পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

鲁 আরণ্যকাগু প্রতিপৃহীত হইয়া, ফলমূল ভক্ষণ-পূর্বক সেই রাত্রি তথায় বাস করিলেন । ৫৪-৭০ পরে রজনী অতীত ও সুর্য্যমণ্ডল সমুদিত হইলে, রাম বিদায় প্রার্থনাপূর্বক ঋষিকে নিবেদন করিলেন, —ভগবন । আমি আপনাকে অভিবাদন করি, আমরা মুখে রাত্রি যাপন করিয়াছি ; এক্ষণে বিদায় প্রার্থনা করিতেছি । অধুনা ভবদীয় অগ্রজ গুরুদেব অগস্ত্যের দর্শনে অভিলাষ হইয়াছে। এই বলিয়া ঋষির অনুজ্ঞা লইয়া, তদীয় আশ্রম-কানন অবলোকন করত সুতীক্ষ মুনির উপদিষ্ট সেই পথে প্রস্থান করিলেন । যাইবার সময় কান্তারমধ্যে শত শত নীবার, পনস, শাল, বঞ্জল, তিনিশ, চিরিবিহু, মধুক, বিস্ব ও তিন্দুক ইত্যাদি পাদপ-পরম্পর তাহার দর্শনপথে পতিত হইতে লাগিল । ঐ সকল বৃক্ষে কুষম সকল প্রস্ফুটিত হইয়াছে ; নানাজাতীয় বিহঙ্গম মত্ত হইয়া মধুরধ্বনি করিতেছে ; কুমুমিতা গ্র বৃক্ষ ও লতা বানরগণের দ্বারা অতিশয় শোভা প্রাপ্ত হইয়াছে এবং হস্তিগণের শুণ্ডের আঘাতে তাহাদের শাখা-প্রশাখা ছিন্ন-ভিন্ন হইয়াছে। তদর্শনে রাজীবলোচন রাম আপনার পশ্চাদ্বন্তী সমীপস্থ লক্ষীবৰ্দ্ধন লক্ষণকে কহিলেন,—এই বৃক্ষ সকলের পত্র সকল যেরূপ স্নিগ্ধ, মৃগগণ যেরূপ শান্তিযুক্ত দৃষ্ট হইতেছে, তাহাতে বোধ হয়, সেই বিশুদ্ধচিত্ত মহর্ষি অগস্ত্যের আশ্রমপদ অধিক দূরবত্তী নহে। যিনি স্বীয় কৰ্ম্ম দ্বারা লোকমধ্যে অগস্ত্য নামে খ্যাতি লাভ করিয়াছেন, সেই মহর্মির পরিশ্রান্ত-শ্রমনিবারক আশ্রম ঐ লক্ষিত হইতেছে। আজ্যধূমব্যাপ্ত, বন-মধ্যবৰ্ত্তা, চীরসমাকীর্ণ, শান্ত মৃগসমূহে সমাকুল ও নানাজাতীয় বিহঙ্গম-শব্দে নিনাদিত আশ্রম দৃষ্ট হইতেছে। যিনি মানবদিগের হিতকামনায় বলপূর্বক যমস্বরূপ অম্বরকে নিগৃহীত করিয়া দক্ষিণদিককে বাসের যোগ্য করিয়াছেন এবং র্যাহার প্রভাবে রাক্ষসগণ ত্রাসান্বিত হইয়া, এই দক্ষিণ 8X لا جليا দিককে অবলোকনমাত্র করে, উপভোগ করে না, সেই পুণ্যকৰ্ম্ম মহর্মি অগস্ত্যের ঐ আশ্রম । ৭১-৮২ সেই পবিত্ৰচেতা অগস্ত্য যে অবধি এই দিক আশ্রয় করিয়াছেন, সেই অবধি নিশাচরেরা বৈর পরিত্যাগ করিয়া শান্ত ভাব অবলম্বন করিয়াছে । ভগবান অগস্ত্যের নামে এই দক্ষিণদিক অগস্ত্যদিক বলিয়া ত্রিলোকমধ্যে খ্যাতি লাভ করিয়াছে এবং তদায় প্রভাবে ক্ৰুৱকৰ্ম্ম নিশাচরগণ কর্তৃক অধৰ্ষণীয় হওয়ায় মানবদিগের বাসযোগ্য হইয়াছে। পৰ্ব্বতশ্রেষ্ঠ বিন্ধ্য র্তাহার আদেশ প্রতিপালন করতই সুর্ণ্যের পথ নিরোধ করিবার নিমিত্ত আর নিরন্তর বৰ্দ্ধিত হইতেছে না। লোকমধ্যে বিখ্যাতকৰ্ম্ম দীর্ঘজীবী সেই মহর্মি অগস্ত্যের বিনয়াম্বিত মৃগগণ-সেবিত আশ্রম ঐ । আমরা সৰ্ব্বলোক-পূজিত, নিয়ত সাধুগণের হিত-নিরত ঐ সাধুচরিত্র মহর্মির আশ্রমে গমন করিলে, তিনি আমাদের মঙ্গলবিধান করিবেন। হে শুভদৰ্শন ! আমি এই আশ্রমে থাকিয়া মহর্ষি অগস্ত্যের আরাধনা করিব এবং বনবাসের অবশিষ্ট কাল তথায় যাপন করিব । এই আশ্রমে দেব, গন্ধৰ্ব্ব ও তপস্যাসিদ্ধ মহর্মির নিয়তাহার হইয়া, সতত অগস্ত্যদেবের বিশিষ্টরূপ উপাসনা করেন। ঐ মহর্মি এরূপ প্রভাব-সম্পন্ন যে, উহার আশ্রমে মিথ্যাবাদী, শঠ, ক্রফুর, নৃশংস, পাপাচারী ব্যক্তি কোনমতেই জীবিত থাকিতে পারে না। ঐ আশ্রমে দেব, যক্ষ, নাগ ও পক্ষীরা ধৰ্ম্ম আরাধনার্থে নিয়তাহারী হইয়া বাস করেন । মহাত্মা মহর্ষিগণ এই আশ্রমে সিদ্ধিলাভ-পূর্বক দেহত্যাগ করিয়া, নুতন দেহ ধারণ করত স্বৰ্য্যতুল্য প্রভাশালী বিমানে আরোহণ-পূর্বক স্বর্গে গমন করিয়াছেন। যে ১ । হিমালয়ের সহিত স্পৰ্দ্ধা করিয়া এক সময় বিন্ধপৰ্ব্বত স্বর্যাপথ অবরুদ্ধ করিয়াছিল, তখন বিপন্ন দেবগণ অগস্তোর শরণাগত হইলে, তিনি তাহাদিগকে অভয় দান করিয়া বিজ্ঞাসমীপে গমন করেন। তাহাকে cनर्थिब्री विका जननउ श्ब्रां नमकांब्र कब्रिट्ज, अश्रद्धा शांछ मझ्काररु বিন্ধকে বলিলেন, যে পর্যন্ত আমি ফিরিয়া না আসি, তাবৎকাল ভূমি এইভাবে থাক। এই বলিয়। দক্ষিণদেশে গমন করেন, ঋষি অদ্যাপি প্রত্যাবর্তন করেন নাই, বিন্ধাও উন্নত হইতে পারে নাই –কাশীখণ্ড ।