয় ক্ষুব্ধ করে | ১-১৫ হে মহাবাহো ! পূর্বে কোন মৃগপক্ষিসেবিত পুণ্য অরণ্যমধ্যে এক জন সত্যনিষ্ঠ পবিত্রাচারী তপস্বী ছিলেন। শচীপতি ইন্দ্র ঐ তপস্বীর তপোবিন্ন করিবার সানসে যোদ্ধ রূপ ধারণ করিয়া, খড়গহস্তে অসিয়া আশ্রমে সমাগত হইলেন এবং ঐ আশ্রমে ঐ তপোনিষ্ঠ মুনির নিকট ন্যাসং স্বরূপে ঐ খড়গ রক্ষা করিয়া প্রস্থান করিলেন। মুনি ঐ অস্ত্র স্যাসস্বরূপে লাভ করিয়া, উহার রক্ষা-বিষয়ে বিশেষ যত্নবান হইলেন এবং বিশ্বাসঘাতক না হইতে হয়, ই জন্য ঐ অস্ত্র সঙ্গে লইয়া বনমধ্যে বিচরণ করিতে লাগিলেন। তিনি স্বাস্ত বস্তু রক্ষায় এতাদৃশ যত্নবান হইয়াছিলেন যে, ফলমূল আহরণের জন্যও যে কোন স্থানে যাইতেন, ঐ খড়গ না লইয়। যাইতেন না । বাল্মীকি-রামায়ণ নিয়ত খড়গ বহন করাতে ক্রমে ক্রমে মুনির তপোনিষ্ঠ দূর হইয়া, স্বভাব উগ্র হইয়া উঠিল। পরে তিনি শস্ত্রসংযোগে রৌদ্রকৰ্ম্মে রত ও প্রমত্ত হইয়া উঠিলেন এবং অধৰ্ম্মাক্রান্ত হইয়া ঐ শস্ত্রের সহবাস-হেতু নরকে গমন করিলেন । শস্ত্র-সাহচৰ্য্য-হেতু পূর্বে এই }প্রকার ঘটয়াছিল। এই জন্য পণ্ডিতেরা শস্ত্র-সংযোগ অগ্নিসংযোগের স্যায় বিকার-হেতু, ইহা বলিয়া থাকেন । আমি তোমাকে নিতান্ত ভালবাসি, এই জন্য, তোমাকে স্মরণ করাইয়া দিলাম, তোমাকে শিক্ষা দিতেছি না। হে বীর ! তুমি ধনুৰ্দ্ধারণ করিয়া নিরপরাধে দণ্ডকবাসী রাক্ষসদিগকে হনন করিতে অধ্যবসায় করিও না । হে বীর । বিনাপরাধে কাহাকেও বধ করা তোমার উচিত নহে । অtণ্যদিগকে রক্ষা করাই ক্ষত্রিয় বীরদিগের বনে ধনুৰ্দ্ধারণের প্রয়োজন । বনবাসীর কি শস্ত্ৰধারণ করা উচিত ? তপস্বীর কি ক্ষত্ৰিয়স্বভাব শোভা পায় ? সুতরাং আমাদিগের পক্ষে এই উভয় প্রকার ধৰ্ম্ম পরস্পরের বিরুদ্ধ হইয়া পড়িয়াছে ; এই হেতু তপোবনানুষ্ঠেয় ধৰ্ম্মই প্রতিপালন কর । নিরন্তর শস্ত্র ব্যবহার করিলে, বুদ্ধি কদৰ্য্য ও কলুষিত হইয়া উঠে। অযোধ্যায় প্রত্যাগমন করিয়া পুনৰ্ব্বার ক্ষত্ৰধৰ্ম্ম আচরণ করিও । তুমি রাজ্য পরিত্যাগ করিয়া, স্বধৰ্ম্মনিরত ঋষি হইলে, আমার শ্বশ্রী ও শ্বশুর উভয়েরই অক্ষয় প্রীতি হইবে। ধৰ্ম্ম হইতে অর্থ লাভ হয়, ধৰ্ম্ম হইতে মুখোৎপত্তি হয়, ধৰ্ম্ম হইতে সমস্ত প্রাপ্ত হওয়া যায় এবং সংসারে ধৰ্ম্মই একমাত্র সার বস্তু । স্বদক্ষ মানবেরা প্রযত্ন-সহকারে তত্তথবিহিত নিয়ম দ্বারা শরীর কৃশ করিয়া ধৰ্ম্মলাভ করেন ; কেন না, শারীরিক সুখ-জনক উপায় দ্বারা ধৰ্ম্মলাভ হয় না। অয়ি প্রিয়দর্শন ! তুমি নিয়ত শুদ্ধচিত্ত DD DDDD DDD DD DD DiDD DBS BBBB ধৰ্ম্মানুষ্ঠানে তৎপর হও । निबिउ अछशृह cय जवा ब्रक कब्र यांझ, ७शब्र नाव 'छांन', षष-"ब्रांज চৌরাদিকতাম্বায়াদালাক বঞ্চনাৎ। স্থাপ্যতেঙ্কগুংে এবং ভাসঃ স পরিকীৰ্ত্তিতঃ * ত্রিভুবনের সমস্ত বিষয়ই সুক্ষমামুসুক্ষরূপে তোমার বিদিত আছে ; সুতরাং কোন ব্যক্তি ধৰ্ম্মবিষয়ে