পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిచ్చి8 করিয়াছেন। রাম ! সীতার মন যাহাতে তুষ্ট থাকে, তাহা করিবে । তোমার অনুগমন করিয়া ইনি অতি দুষ্কর কার্য্য করিয়াছেন। হে রঘুনন্দন ! স্মৃষ্টিকাল হইতে নারীর প্রকৃতি এইরূপ যে, সমৃদ্ধ ব্যক্তিতে অনুরক্ত হয়, আর দুরবস্থাপন্ন ব্যক্তিকে তাহারা ত্যাগ করে । মহিলাগণ বিদ্যুতের চঞ্চলত, অস্ত্রের তীক্ষতা এবং গরুড় ও বায়ুর শীঘ্ৰত অনুকরণ করিয়া থাকে ; কিন্তু তোমার এই ভাৰ্য্যাতে সে সকল কোন দোষই নাই। দেবগণমধ্যে অরুন্ধতীর স্যায় ইনি প্রশংসনীয়া ও কীৰ্ত্তনীয়া । হে শত্রুদমন ! তুমি সুমিত্ৰানন্দন ও সীতার সহিত যে দেশে বাস কর, সেই দেশই অলঙ্কত হইয়া থাকে। ঋষি এইরূপ কহিলে পর রাম কৃতাঞ্জলিপুটে বিনীতবচনে অগ্নিতুল্য তেজস্ব সেই মহর্ষিকে কহিলেন,— ১-৯ হে মুনিশ্রেষ্ঠ ! আমার এবং আমার ভাৰ্য্যার ও ভ্রাতার গুণে যে পরিতুষ্ট হইয়াছেন, ইহাতেই আমি ধন্ত ও অমুগৃহীত হইলাম। কিন্তু আজ্ঞা করুন, এরূপ কোন স্থান আছে, যে স্থানে কানন অনেক এবং জল অনায়াসে পাওয়া যায় ; যে স্থানে আমরা আশ্রম নিৰ্ম্মাণ করিয়া সুখে স্বচ্ছন্দে বাস করিতে পারি।” রামের বাক্য শ্রবণ করত ধৰ্ম্মাত্মা মুনিশ্রেষ্ঠ মুহূৰ্ত্তকাল চিন্তা করিয়া শুভবাক্যে কহিলেন, বৎস! এই স্থান হইতে দুই যোজন অন্তরে পঞ্চবটী নামে বিখ্যাত এক অতি স্বন্দুর স্থান আছে। ঐ স্থানে ফল-মূল ও জল যথেষ্ট পাওয়া যায়, এবং নানাবিধ পশু ঐ স্থানে বাস করে। তুমি লক্ষণ সমভিব্যাহারে তথায় যাইয়া, আশ্রম নিৰ্মাণ করিয়া পিতৃসত্য পালন করিয়া যথাসুখে বাস কর । হে অনঘ ! আমি স্নেহবশতঃ তপঃপ্রভাবে

১। রাম পূর্বে বলিয়াছেল • "जांब्रांशब्रिषाांबाजांश्मणखात्रुबिनखमन् । cनवक वनवांनछ cनौबा बदछांबाहर थटङ ।" এক্ষণে পুনরায় স্থানান্তরে বাসের প্রার্থণায় বুঝা যায় যে, অগস্তোর জাগ্রমে রাক্ষস প্রবেশের অধিকার না থাকায় অথচ রাক্ষস বধের নিমিত্ত প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ায় স্থানান্তরে গমন রামের হৃদয়ের ভাব । বাল্মীকি-রামায়ণ তোমার এবং দশরথের সমস্ত বৃত্তান্ত অবগত আছি । আমার নিকট এই বনে বাস করিবে, প্রতিজ্ঞা করিয়া আবার আমাকে বাসস্থানের কথা জিজ্ঞাসা করিতেছ কেন, তাহাও আমি তপোবলে বুঝিতে পারিয়াছি। সেই জন্যই বলিতেছি, পঞ্চবটীতে গমন কর। সেই বন-প্রদেশ অতি রমণীয়, তথায় সীতার মনস্তুষ্টি জন্মিবে। পঞ্চবটী শ্লাঘনীয়, অথচ অতি দূরবত্তীও নহে, এই গোদাবরীরই নিকটে ; মৈথিলী তথায় প্রীতি অনুভব করিবেন। হে মহাবাহো ! সেই প্রচুরফলমূল সমন্বিত, নানাবিধ বিহঙ্গগণে সেবিত, পুণ্য ও নির্জন প্রদেশ অতীব রমণীয়। তুমিও সদাচার এবং রক্ষাকার্থ্যে সমর্থ ; ঐ স্থানে বাস করিয়া তপস্বিজনকে পরিপালন করিতে পারিবে। বীর । ঐ যে মধুক বুক্ষের মহাবন দৃষ্টিগোচর হইতেছে, ইহার উত্তরদিক দিয়া তোমাকে যাইতে হইবে ; তাহা হইলে স্তগ্রোধ বৃক্ষ অথবা তদযুক্ত আশ্রম প্রাপ্ত হইবে । তদনন্তর স্থলবিশেষে উপস্থিত হইয়া এক পৰ্ববত দেখিতে পাইবে। ঐ পর্বতের অনতিদূরেই বিখ্যাত পঞ্চবটী বন ; উহ। নিয়তই পুম্পিত থাকে। অগস্ত্যের বাক্য শ্রবণ করিয়া, রাম লক্ষণ সমভিব্যহারে সত্যবাদী ঋষিকে সম্মানাদি করিয়া, বিদায় প্রার্থনা করিলেন । ঋষির অনুজ্ঞা লাভ করিয়া দুই জনে পাদ-বন্দন করিয়া, সীতাসমভিব্যাহারে পঞ্চবটী আশ্রমে যাত্রা করিলেন । সমরে অকাতর দুই নৃপনন্দন ধনুৰ্দ্ধারণ এবং তৃণীর বন্ধন করিয়া, মহর্ষি যে পথ বলিয়া দিলেন, অতি সাবধানে সেই পথ দিয়া পঞ্চবটী অভিমুখে যাত্রা করিলেন । ১০-২৫ চতুর্দশ সর্গ অনন্তর রাম পঞ্চবটী যাইতে যাইতে পথিমধ্যে এক ভয়ানক পরাক্রমশালী মহাকায় গৃধ্ৰুের নিকটবৰ্ত্তী হইলেন। মহাভাগ রাম ও লক্ষণ বনমধ্যে ঐ