পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ミや হইয়াছে । অনলা পরমপ্রশস্তফলসম্পন্ন বৃক্ষ সকল প্রসব করেন ; বিনত শুকীর পোলী এবং কক্র স্বরসার ভগিনী। তন্মধ্যে কহ্ম সহস্ৰ নাগ পুত্র প্রসব করেন । ইহারাই পৃথিবী ধারণ করিয়া আছে। আর বিনতার দুই পুল্ল ;–গরুড় ও অরুণ । আমি এই অরুণের ঔরসে জন্মিায়াছি । সম্পাতি আমার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা। আমার নাম জটায়ু এবং আমি শেনীর পুল, জানিবে। হে তাত ! যদি ইচ্ছা কর, তাহা হইলে, আমি তোমার অরণ্যবাসের সহায় হইব এবং তুমি লক্ষণের সহিত স্থানান্তরে গমন করিলে, সীতার রক্ষা করিব । রাম প্রমোদ-সহকারে জটায়ুকে পূঙ্গ ও আলিঙ্গন করিয়া, মস্তক অবনত করিলেন এবং পিতার সহিত যে র্তাহার সখিত্ব ছিল, তাহা তাহার মুখে পুনঃ পুনঃ শ্রবণ করিতে লাগিলেন। পরে তিনি বলবান জটায়ুর হস্তে সীতাকে সমর্পণপূর্বক তাহার এবং লক্ষণের সহিত, রিপুগণকে দগ্ধ করিতে ও অরণ্যের রক্ষণার্থ সুপ্রসিদ্ধ পঞ্চবটীতে গমন করিলেন । ১৬-৩৬ পঞ্চদশ সর্গ অনন্তর রাম নানাবিধ দুষ্ট সর্প ও পশু-সমাকুল পঞ্চবটাতে গমন করিয়া, দীপ্ততেজা ভ্রাতা লক্ষণকে কহিলেন;–সৌম্য ! মহর্ষি যাহার কথা বলিয়াছিলেন, আমরা এই সেই নিয়ত পুষ্পসমন্বিত কাননশোভিত পঞ্চবটীনামক প্রদেশে আগমন করিয়াছি । অ’শমের উপযুক্ত স্থান নির্ণয়ে তোমার সম্যক নৈপুণ্য আছে ; অতএব এই কাননের চতুদিকেই দৃষ্টিসঞ্চালন কর, কোন স্থানে আমাদের মনোমত আশ্রম নিৰ্ম্মিত হইতে পারে। লক্ষণ । যে স্থানে তুমি, আমি এবং বৈদেহী সকলেরই বিশেষ প্রীতি জন্মিতে পারে এবং যাহার নিকটেই জলাশয়, তাদৃশ স্থান অন্বেষণ কর। যে প্রদেশে বন ও জল উভয়ই রমণীয় এবং বাল্মীকি রামায়ণ C সমিধ, পুষ্প, কুশ ও সলিল নিকটেই পাওয়া যায়, তাদৃশ স্থানই মনোনীত কর। রাম এইপ্রকার কহিলে, লক্ষণ কৃতাঞ্জলি হইয়া, সীতার সমক্ষে র্তাহাকে বলিলেন,—কাকুৎস্থ ! আপনি বিদ্যমান থাকিতে আমি শতবর্মেও স্বাধীন নহি ; অতএব আপনি স্বয়ং মনোহর স্থান অবধারণ করিয়া, আমাকে তথায় তাশ্রম নিৰ্ম্মাণ করিতে ত দেশ করুন । লক্ষণের এই বাক্যে সুপ্রীত হইয়া, মহাত্ন্যুতি রাম সবিশেষ বিচার-পূর্বক সৰ্ব্বগুণান্বিত একটি স্থান মনোনীত করিলেন। ঐ স্থান তাশমকৰ্ম্মের পক্ষে সৰ্ব্বাংশেই মনোহর । তথায় তিনি পদার্পণ করিয়া, হস্ত দ্বারা লক্ষণের হস্তদ্বয় ধারণ-পূর্বক কহিতে লাগিলেন,—১-৯ এই স্থান পরম শ্ৰীসম্পন্ন ও সমতল এবং পুষ্পিত বৃক্ষসমূহে পরিবৃত ; অতএব তুমি এই স্থানে রমণীয় আশ্রমপদ যথাবিধানে নিৰ্ম্মাণ করিতে পার । সুৰ্য্য-সদৃশ উজ্জ্বল, সুরভিগন্ধি পদ্মসমূহে ইহার তদূরে ঐ পুষ্করিণী শোভা পাইতেছে। বিশুদ্ধচেতা অগস্ত্য ঋষি যে প্রকার কহিয়াছেন, ঐ দেখ পুষ্পিতবৃক্ষপরিবৃত রমণীয় গোদাবরী সেইরূপই দেখা যাইতেছে । উহা হংস ও কারগুৰগণে আকীর্ণ ও চক্রবাক পক্ষিগণে শোভিত এবং ইহার দূরেও নয়, নিকটেও নয়, মৃগগণ দলে দলে বিচরণ করিতেছে। প্রফুল্ল-তরুশোভিত, ময়ুরনদিত, বহু কন্দরবিশিষ্ট, পরম মনোহর, দিব্যদর্শন, অত্যুন্নত গিরি সকলও ঐ দেখা যাইতেছে। ঐ সকল পৰ্ব্বতে স্থানে স্থানে গজ সকল সুবর্ণ, রজত ও তাম্রবর্ণ বিচিত্র রচনা দ্বারা অলঙ্কতের স্যায় শোভা পাইতেছে। শাল, তাল, তমাল, খৰ্জ্জুর, পনস, নীবার, তিনিশ, পুন্নাগ, আম্র, তিলক, কেতক, চম্পক, স্তন্দন, চন্দন, নীপ, লকুচ, ধব, অশ্বকৰ্ণ, খদির, শমী, কিংশুক, পাটল এবং অন্যান্য বহুবিধ গুল্মপরিবৃত’ ও লতাসমন্বিত পুষ্পিত বৃক্ষ সকল উল্লিখিত পৰ্ব্বত সমস্ত আবৃত ও