পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

C আরণ্যকাগু ৩২৩ তৎসমস্ত দর্শন করিতে লাগিলেন । অনন্তর ভগবান অগস্ত্য মুনি শিষ্যগণে পরিবৃত হইয়া, অগ্নিগৃহ হইতে বহির্গত হইতেছিলেন, এমন সময় বীৰ্য্যশালী রাম তপস্বিগণের অগ্রবর্তী দীপ্ততেজ অগস্ত্য মুনিকে অভিমুখে আগমন করিতে দর্শন করিয়া, লক্ষীবৰ্দ্ধন লক্ষণকে কহিলেন,—লক্ষণ ! ভগবান অগস্ত ঋষি বহির্দেশে আগমন করিতেছেন, এক্ষণে আমি তেজোবিশেষজনিত ঔন্নত্য দ্বারা তপস্যার আধার মহর্মি অগস্ত্যকে জানিতে পারিয়াছি । এই বলিয়া মহাবাহু রাম আশ্রম হইতে বহির্দেশে সমাগত সুৰ্য্য-সম-তেজস্বী মহৰ্ষির চরণ স্পৰ্শ-পূর্বক নমস্কার করিলেন এবং সীত ও লক্ষণের সহিত চরণবন্দনস্তে কৃতাঞ্জলিপুটে দণ্ডায়মান রহিলেন । তদর্শণে মহসি, কাকুৎস্থ রামকে সমাদর-সহকারে গ্রহণ-পূর্বক আসন ও উদক দ্বারা অৰ্চনা করিয়া, কুশল জিজ্ঞাসা করিয়া বসিতে অনুমতি করিলেন। অনন্তর তিনি অগ্নিতে আন্ততি দিয়া, সেই সমাগত অতিথিদিগকে অর্ঘ্যদান ও পূজা করত বানপ্রস্থ-ধৰ্ম্মানুসারে তাহারীয় প্রদান করিলেন। তানন্তর ধৰ্ম্মজ্ঞ মহর্ষি স্বয়ং প্রথমে উপবিষ্ট হুইয়া, পশ্চাৎ অঞ্জলি-বন্ধন-পূর্বক পশ্চাৎ উপবিষ্ট পৰ্ম্মকোবিদ রামকে কহিলেন;–১৪-২৮ হে কাকুৎস্থ ! তাপস যদি অতিথির প্রতি অন্য প্রকার আচরণ করে, তবে মিথ্য সাক্ষ্যদা তা ব্যক্তির স্যায় তাহাকে পরলোকে আপনার মাংস ভক্ষণ করিতে হয়। তুমি মহারথ ও সকল লোকের ধৰ্ম্মানুষ্ঠায়ী রাজা ; সুতরাং তুমি প্রিয় অতিথিরূপে আমার আশ্রমে আগমন করিয়াছ ; অতএব তোমার পূজা ও সম্মান করা আমাদের সর্ববতোভাবে কৰ্ত্তব্য। এই আছে—"যিকোঃ স্থানং মহেশস্ত ইত্যাদি । সুতরাং গোবিন্দরাজের কল্পনা গোড়া বৈকবের। ষে অগস্তা পরম শিবভক্ত, কাণীতে অগস্তোশ্বর শিব, জগত্তাকুণ্ড স্থানের নাম রহিয়াছে, যিনি দক্ষষজ্ঞে শিবহীন যজ্ঞ দর্শনে দক্ষকে নিন্দ করিয়া চলিয়া আসিয়াছিলেন, তাহার আশ্রণে শিবস্থান নাই, এই কথা বলিবার সাহস গোড়। বৈকবেই সম্ভবপর। ধাত— প্রজাপতি, বিধাতা—বিশ্বকৰ্ম্ম । বলিয়া মহর্ষি ফল, মূল, পুষ্প ও অন্যান্ত বন্য দ্রব্য দ্বারা যথাভিলতিরূপে রামের পূজা করিয়া, পরে বলিতে লাগিলেন,—হে পুরুষশ্রেষ্ঠ ! স্বয়ং মহেন্দ্র আমাকে এই বিশ্বকৰ্ম্ম-নিৰ্ম্মিত স্বর্ণ ও বজ্রমণি দ্বারা বিভূষিত দিব্য মহৎ বৈষ্ণব ধনু এবং স্বয়ং ব্ৰহ্মদত্ত এই সুৰ্য্যসদৃশ প্রভাসম্পন্ন, উত্তম শর, নিশিত শরপূর্ণ অক্ষয় উৎকৃষ্ট তৃণীর এবং এই স্বর্ণময় কোষবন্ধ সুবর্ণালঙ্কত অসি প্রদান করিয়াছেন। রাম !” পূর্বে ভগবান বিষ্ণু এই বৈঞ্চব ধনুসহায়ে যুদ্ধে মহাবলপরাক্রান্ত অসুরদিগকে, হনন করিয়া দেবগণের দীপ্তিমতী লক্ষনী আতরণ করিয়াছিলেন । হে মানপ্রদ ! বজধর যেমন বজ ধারণ করেন, তুমিও তেমনি বিজয়লাভ নিমিত্ত এই ধনু, শর, খড়গ ও দুই তৃণীর প্রতিগ্রহ কর । মহাতেজা ভগবান অগস্ত্য-ঋষি এই প্রকার বলিয়া রামকে সমস্ত অত্যুৎকৃষ্ট বৈষ্ণব আয়ুধ প্রদান করিয়া পুনরায় কহিলেন । ২৯-৩৭ ত্রয়োদশ সর্গ রাম ! তুমি যে সীতা সমভিব্যাহারে আমাকে অভিবাদন করিতে আসিয়াছ, তাহাতে আমি তোমার ও লক্ষণের প্রতি প্রীত হইয়াছি ; তোমার মঙ্গল হউক। পথশ্ৰম-জন্ত তোমাদিগের যে সাতিশয় কষ্ট হইয়াছে, ইহা স্পষ্টই দেখা যাইতেছে। জনকনন্দিনী মৈথিলীও বিশ্রাম জন্য উৎকষ্ঠিত হইয়াছেন । ইনি অতি সুকুমারী, কখনও দুঃখপীড়া সহ করেন নাই ; স্নেহ-প্রণোদিত হইয়াই বহুকষ্টপ্রদ বনে আগমন --l. - -- -- -- ৪ । রামচন্দ্র পরশুরামের হস্ত হটতে গ্রহণ করিয়া যে ধগু বরুপের झtख निपाहिजन, थब्रांनि ब्रांक्रम बtभुग्न छछ रुङ्गtगब्र निकॐ श्डैt७ গ্রহণ করিয়া ইন্দ্র উহা অগস্তোর নিকট দিয়াছিলেন। বৈষ্ণৰশৰা দ্বারা ईशई बूकांग्र । e । গোবিন্দরাজ বলেন, এই স্থানে সর্গ সমাপ্ত হওয়া উচিত নহে। কারণ, কথা:শেষ হয় নাই বলিয়। এই অঞ্জুমান ।